
মোঃ আলমগীর খন্দকার, নবীনগর: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ দ. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খন্দকার মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে প্রধানশিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, মুহিবুর রহমান কিছু এলাকাবাসির স্বাক্ষর নিয়ে প্রধানশিক্ষক কুহিনূর বেগম ও সহকারী শিক্ষক রাজিয়া সুলতানাকে অভিযুক্ত করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একাধিক অভিযোগপত্র জমা দেন। এসব অভিযোগের তদন্তে এসে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন অভিযোগের সত্যতা পাননি। প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করা, নিয়মিত ক্লাসে না আসা,পাঠদানে অমনোযোগী এমন বহু অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে গত ১৫ নভেম্বর বিদ্যালয়ে আসেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুর রহমান ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল কাইয়ুম ভূঁইয়া।
স্থানীয় চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেনের উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে স্বাক্ষরকারী কয়েকজন জানান, তারা নিজেরাও জানেন না খন্দকার মুহিবুর রহমান স্কুলের ২ শিক্ষককে ফাঁসাতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আরেক স্বাক্ষরকারী জানান, তার কাছ থেকে মসজিদের অনুদানের কথা বলে খন্দকার মুহিবুর রহমান স্যারের নির্দেশে একই এলাকার খন্দকার জালাল নামে এক ব্যক্তি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর আনেন। উল্লেখ্য, উক্ত বিদ্যালয়ে খন্দকার মুহিবুর রহমান ও তার স্ত্রী রোমানা বেগম দুজনেই শিক্ষকতা করতেন। ২০১৯ সালের ৬ আগষ্ট প্রধানশিক্ষকের নির্দেশ অমান্য করে স্বামী- স্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁস করায় বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন প্রধানশিক্ষক কুহিনূর বেগম। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এই দম্পতিকে ডেপুটেশনের নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে রোমানা বেগমকে জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্ত করা হয় এবং খন্দকার মুহিবুর রহমানকে শ্যামগ্রাম দ. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্তি প্রদান করলেও তিনি সেখানে যোগদান করেননি। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, আমরা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তদন্ত সম্পন্ন করি, অভিযোগের কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি।