দৃশ্যমান কোনো সংস্কারকাজ সাত দিনেও না হওয়ায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউট ফের অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ইনস্টিটিউটটি অবরোধ করেন তারা।

চারুকলার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাবেক সিটি মেয়র, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মূল ক্যাম্পাসে ফেরার আগ পর্যন্ত ইনস্টিটিউট সংস্কারের মাধ্যমে পাঠ উপযোগী করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সাত দিন পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো সংস্কার না হওয়ায় ফের ইনস্টিটিউট অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন তারা। মূল ক্যাম্পাসে ফেরার আগ পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

চারুকলার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আসার এক সপ্তাহেও কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্লাসরুম, ডাইনিং, বাথরুম সংস্কার করতে পারেনি। সুতরাং আমরা এখন মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা এক দাবিতে অবরোধে নেমেছি। এখন আমাদের আর কেউ আশ্বস্ত করতে পারবে না। আমাদের এবারের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুফিয়া বেগমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় তারা শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধও ফিরিয়ে দেন।

এরপর জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। তবে মূল ক্যাম্পাসে ফেরার আগ পর্যন্ত খোলা মাঠেই ক্লাস করবেন বলে জানিয়েছিলেন তারা।

গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন দাবি মানতে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে ২২ দফা দাবি পরিবর্তন করে হঠাৎ মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা এক দাবিতে রূপ নেয় আন্দোলন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট