নবীনগরে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
- প্রকাশের সময় : ১১:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা এবং উপজেলা কৃষি অফিসের যৌথ উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে ব্রিধান ৯৫ ধানের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ইব্রাহিম ইউনিয়নে শতাধিক কৃষকের উপস্থিতিতে শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এ ধান চাষে ফলন পাওয়া যায় বিঘা প্রতি ২২ মন। শস্য কর্তন শেষে আলোচনা সভায় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান মো: সিরাজুল ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শিলা প্রমানিক, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোছাঃ তানজিয়াতুল হুসনা।
এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। সেটি মাথায় নিয়ে অতিরিক্ত খাদ্যের চাহিদা পূরণে আমাদেরকে উন্নত জাতের ধান চাষ করে খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আগাম জাতের ব্রি ৯৫ জাত অন্যান্য জাতের চেয়ে অধিক ফলনশীল।
এছাড়াও ব্রি ৯৫ ধানের সাথে অন্যান্য জাতের ধানের পার্থক্য হলো ওইসব ধানের যেখানে রোপন শুরু থেকে কর্তনের সময় লাগে ১৪০ থেকে ১৫০ দিন সেখানে এই ধানের লাগে মাত্র ১২০ দিন। এর ফলে অন্য ধানের চেয়ে প্রায় ১ মাস আগেই এই ধান কেটে কৃষকের উক্ত জমিতে সহজেই শীতকালীন ফসল আলু, সরিষা, মাষকালাইসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য আবাদ করে অধিক লাভবান হতে পারবে। ব্রি ৯৫ ধান গাছের উচ্চতা ৪ ফুট শক্ত কান্ড বা ডাঁটা হয়ে থাকে। ফলে বাতাসে সহজে হেলে পড়ে না। রোগ বালাইও কম হয়। শতকরা ২০ ভাগ কম সারে এই ধান চাষ করা হয়। সোনালী রংয়ের ধান হয় মাঝারি চিকন। এই জাতের ধানের চালের ভাত হয় হালকা সুগন্ধীযুক্ত।