০৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নবীনগরে সেতু নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগ

ছবিঃ প্রতিদিনের পোস্ট

মো. আলমগীর খন্দকার, নবীনগর: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ড আলমনগরে ভাটা নদীর উপর সেতু নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগে পাওয়া গেছে। 

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ সেতুটির উপরের অংশের গার্ডারের ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ঢালায়ে বালির পরিমান বেশি দিয়ে পাথর ও সিমেন্ট কম দিচ্ছেন ঠিকাদার। আমরা বিষয়টি উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ারদের জানালেও তারা আমাদের কথা আমলে নিচ্ছে না। তারা প্রতিদিনের পোস্টকে আরো জানান, ঠিকাদার চালাকি করে বালির উপরে পাথর বিছিয়ে তারা বালু পাথর একসাথে করে রেখেছে। এভাবে সেতু নির্মান হলে এটি টেকসই হবে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন সেতুর কাজ চলমান। বালি ও পাথর একসাথে রেখে সেতুর উপরের অংশের গার্ডারের ঢালাই করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। বালু ও পাথরের মধ্যে বালুর পরিমাণই বেশি দেখা যাচ্ছে। ঢালাই দেওয়ার মাঝ পথে সিমেন্ট শেষ হয়ে গেছে বলে জানান নির্মান শ্রমিকরা। কিছুক্ষণ ঢালাই কাজ বন্ধ থাকার পর সিমেন্ট এলে আবারো ঢালাই কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা।

সরেজমিনে উপস্থিত থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান স্থানীয়দের কাছে বলেন, শুধু বালি দিয়ে কাজ ধরা আছে তাই গার্ডারের ঢালাইয়ের কাজ এই নিয়মে চলছে।

স্থানীয় ঠিকাদারের লোক ইমন জানান, আমরা নিয়ম মেনে সঠিক ভাবেই ঢালাই কাজ করছি। বালি পরিমান বেশি থাকলেও পাথর আমরা কম দিচ্ছি না। এখানে বালি পাথর মিক্স রয়েছে। সেতুটির দায়িত্বরত ঠিকাদার লোকমান আহমেদকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

নবীনগর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক হাসান প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, গার্ডার ঢালাইয় নিয়ম মেনে পাথর মিক্সটিং না করলে গার্ডার ফেটে যাবে। কোন প্রকার সুযোগ নেই এখানে কোন কিছু কম দেয়ার। ঢালাই তদারকি করতে আমাদের জেলা অফিস থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয়

অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফেইসবুক পেইজে মিথ্যা অপপ্রচার

নবীনগরে সেতু নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ : ১২:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

মো. আলমগীর খন্দকার, নবীনগর: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ড আলমনগরে ভাটা নদীর উপর সেতু নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগে পাওয়া গেছে। 

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ সেতুটির উপরের অংশের গার্ডারের ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ঢালায়ে বালির পরিমান বেশি দিয়ে পাথর ও সিমেন্ট কম দিচ্ছেন ঠিকাদার। আমরা বিষয়টি উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ারদের জানালেও তারা আমাদের কথা আমলে নিচ্ছে না। তারা প্রতিদিনের পোস্টকে আরো জানান, ঠিকাদার চালাকি করে বালির উপরে পাথর বিছিয়ে তারা বালু পাথর একসাথে করে রেখেছে। এভাবে সেতু নির্মান হলে এটি টেকসই হবে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন সেতুর কাজ চলমান। বালি ও পাথর একসাথে রেখে সেতুর উপরের অংশের গার্ডারের ঢালাই করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। বালু ও পাথরের মধ্যে বালুর পরিমাণই বেশি দেখা যাচ্ছে। ঢালাই দেওয়ার মাঝ পথে সিমেন্ট শেষ হয়ে গেছে বলে জানান নির্মান শ্রমিকরা। কিছুক্ষণ ঢালাই কাজ বন্ধ থাকার পর সিমেন্ট এলে আবারো ঢালাই কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা।

সরেজমিনে উপস্থিত থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান স্থানীয়দের কাছে বলেন, শুধু বালি দিয়ে কাজ ধরা আছে তাই গার্ডারের ঢালাইয়ের কাজ এই নিয়মে চলছে।

স্থানীয় ঠিকাদারের লোক ইমন জানান, আমরা নিয়ম মেনে সঠিক ভাবেই ঢালাই কাজ করছি। বালি পরিমান বেশি থাকলেও পাথর আমরা কম দিচ্ছি না। এখানে বালি পাথর মিক্স রয়েছে। সেতুটির দায়িত্বরত ঠিকাদার লোকমান আহমেদকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

নবীনগর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক হাসান প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, গার্ডার ঢালাইয় নিয়ম মেনে পাথর মিক্সটিং না করলে গার্ডার ফেটে যাবে। কোন প্রকার সুযোগ নেই এখানে কোন কিছু কম দেয়ার। ঢালাই তদারকি করতে আমাদের জেলা অফিস থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে।

Facebook Comments Box