০৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

“পার্টি অফিসে বোমা বিএনপির সন্ত্রাসী পরিকল্পনারই প্রমাণ:তথ্যমন্ত্রী”

  • Khalid Hasan Ripu
  • আপডেট : ০৪:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || পার্টি অফিসে বোমা বিএনপির সন্ত্রাসী পরিকল্পনারই প্রমাণ:তথ্যমন্ত্রী|

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পার্টি অফিসে বোমা রেখে সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য গোঁ ধরে থেকে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বিএনপি অফিস থেকে ১৫টি তাজা বোমা, ২ লাখ পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল, রান্না করা খিচুড়ি, হাড়ি-পাতিল এবং দুই লাখ নগদ টাকা উদ্ধারের কথা উল্লে­খ করেন। বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর ওই অফিসে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বিশেষ করে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে সমাবেশ হয়, তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হয়। আমরা দুই সপ্তাহ ধরে বারবার বলেছি, আপনারা যাতে বড় সমাবেশ করতে পারেন সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে। কিন্তু না, তারা বিশৃঙ্খলা করার জন্য নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে। এটা তো সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সবাই করতে পারে। সরকার যদি সহায়তা না করত, নিরাপত্তা বিধান না করত তাহলে বিএনপির পক্ষে কখনো দেশের নয়টি জায়গায় বড় সমাবেশ করা সম্ভব হতো না।

হাছান মাহমুদ বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যার অপচেষ্টাসহ ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা ও পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করা হয়। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা চালিয়ে এক ডজন মানুষকে হত্যা করা হয়। কিবরিয়া সাহেব এবং আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। অথচ ১৪ বছর ধরে আমরা ক্ষমতায়, তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করেছে।

মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাসের গ্রেফতার প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে পাঁচশ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ হাজার মানুষকে আগুনে দগ্ধ করা, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পোড়ানো এবং লঞ্চ-ট্রেন পোড়ানোর হুকুমদাতা হিসেবে আসামি। তারা আদালতকেও বৃদ্ধাগুলি দেখিয়েছে, হাজিরা পর্যন্ত দেয়নি। গত ৭ তারিখ নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা করা হলো। পরে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ১৫টি তাজা বোমা পাওয়া গেল। এগুলোর হুকুমদাতাও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস সাহেব। আর তাজা বোমা নিয়ে যখন কেউ পার্টি অফিসে বসে থাকে, তখন তারা তো অপরাধী। তারা তাজা বোমা নিয়ে কেন বসে ছিল? এ সব কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা শুরু থেকেই রাজি ছিল, এমন কি পুলিশের সঙ্গে প্রথম দুটি বৈঠকে বিএনপিই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের প্রস্তাব দিয়েছিল। তারেক রহমানের নির্দেশেই তারা বিগড়ে যায়। মিরপুরে পল্ল­বী, কালসী মাঠ, ইজতেমার ময়দান, বাণিজ্য মেলার মাঠ- এমন চার-পাঁচটি বিকল্প প্রস্তাবও তারা উপেক্ষা করে।

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। খুন, চোরাচালান, মানিলন্ডারিংয়ের আসামি। এমন একজন আসামির নেতৃত্বে যখন দল পরিচালিত হয়, সেই দল অপরাধী-আসামি-সন্ত্রাসীর মতোই আচরণ করবে; এটাই স্বাভাবিক।’

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৭ তারিখের ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন। অবশ্যই তদন্ত হবে। পুলিশ তো বিএনপি অফিসে বোমা পেয়েছে। কারা বোমা রেখেছিল, কারা বোমা বানিয়েছিল, বানানোর টাকা কারা দিয়েছে আর পুলিশের ওপর হামলা- এগুলোর তদন্ত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে

তিনি বলেন, সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা করেছিল। সেটি যেমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সেটার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে যেমন তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ওই ঘটনায় মামলা পরিচালিত হচ্ছে, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও অভিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তোলা। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করা গণমাধ্যমের কাজ নয়। সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যায়। কোনো গণমাধ্যমেরই রাজনীতি করা সমীচীন নয়। আমি আশা করব তারা রাজনীতি করবে না, গণমাধ্যম হিসাবেই কাজ করবে। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে তার মানে মানুষকে মিস-লিড করার অপচর্চা কোনোভাবেই কাম্য নয়

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box
সম্পাদনাকারীর তথ্য

Khalid Hasan Ripu

error: Content is protected !!

“পার্টি অফিসে বোমা বিএনপির সন্ত্রাসী পরিকল্পনারই প্রমাণ:তথ্যমন্ত্রী”

আপডেট : ০৪:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || পার্টি অফিসে বোমা বিএনপির সন্ত্রাসী পরিকল্পনারই প্রমাণ:তথ্যমন্ত্রী|

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পার্টি অফিসে বোমা রেখে সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য গোঁ ধরে থেকে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বিএনপি অফিস থেকে ১৫টি তাজা বোমা, ২ লাখ পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল, রান্না করা খিচুড়ি, হাড়ি-পাতিল এবং দুই লাখ নগদ টাকা উদ্ধারের কথা উল্লে­খ করেন। বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর ওই অফিসে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বিশেষ করে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে সমাবেশ হয়, তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হয়। আমরা দুই সপ্তাহ ধরে বারবার বলেছি, আপনারা যাতে বড় সমাবেশ করতে পারেন সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে। কিন্তু না, তারা বিশৃঙ্খলা করার জন্য নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে। এটা তো সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সবাই করতে পারে। সরকার যদি সহায়তা না করত, নিরাপত্তা বিধান না করত তাহলে বিএনপির পক্ষে কখনো দেশের নয়টি জায়গায় বড় সমাবেশ করা সম্ভব হতো না।

হাছান মাহমুদ বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যার অপচেষ্টাসহ ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা ও পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করা হয়। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা চালিয়ে এক ডজন মানুষকে হত্যা করা হয়। কিবরিয়া সাহেব এবং আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। অথচ ১৪ বছর ধরে আমরা ক্ষমতায়, তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করেছে।

মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাসের গ্রেফতার প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে পাঁচশ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ হাজার মানুষকে আগুনে দগ্ধ করা, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পোড়ানো এবং লঞ্চ-ট্রেন পোড়ানোর হুকুমদাতা হিসেবে আসামি। তারা আদালতকেও বৃদ্ধাগুলি দেখিয়েছে, হাজিরা পর্যন্ত দেয়নি। গত ৭ তারিখ নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা করা হলো। পরে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ১৫টি তাজা বোমা পাওয়া গেল। এগুলোর হুকুমদাতাও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস সাহেব। আর তাজা বোমা নিয়ে যখন কেউ পার্টি অফিসে বসে থাকে, তখন তারা তো অপরাধী। তারা তাজা বোমা নিয়ে কেন বসে ছিল? এ সব কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা শুরু থেকেই রাজি ছিল, এমন কি পুলিশের সঙ্গে প্রথম দুটি বৈঠকে বিএনপিই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের প্রস্তাব দিয়েছিল। তারেক রহমানের নির্দেশেই তারা বিগড়ে যায়। মিরপুরে পল্ল­বী, কালসী মাঠ, ইজতেমার ময়দান, বাণিজ্য মেলার মাঠ- এমন চার-পাঁচটি বিকল্প প্রস্তাবও তারা উপেক্ষা করে।

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। খুন, চোরাচালান, মানিলন্ডারিংয়ের আসামি। এমন একজন আসামির নেতৃত্বে যখন দল পরিচালিত হয়, সেই দল অপরাধী-আসামি-সন্ত্রাসীর মতোই আচরণ করবে; এটাই স্বাভাবিক।’

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৭ তারিখের ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন। অবশ্যই তদন্ত হবে। পুলিশ তো বিএনপি অফিসে বোমা পেয়েছে। কারা বোমা রেখেছিল, কারা বোমা বানিয়েছিল, বানানোর টাকা কারা দিয়েছে আর পুলিশের ওপর হামলা- এগুলোর তদন্ত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে

তিনি বলেন, সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা করেছিল। সেটি যেমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সেটার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে যেমন তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ওই ঘটনায় মামলা পরিচালিত হচ্ছে, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও অভিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তোলা। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করা গণমাধ্যমের কাজ নয়। সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যায়। কোনো গণমাধ্যমেরই রাজনীতি করা সমীচীন নয়। আমি আশা করব তারা রাজনীতি করবে না, গণমাধ্যম হিসাবেই কাজ করবে। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে তার মানে মানুষকে মিস-লিড করার অপচর্চা কোনোভাবেই কাম্য নয়

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box