১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

“আদর্শ পাঠাগার” বইপড়া উৎসবের পরীক্ষা সম্পন্ন

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশ : ০৯:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

‘বই আনন্দ ও জ্ঞানের অপূর্ব এক সমাহার’ এই প্রতিপাদ্যকে লক্ষ্য রেখে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ভাটেরা গার্লস স্কুলে বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত হলো আদর্শ পাঠাগার বইপড়া উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। শুক্রবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) সকালে ভাটেরা গার্লস স্কুলে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো উপজেলা শহরের সীমানা পেরিয়ে ভাটেরা গার্লস স্কুলে বইপড়ার এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক বইপড়ার যাত্রা শুরু হলো।
‘আদর্শ পাঠাগার’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, এই আয়োজনের মূল সঞ্চালক ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোঃ খালিক উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে ‘আদর্শ পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিত বইপড়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। ইতোমধ্যে কেবল এই আয়োজনের মাধ্যমে অর্ধ সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে বিভিন্ন আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে বই পড়িয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তবে সবগুলো আয়োজন কুলাউড়া শহর কেন্দ্রীক অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রথম বইপড়ার এই উদ্যোগটি শহরের বাহিরের কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হলো, যা এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে শহর ও ইউনিয়ন দু’টি পর্যায়ে নিয়মিত আয়োজন করা হবে।
উক্ত আয়োজনের অপর সঞ্চালক কুলাউড়া সরকারী কলেজের প্রভাষক মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, জ্ঞান চর্চার এই ক্রান্তিকালে ‘আদর্শ পাঠাগার’ এর এই উদ্যোগ এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মেধাসম্পন্ন আদর্শ মানুষ হতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, ‘আদর্শ পাঠাগার বইপড়া উৎসব’ এই নামে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভাটেরা গার্লস স্কুলের বইপড়ায় নিবন্ধিত বিভিন্ন ক্লাসের ৭০ জন শিক্ষার্থীর হাতে ‘অনুভব’ নামক মৌলিক একটি রচনা তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ২০ দিনের মতো বইটি পাঠ করার সুযোগ পায়, এবং শুক্রবার (১৫ ই সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে সবাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে উক্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করে সেরা ১১ জন শিক্ষার্থীকে নগদ এককালীন শিক্ষা বৃত্তি ও বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। পাশাপাশি পরীক্ষা অংশ নেওয়া সকল শিক্ষার্থীকে মহামূল্যবান বই উপহার ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।
ভাটেরা গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক কাওছার আহমদ মুন্না বইপড়ার এ উদ্যোগকে তার স্কুলে আয়োজন করায় এ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয়

পিছিয়ে পড়া দেশ আমাদের অনুসরণ করছে; পরিবেশমন্ত্রী

“আদর্শ পাঠাগার” বইপড়া উৎসবের পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রকাশ : ০৯:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

‘বই আনন্দ ও জ্ঞানের অপূর্ব এক সমাহার’ এই প্রতিপাদ্যকে লক্ষ্য রেখে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ভাটেরা গার্লস স্কুলে বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত হলো আদর্শ পাঠাগার বইপড়া উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। শুক্রবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) সকালে ভাটেরা গার্লস স্কুলে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো উপজেলা শহরের সীমানা পেরিয়ে ভাটেরা গার্লস স্কুলে বইপড়ার এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক বইপড়ার যাত্রা শুরু হলো।
‘আদর্শ পাঠাগার’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, এই আয়োজনের মূল সঞ্চালক ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোঃ খালিক উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে ‘আদর্শ পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিত বইপড়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। ইতোমধ্যে কেবল এই আয়োজনের মাধ্যমে অর্ধ সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে বিভিন্ন আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে বই পড়িয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তবে সবগুলো আয়োজন কুলাউড়া শহর কেন্দ্রীক অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রথম বইপড়ার এই উদ্যোগটি শহরের বাহিরের কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হলো, যা এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে শহর ও ইউনিয়ন দু’টি পর্যায়ে নিয়মিত আয়োজন করা হবে।
উক্ত আয়োজনের অপর সঞ্চালক কুলাউড়া সরকারী কলেজের প্রভাষক মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, জ্ঞান চর্চার এই ক্রান্তিকালে ‘আদর্শ পাঠাগার’ এর এই উদ্যোগ এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মেধাসম্পন্ন আদর্শ মানুষ হতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, ‘আদর্শ পাঠাগার বইপড়া উৎসব’ এই নামে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভাটেরা গার্লস স্কুলের বইপড়ায় নিবন্ধিত বিভিন্ন ক্লাসের ৭০ জন শিক্ষার্থীর হাতে ‘অনুভব’ নামক মৌলিক একটি রচনা তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ২০ দিনের মতো বইটি পাঠ করার সুযোগ পায়, এবং শুক্রবার (১৫ ই সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে সবাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে উক্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করে সেরা ১১ জন শিক্ষার্থীকে নগদ এককালীন শিক্ষা বৃত্তি ও বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। পাশাপাশি পরীক্ষা অংশ নেওয়া সকল শিক্ষার্থীকে মহামূল্যবান বই উপহার ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।
ভাটেরা গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক কাওছার আহমদ মুন্না বইপড়ার এ উদ্যোগকে তার স্কুলে আয়োজন করায় এ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
Facebook Comments Box