১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নবীনগরে স্কুলের জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষক

  • ডেস্ক নিউজ Post
  • আপডেট : ১০:৪৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রতিদিনের পোস্ট:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের শাহপুর জয়দুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে টেন্ডার বা বিক্রয়ের অনুমতি না নিয়েই ক্ষমতাবলে একটি জমি বিক্রি করে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ও ওই বিদ্যালয়ের একটি পুকুর ভরাটের জন্য আরো ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক খাইরুল বাশার এর বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চাকুরী সহ বিভিন্ন প্রলোবনে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন শিক্ষক খাইরুল বাশার। এখন ঐ টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন তিনি। একজন প্রধান শিক্ষকের এমন প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক সহ পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বাশার তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, সবগুলো ঘটনাই সত্য, একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে এর দায় আমি কখনো এড়াতে পারিনা। তবে তা অদৃশ্য কারণে আমার করতে হয়েছে।
শাহপুর জয়দুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, আমার পূর্বের কমিটি থাকাকালীন স্কুলের একটি জমি সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা বিক্রি করা হয়। তবে সেই টাকা স্কুলের একাউন্টে জমা হয়নি এমনকি কোন রেজুলেশনও নেই। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে একটি শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে অডিটও চেয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই অডিটকে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক অফিসার মোকাররম হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Facebook Comments Box
সম্পাদনাকারীর তথ্য

ডেস্ক নিউজ Post

জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে জাল টাকাসহ আটক-১

error: Content is protected !!

নবীনগরে স্কুলের জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষক

আপডেট : ১০:৪৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রতিদিনের পোস্ট:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের শাহপুর জয়দুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে টেন্ডার বা বিক্রয়ের অনুমতি না নিয়েই ক্ষমতাবলে একটি জমি বিক্রি করে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ও ওই বিদ্যালয়ের একটি পুকুর ভরাটের জন্য আরো ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক খাইরুল বাশার এর বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চাকুরী সহ বিভিন্ন প্রলোবনে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন শিক্ষক খাইরুল বাশার। এখন ঐ টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন তিনি। একজন প্রধান শিক্ষকের এমন প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক সহ পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বাশার তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, সবগুলো ঘটনাই সত্য, একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে এর দায় আমি কখনো এড়াতে পারিনা। তবে তা অদৃশ্য কারণে আমার করতে হয়েছে।
শাহপুর জয়দুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, আমার পূর্বের কমিটি থাকাকালীন স্কুলের একটি জমি সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা বিক্রি করা হয়। তবে সেই টাকা স্কুলের একাউন্টে জমা হয়নি এমনকি কোন রেজুলেশনও নেই। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে একটি শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে অডিটও চেয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই অডিটকে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক অফিসার মোকাররম হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Facebook Comments Box