
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || নতুন যে ভেন্যুতে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি|
নয়াপল্টনে সমাবেশের অনড় অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিএনপি প্রতিনিধিদের কথায় এমন আভাস মিলেছে।
বিএনপি ও পুলিশের পক্ষ থেকে কমলাপুর স্টেডিয়াম অথবা বাঙলা কলেজ মাঠ প্রস্তাব করা হয়েছে। দুটি মাঠ পরিদর্শন শেষে বিএনপি তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। সেই মতে পুলিশও বিকল্প স্থানের অনুমতি দিতে পারে।
তবে বিএনপির একাধিক নেতা জানান, কমলাপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশ করার পক্ষে দলটি। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ স্থানের দূরত্বও বেশি নয়।
এদিকে গণসমাবেশের অনুমতি, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেফতারসহ সার্বিক বিষয়ে অবহিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার এ বৈঠক হয়।
সন্ধ্যা সাতটায় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে বৈঠকে করেন তারা।
দুই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু সাংবাদিকদের বলেন, নয়াপল্টনের বিকল্প হিসাবে রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাঙলা কলেজ মাঠে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এছাড়া আরামবাগ ও সেন্ট্রাল রোডসহ কয়েকটি জায়গার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো তারা আমলে নেয়নি। তিনি আরও বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপির গণসমাবেশ হচ্ছে না। তেমনিভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও আমরা যাব না।
পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সমাবেশস্থল নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব আগামীকালই (শুক্রবার) কেটে যাবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, কমলাপুর স্টেডিয়ামে কার্পেটসহ কোনো কিছুর ক্ষতি হলে তা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কমলাপুর স্টেডিয়াম ক্রীড়া পরিষদের অধীনে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বৈঠক চলাকালেই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও ক্রীড়া সচিবকে ফোন করা হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপি প্রতিনিধি দল স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় যান। সেখানে তারা লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলে বিকল্প স্থানের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই হবে বিভাগীয় গণসমাবেশ। বিকল্প গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করা হবে। তবে সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে-নয়াপল্টনের সড়কে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কেউ সেখানে জড়ো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের রাজধানীতে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। ঢাকায় আসতে নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। শহরে প্রত্যেকটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। তল্লাশি করে কাউকে সন্দেহ হলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশি তল্লাশি এড়িয়ে কৌশলে ঢাকায় ঢুকছেন অনেকে।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট