ডিসি, ইউএনও-এসিল্যান্ড সরকারি খাল ও সেতু ভরাট করে মাটির ব্যবসা করতে আমারে সহযোগিতা করে
- প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
- / ১২৬ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রতিদিনের পোস্ট: ডিসি, ইউএনও-এসিল্যান্ড সরকারি খাল ও সেতু ভরাট করে মাটির ব্যবসা করতে আমারে সহযোগিতা করে, এমন সাংবাদিক আমি প্রতিদিন পয়দা করি বলে সাংবাদিকদের গাল মন্দ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দক্ষিন পৌতলার বাসিন্দা রুবেল মিয়া (৪০)। তিনি আরো জানান, আমি হুমায়ুন ভাতিজা ও বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়রের লোক। মোবাইলে ভিডিও করা বন্ধ করেন, নাইলে মোবাইল জায়গামত হান্দায়া দিমো!
নবীনগর উপজেলার রসুলপুরের তিতাস নদীর খরস্রোতা পানি প্রবাহ বন্ধ করে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে ব্যবসা করছেন সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা সরজমিনে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুরপুর সড়কের পাঁচ ভিটা নামক স্থানের তিতাস নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে সরকারি সেতু ভরাট করে ফসলি জমির মাটি কেটে ব্যবসা করছেন প্রভাবশালী রুবেল মিয়া।
দেখা যায়, সেতুটির নীচের অংশ মাটি দিয়ে পুরোপুরি ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এতে করে এলাকার তিতাস নদীর দুই পারের পানি প্রবাহ পুরপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। মাটি কাটার জন্য রয়েছে ৩টি ভেকু মেশিন ও অবৈধ ২টি মাটিকাটার ড্রেজার মেশিন। তিনি দেদারসে ফসলি জমির মাটি কেটে রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
স্থানীয়রা জানান, রুবেল দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে এলাকায় মাটির ব্যবসা করেন।
রসুলপুর বিল থেকে ফসলি জমি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় অনেক মাটি নিয়ে গেছে। কেউ বাধা দিয়ে তাকে আটকাতে পারেনা। তার মার মুখি আচরণে এলাকার কেউ এসব বিষয়ে কথা বলতে সাহস পায় না। রসুলপুর গ্রামের অনেকেই তার মাটির ব্যবসার সাথে জরিত।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহামুদা জাহান জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধভাবে ফসলি জমি কেটে মাটি ব্যবসা করার বিষয়ে কোন ছাড় নেই। সে যত বড় প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।