ওসিকে ধাক্কার ঘটনায় বরখাস্ত এএসআই

- প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
- / ৯৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে ওসিকে ধাক্কা মেরে আহত করে বরখাস্ত হলেন এক এএসআই। ধাক্কা মারার এ ঘটনা দীর্ঘ তদন্তের পর বরখাস্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত রোববার রাতে গণমাধ্যমের কাছে বরখাস্তের বিষয় নিশ্চিত করেন সিএমপির উপকমিশনার আবদুল ওয়ারীশ। তিনি বলেন, নগরীর কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি জাহিদুল কবিরকে ধাক্কা মেরে আহত করায় এএসআই সন্তু শীলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত বছরের ওই ঘটনার সময় সেখানে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের এক সদস্য বলেন, ঈদসামগ্রী বিতরণ করতে গত বছরের ২০ এপ্রিল কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকায় যান তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী। তার বডিগার্ড হিসেবে ছিলেন এএসআই সন্তু শীল। প্রতিমন্ত্রীকে পাশে থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির। এ সময় পেছন থেকে বাঁ হাতের কনুই দিয়ে ওসিকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন এএসআই সন্তু শীল। সঙ্গে সঙ্গে ওসি দাঁড়িয়ে গিয়ে উপমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় ওসির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই দেহরক্ষী। তখন উপমন্ত্রী ওসিকে মঞ্চে যেতে বলেন। উপমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার পর ওসি জাহিদুল তাকে বিষয়টি খুলে বলেন। উপমন্ত্রী ওসিকে এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিতে বলেন। পরে ওসি কবির নিজ থানায় জিডি করেন। পাশাপাশি তিনি সিএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনার সময় এএসআই সন্তু শীল সিএমপির বিশেষ শাখার এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ২৫ এপ্রিল তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এডিসি আসিফ মহিউদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত এএসআই দীর্ঘ চার বছর ধরে তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রীর বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এএসআই সন্তুর বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিভাগীয় মামলা হয়। গত ২ মে পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে তাকে প্রশাসনিক কারণে সিএমপি থেকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়। পরে রেঞ্জ কার্যালয় থেকে তাকে বাগেরহাট জেলা পুলিশে যোগদান করতে বলা হয়। এরপর জেলা পুলিশের নির্দেশে তিনি ফকিরহাট মডেল থানায় যোগ দেন।
এরই মধ্যে পুলিশের বিভাগীয় অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ওঠা ওসিকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছরের ১১ জুন সিএমপি অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। সিএমপির চিঠি পেয়ে ফকিরহাট থানা পুলিশ তাকে ছাড়পত্র দিয়ে জেলা পুলিশ লাইন্সে যোগ দিতে বলে। পরে এএসআই সন্তু ছাড়পত্র গ্রহণ করেও পুলিশ লাইন্সে আর যোগ দেননি।