১১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

“ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক”

  • Khalid Hasan Ripu
  • আপডেট : ০৪:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক|

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যন বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

উল্লেখ্য, বিএনপি চায় তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে কিন্তু পুলিশ বলছে, রাস্তায় সমাবেশ বা কোনো জমায়েত হওয়া যাবে না। পুলিশ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে অনড় রয়েছে। এরপর আরামবাগের আইডিয়াল স্কুলের সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য বিএনপি অনুমতি চাইলে পুলিশে তাতে সাড়া দেয়নি। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইতজেমার ময়দান অথবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে বিএনপি চাইলে সমাবেশ করতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে পুলিশের কোনো আপত্তি নেই বলেও গতকাল (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

এই সমাবেশ ঘিরে বুধবার বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক বন্ধ করে দলটির নেতাকর্মীদের জমায়েত হওয়ায় পুলিশ তাদের সরাতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার একপাশ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

দুই পক্ষের পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষে মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেক বিএনপি নেতাকর্মী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এ সংঘর্ষ শুরু হলো। সকাল থেকেই পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পল্টন এলাকা। গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box
সম্পাদনাকারীর তথ্য

Khalid Hasan Ripu

জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে জাল টাকাসহ আটক-১

error: Content is protected !!

“ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক”

আপডেট : ০৪:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক|

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যন বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

উল্লেখ্য, বিএনপি চায় তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে কিন্তু পুলিশ বলছে, রাস্তায় সমাবেশ বা কোনো জমায়েত হওয়া যাবে না। পুলিশ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে অনড় রয়েছে। এরপর আরামবাগের আইডিয়াল স্কুলের সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য বিএনপি অনুমতি চাইলে পুলিশে তাতে সাড়া দেয়নি। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইতজেমার ময়দান অথবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে বিএনপি চাইলে সমাবেশ করতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে পুলিশের কোনো আপত্তি নেই বলেও গতকাল (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

এই সমাবেশ ঘিরে বুধবার বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক বন্ধ করে দলটির নেতাকর্মীদের জমায়েত হওয়ায় পুলিশ তাদের সরাতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার একপাশ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

দুই পক্ষের পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষে মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেক বিএনপি নেতাকর্মী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এ সংঘর্ষ শুরু হলো। সকাল থেকেই পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পল্টন এলাকা। গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box