০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঘোড়াশালে স্ত্রী হত্যা, দাফনের আগেই স্বামী গ্রেপ্তার

সাব্বির হোসেন, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামীকে স্ত্রীর দাফনের আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় স্ত্রী সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী রুপন আহমেদ রুপা।

পুলিশ খবর পেয়ে রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।

আজ সোমবার ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্ত্রীর দাফনের আগেই অভিযুক্ত স্বামীকে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো: হারুনুর রশীদ বিপিএম।

গ্রেপ্তারকৃত রুপন আহমেদ রুপা ঘোড়াশালের মিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। নিহত স্ত্রী সুমি আক্তার (২২) একই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, প্রায় ৭ বছর আগে মিয়া পাড়া গ্রামের রুপন আহমেদ রুপার সাথে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। দুই বছর আগে সুমি আক্তার সৌদি আরবে কাজ করতে পাড়ি জমান। দেড় মাস আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলে তার স্বামীর রুপনের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগে থাকতো।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কোন এক সময় ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেয়। পরে সকালে তার চার বছরের এক ছেলে সন্তানকে নিহত সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যায় রুপন আহমেদ রুপা।

পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মো: জসিম উদ্দিন জানান, এই হত্যাকান্ডের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত রুপন আহমেদ রুপাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুপন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় পলাশ থানায় নিহত সুমির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে নরসিংদী কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয়

অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফেইসবুক পেইজে মিথ্যা অপপ্রচার

ঘোড়াশালে স্ত্রী হত্যা, দাফনের আগেই স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ০২:১৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

সাব্বির হোসেন, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামীকে স্ত্রীর দাফনের আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় স্ত্রী সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী রুপন আহমেদ রুপা।

পুলিশ খবর পেয়ে রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।

আজ সোমবার ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্ত্রীর দাফনের আগেই অভিযুক্ত স্বামীকে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো: হারুনুর রশীদ বিপিএম।

গ্রেপ্তারকৃত রুপন আহমেদ রুপা ঘোড়াশালের মিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। নিহত স্ত্রী সুমি আক্তার (২২) একই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, প্রায় ৭ বছর আগে মিয়া পাড়া গ্রামের রুপন আহমেদ রুপার সাথে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। দুই বছর আগে সুমি আক্তার সৌদি আরবে কাজ করতে পাড়ি জমান। দেড় মাস আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলে তার স্বামীর রুপনের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগে থাকতো।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কোন এক সময় ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেয়। পরে সকালে তার চার বছরের এক ছেলে সন্তানকে নিহত সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যায় রুপন আহমেদ রুপা।

পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মো: জসিম উদ্দিন জানান, এই হত্যাকান্ডের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত রুপন আহমেদ রুপাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুপন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় পলাশ থানায় নিহত সুমির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে নরসিংদী কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

Facebook Comments Box