ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখাউড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ২ মাজার ভক্তের প্রাণ গেল

মোঃ আলমগীর খন্দকার, প্রতিদিনের পোস্ট
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
print news

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া খরমপুরের প্রখ্যাত আউলিয়া শাহ্ ছৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (রহ.) শাহপির কেল্লা শহীদের মাজারের পাশে ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে দুই মাজার ভক্তের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খরমপুর মাজারের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট রেলপথে সেতু পারাপারের সময় ট্রেন দেখে ছোটাছুটির সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজন নরসিংদীর মাধবদী থানার দোয়ারি গ্রামের মৃত গাজি মিয়ার ছেলে মো. শুক্কুর মিয়া (৫০)। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া খরমপুর মাজার শরীফে বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। ১৪ আগস্ট আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরস শেষ হবে। সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত আশেকান জড়ো হয়। এরই অংশ হিসেবে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে তারা রেললাইন ধরে পায়ে হেঁটে খরমপুর মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
এসময় ঢাকাগামী পারাবত ট্রেন আসার সময় হলে দুই পাশে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। তখন সকলেই রেললাইন থেকে নেমে পড়লেও ওই দুই ব্যক্তি ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হতে চান। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস দেখে শুকুর আলী সেতু থেকে লাফিয়ে পড়েন। আরেকজন সেতু পার হওয়ার সময় কাটা পড়ে মারা যান। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মরদেহ দুটি নদী থেকে উদ্ধার করে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রোধে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতার পাশাপাশি আরও তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতদের একজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যজনের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় কেউ নিখোঁজ নেই বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

আখাউড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ২ মাজার ভক্তের প্রাণ গেল

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
print news

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া খরমপুরের প্রখ্যাত আউলিয়া শাহ্ ছৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (রহ.) শাহপির কেল্লা শহীদের মাজারের পাশে ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে দুই মাজার ভক্তের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খরমপুর মাজারের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট রেলপথে সেতু পারাপারের সময় ট্রেন দেখে ছোটাছুটির সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজন নরসিংদীর মাধবদী থানার দোয়ারি গ্রামের মৃত গাজি মিয়ার ছেলে মো. শুক্কুর মিয়া (৫০)। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া খরমপুর মাজার শরীফে বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। ১৪ আগস্ট আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরস শেষ হবে। সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত আশেকান জড়ো হয়। এরই অংশ হিসেবে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে তারা রেললাইন ধরে পায়ে হেঁটে খরমপুর মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
এসময় ঢাকাগামী পারাবত ট্রেন আসার সময় হলে দুই পাশে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। তখন সকলেই রেললাইন থেকে নেমে পড়লেও ওই দুই ব্যক্তি ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হতে চান। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস দেখে শুকুর আলী সেতু থেকে লাফিয়ে পড়েন। আরেকজন সেতু পার হওয়ার সময় কাটা পড়ে মারা যান। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মরদেহ দুটি নদী থেকে উদ্ধার করে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রোধে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতার পাশাপাশি আরও তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতদের একজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যজনের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় কেউ নিখোঁজ নেই বলেও জানান তিনি।