ঢাকা
,
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নবীনগরে মাজার থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
নবীনগর সরকারি কলেজে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
নবীনগরে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
নবীনগরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
লিভ টুগেদার ইস্যুতে স্বাগতাকে আইনি নোটিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বছরের প্রথম দিনেই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১০
যে দেশ এআই দিয়ে তৈরি করেছে ১.৮ কোটি ডিপফেক ছবি
প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ইন্দোনেশিয়ান তরুণী হারালেন আইফোন
প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউক্রেনের যুবক
ব্যতিক্রমি সাজা শেষে আদালতের গাছ উপহার
প্রতিনিধির নাম
- প্রকাশের সময় : ০১:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৭২ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার রায়ে এক বছরের সাজা কমল খংলার (৩৫) হয়েছিল। তবে আদালত তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে পারিবারিক পরিবেশে একজন প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে পরিশুদ্ধ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতের আদেশে মুক্ত হয়েছেন কমল খংলা। একই সাথে তাকে তিনটি ফলজ গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। কমল মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার অহিদাবাদ চা বাগানের ধনু খংলার ছেলে।রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের উদ্যোগে কমল খংলার হাতে একটি আম, পেয়ারা ও জি-৯ উন্নত জাতের কলা গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। আদালত প্রাঙ্গণে চারা প্রদানকালে বড়লেখা আদালতের সহকারী আইন কর্মকর্তা (এপিপি) গোপাল দত্ত, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আদালত পুলিশের সিএসআই ফখরুজ্জামান, জিআরও পিযুষ কান্তি দাস, ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী মো. রিপন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বড়লেখা আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, কমল খংলার (৩৫) বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা (নম্বর জিআর ৪০/২২) ছিল।
এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালতের বিচারকের রায়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরিবারের সদস্যদের সাথে থেকে কমলের এক বছরের সাজাভোগ শুরু হয়। এই সময় বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বন বিভাগের স্থানীয় নার্সারিতে কাজ করতেন কমল খংলা। গত ৩১ আগস্ট তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। প্রবেশন চলাকালে কমল সব শর্ত পূরণ করেছেন।এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী মো. রিপন মিয়া।চূড়ান্তভাবে মুক্ত হয়ে খুশি কমল খংলা। আদালত প্রাঙ্গণে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘আমি দরিদ্র মানুষ। আর মাদকের সাথে জড়িত হব না। স্যার (ম্যাজিস্ট্রেট) আমাকে ভালো হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। ’প্রবেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস রোববার (৩রা সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, ‘প্রবেশনের সব শর্ত মেনে খুব ভালোভাবে কমল খংলা বনভিবাগের নার্সারিতে কাজ করেছেন।’
ট্যাগস :