০১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পা দিয়ে লিখে গোল্ডেন জিপিএ- ৫ পেলো অদম্য মানিক

  • ডেস্ক নিউজ Post
  • আপডেট : ০১:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

জন্ম থেকেই মানিক রহমানের দুই হাত নেই। দুটি পা থাকলেও একটি লম্বা এবং অন্যটি ছোট। শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাত্র মানিক রহমান অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে অন্যান্য সুস্থ-স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের মতো লিখে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

অদম্য মেধাবী মানিক রহমান এ বছর ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়েছিল এসএসসি পরীক্ষায়।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ল্যাপটপ পা দিয়ে চালিয়ে পরীক্ষার ফল বের করে মানিক। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর মানিকের গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে সবাই মুগ্ধ।

প্রতিবন্দি মানিকের সাফল্যে খুশি এলাকাবাসী। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও মা প্রভাষক মরিয়ম বেগমের ছেলে। বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলকে পুঁজি করে সে পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও জেএমসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

পা দিয়ে লিখে শুধু ভালো রেজাল্ট নয়, সে পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারনেট ব্যবহারেও পারদর্শী। তাই মানিক রহমান ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সবার দোয়া কামনা করেন।

পরিবারের বড় ছেলে মানিক। তার দুটো হাত না থাকলেও পড়ালেখা থেকে কখনও পিছিয়ে পড়েনি এই লড়াকু সৈনিক তিনি। অদম্য মেধাবী মানিক রহমান ফুলবাড়ীর জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। মানিকের এমন ফলাফলে মুগ্ধ প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী খন্দকার।

মানিকের বাবা মিজানুর রহমান ও মা মরিয়ম বেগম প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, আমার দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়। ছোট ছেলে মাহীম ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বড় ছেলে মানিক প্রতিবন্ধী এটা আমরা মনে করি না। জন্ম থেকেই তার দুটো হাত না থাকলেও ছোট থেকে আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি।

সমাজে অনেক সুস্থ ও স্বাভাবিক ছেলে-মেয়েদের চেয়েও মানিক পিএসসি ও জেএসসিতে ভাল রেজাল্ট করেছে। এটা আমাদের গর্ব। সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

মানিক রহমান বলেন, আমার দুটো হাত না থাকলেও আল্লাহ রহমতে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমি এর আগে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ-প্লাস পাই। সে আরও বলেন, আমি এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি এবং ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box
সম্পাদনাকারীর তথ্য

ডেস্ক নিউজ Post

error: Content is protected !!

পা দিয়ে লিখে গোল্ডেন জিপিএ- ৫ পেলো অদম্য মানিক

আপডেট : ০১:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

জন্ম থেকেই মানিক রহমানের দুই হাত নেই। দুটি পা থাকলেও একটি লম্বা এবং অন্যটি ছোট। শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাত্র মানিক রহমান অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে অন্যান্য সুস্থ-স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের মতো লিখে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

অদম্য মেধাবী মানিক রহমান এ বছর ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়েছিল এসএসসি পরীক্ষায়।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ল্যাপটপ পা দিয়ে চালিয়ে পরীক্ষার ফল বের করে মানিক। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর মানিকের গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে সবাই মুগ্ধ।

প্রতিবন্দি মানিকের সাফল্যে খুশি এলাকাবাসী। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও মা প্রভাষক মরিয়ম বেগমের ছেলে। বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলকে পুঁজি করে সে পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও জেএমসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

পা দিয়ে লিখে শুধু ভালো রেজাল্ট নয়, সে পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারনেট ব্যবহারেও পারদর্শী। তাই মানিক রহমান ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সবার দোয়া কামনা করেন।

পরিবারের বড় ছেলে মানিক। তার দুটো হাত না থাকলেও পড়ালেখা থেকে কখনও পিছিয়ে পড়েনি এই লড়াকু সৈনিক তিনি। অদম্য মেধাবী মানিক রহমান ফুলবাড়ীর জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। মানিকের এমন ফলাফলে মুগ্ধ প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী খন্দকার।

মানিকের বাবা মিজানুর রহমান ও মা মরিয়ম বেগম প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, আমার দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়। ছোট ছেলে মাহীম ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বড় ছেলে মানিক প্রতিবন্ধী এটা আমরা মনে করি না। জন্ম থেকেই তার দুটো হাত না থাকলেও ছোট থেকে আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি।

সমাজে অনেক সুস্থ ও স্বাভাবিক ছেলে-মেয়েদের চেয়েও মানিক পিএসসি ও জেএসসিতে ভাল রেজাল্ট করেছে। এটা আমাদের গর্ব। সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

মানিক রহমান বলেন, আমার দুটো হাত না থাকলেও আল্লাহ রহমতে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমি এর আগে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ-প্লাস পাই। সে আরও বলেন, আমি এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি এবং ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box