০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

“দুর্দান্ত জয়ে ৩৬ বছর পর নকআউট পর্বে মরক্কো”

  • Khalid Hasan Ripu
  • আপডেট : ০৬:২২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || দুর্দান্ত জয়ে ৩৬ বছর পর নকআউট পর্বে মরক্কো|

কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মরক্কো। এ জয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে পা রাখল আফ্রিকার দেশটি। সবশেষ ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে খেলেছিল মরক্কো। বিশ্বকাপে সেটিই ছিল দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য।

বৃহস্পতিবার ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোনো আসরে পেল একাধিক জয়। বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। হারেনি কোনো ম্যাচে। এদিন শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন হাকিম জিয়াশ। পরে জালের দেখা পান ইউসেফ এন-নেসিরি। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে নিজেরা আত্মঘাতী গোল দেন।

গ্রুপে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ থেকে শেষ করেছে মরক্কো। দুই ড্র ও এক জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। সোনালি প্রজন্মের বেলজিয়ামের শেষটা হলো হতাশায়। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে বিদায় নিল দলটি। কোনো পয়েন্ট পায়নি কানাডা।

এই ম্যাচে ড্র করলেই নকআউপ পর্ব নিশ্চিত এমন সমীকরণে মাঠে নামে মরক্কো। তবে শুরু থেকেই দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।

এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই কানাডা গোলরক্ষকের মারাত্মক ভুলে এগিয়ে যায় মরক্কো। ডিফেন্ডারের দুর্বল ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে ডি-বক্সের বাইরে চলে আসেন গোলরক্ষক মিলান বোরিয়ান। জোরাল শট না নিয়ে কিংবা কোনো সতীর্থকে বল না বাড়িয়ে তিনি নেন লক্ষ্যহীন শট। ছুটে এসে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন হাকিম জিয়াশ।

১৫তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো কানাডা। তবে কাইল ল্যারিনের ক্রসে দূরের পোস্টে ঠিকভাবে শট নিতে পারেননি তাহোন বিউকানান।

খেলার ২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এন-নেসিরি। এই গোলে যথেষ্ট দায় আছে কানাডার কামাল মিলার ও স্টিভেন ভিটোরিয়া। পেছনে থাকার পরও মাঝমাঠ থেকে আসা বলের কাছে তাদের আগে যান এন-নেসিরি। ওই দুই ডিফেন্ডারের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন সেভিয়ার এই ফরোয়ার্ড।

৪০তম মিনিটে অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে সৌভাগ্যের গোলে ব্যবধান কমায় কানাডা। স্যামুয়েল অ্যাডাহকুবির ক্রস নায়েফ আগের্দের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়ে হাত ছোঁয়াতে পারলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। চলতি আসরে এটা প্রথম আত্মঘাতী গোল, বিশ্বকাপের ইতিহাসে শততম।

বিরতির পর আক্রমণ বাড়ায় কানাডা। ৭১তম মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল তারা। অ্যাটিবা হাচিনসনের হেড ক্রসবারে লেগে, গোললাইনে পড়ে ফিরে আসে। এরপরও সুযোগ ছিল। কিন্তু অ্যালিস্টার জন্সটন হেড একটুর জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। বেঁচে যায় মরক্কো।

ম্যাচের বাকি সময় মরক্কো রক্ষণে মনোযোগ দিলে আক্রমণ আরও বাড়ায় কানাডা। তবে কোনো গোলের দেখা পায়নি।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box
সম্পাদনাকারীর তথ্য

Khalid Hasan Ripu

সুপেয় পানি ও রাস্তার ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনে: শহীদ এমপি

error: Content is protected !!

“দুর্দান্ত জয়ে ৩৬ বছর পর নকআউট পর্বে মরক্কো”

আপডেট : ০৬:২২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || দুর্দান্ত জয়ে ৩৬ বছর পর নকআউট পর্বে মরক্কো|

কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মরক্কো। এ জয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে পা রাখল আফ্রিকার দেশটি। সবশেষ ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে খেলেছিল মরক্কো। বিশ্বকাপে সেটিই ছিল দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য।

বৃহস্পতিবার ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোনো আসরে পেল একাধিক জয়। বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। হারেনি কোনো ম্যাচে। এদিন শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন হাকিম জিয়াশ। পরে জালের দেখা পান ইউসেফ এন-নেসিরি। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে নিজেরা আত্মঘাতী গোল দেন।

গ্রুপে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ থেকে শেষ করেছে মরক্কো। দুই ড্র ও এক জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। সোনালি প্রজন্মের বেলজিয়ামের শেষটা হলো হতাশায়। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে বিদায় নিল দলটি। কোনো পয়েন্ট পায়নি কানাডা।

এই ম্যাচে ড্র করলেই নকআউপ পর্ব নিশ্চিত এমন সমীকরণে মাঠে নামে মরক্কো। তবে শুরু থেকেই দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।

এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই কানাডা গোলরক্ষকের মারাত্মক ভুলে এগিয়ে যায় মরক্কো। ডিফেন্ডারের দুর্বল ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে ডি-বক্সের বাইরে চলে আসেন গোলরক্ষক মিলান বোরিয়ান। জোরাল শট না নিয়ে কিংবা কোনো সতীর্থকে বল না বাড়িয়ে তিনি নেন লক্ষ্যহীন শট। ছুটে এসে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন হাকিম জিয়াশ।

১৫তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো কানাডা। তবে কাইল ল্যারিনের ক্রসে দূরের পোস্টে ঠিকভাবে শট নিতে পারেননি তাহোন বিউকানান।

খেলার ২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এন-নেসিরি। এই গোলে যথেষ্ট দায় আছে কানাডার কামাল মিলার ও স্টিভেন ভিটোরিয়া। পেছনে থাকার পরও মাঝমাঠ থেকে আসা বলের কাছে তাদের আগে যান এন-নেসিরি। ওই দুই ডিফেন্ডারের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন সেভিয়ার এই ফরোয়ার্ড।

৪০তম মিনিটে অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে সৌভাগ্যের গোলে ব্যবধান কমায় কানাডা। স্যামুয়েল অ্যাডাহকুবির ক্রস নায়েফ আগের্দের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়ে হাত ছোঁয়াতে পারলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। চলতি আসরে এটা প্রথম আত্মঘাতী গোল, বিশ্বকাপের ইতিহাসে শততম।

বিরতির পর আক্রমণ বাড়ায় কানাডা। ৭১তম মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল তারা। অ্যাটিবা হাচিনসনের হেড ক্রসবারে লেগে, গোললাইনে পড়ে ফিরে আসে। এরপরও সুযোগ ছিল। কিন্তু অ্যালিস্টার জন্সটন হেড একটুর জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। বেঁচে যায় মরক্কো।

ম্যাচের বাকি সময় মরক্কো রক্ষণে মনোযোগ দিলে আক্রমণ আরও বাড়ায় কানাডা। তবে কোনো গোলের দেখা পায়নি।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box