১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

“ভরে গেছে গোলাপবাগ মাঠ, স্লোগানে মুখর”

  • Khalid Hasan Ripu
  • আপডেট : ০২:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || ভরে গেছে গোলাপবাগ মাঠ, স্লোগানে মুখর|

বিএনপিকে ২৬ শর্তে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নানা নাটকীয়তার পর আজ শুক্রবার বিকেলে এ অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পরই গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

বিকেল থেকে গোলাপ মাঠে আসতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভিন্ন দলে স্লোগান নিয়ে মাঠে ঢুকতে দেখা যায় তাদের। সন্ধ্যার আগেই নেতাকর্মীতে পূর্ণ হয়ে যায় গোলাপবাগ মাঠ।

নেতাকর্মীদের উপস্থিতির প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী সমাবেশস্থল থেকে আমাদের সময়কে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যার ভেতরে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এখানে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন, এখনই সমাবেশের আমেজ তৈরি হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই নেতাকর্মীরা সমাবেশেস্থলে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। তাই অনুমতি পাওয়ার পরপরই তারা ছুটে আসেন।’

নিপুণ রায় চৌধুরী জানান, গোপালবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি বিএনপি চেয়েছিল, তারা সেই অনুমতি পেয়েছে। এটা বিএনপির অর্জন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক বলেন, ‘সমাবেশের জন্য আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। অনুমতি পাওয়ার পর নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিয়েছি। খবর পেয়েই তারা সমাবেশস্থলে চলে আসছে।’

বিভিন্ন দাবিতে দলের সব সাংগঠনিক বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ঢাকা ব্যতীত সারাদেশে এ সমাবেশ করেছে তারা। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর এ নিয়ে শুরু হয় জটিলতা।

ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে জানায়। এরই মধ্যে গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন, বহু আহত হন।

ওই দিন বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৫০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করে বিএনপি।

ভেন্যু জটিলতায় সরকারের পক্ষ থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ ও পূর্বাচলের বাণিজ্যমেলার মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেয় ডিএমপি। অন্যদিকে, শান্তিনগর ও আরামবাগ মাঠে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।

গতকাল ডিএমপির পক্ষ থেকে মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি চায় কমলাপুর স্টেডিয়াম। রাতে বিএনপি নেতারা মাঠ দুটি পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে মধ্যরাতে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে রাজধানীর শাহজাহাপুরেরর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাছাকাছি সময়ে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box
সম্পাদনাকারীর তথ্য

Khalid Hasan Ripu

জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে জাল টাকাসহ আটক-১

error: Content is protected !!

“ভরে গেছে গোলাপবাগ মাঠ, স্লোগানে মুখর”

আপডেট : ০২:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || ভরে গেছে গোলাপবাগ মাঠ, স্লোগানে মুখর|

বিএনপিকে ২৬ শর্তে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নানা নাটকীয়তার পর আজ শুক্রবার বিকেলে এ অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পরই গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

বিকেল থেকে গোলাপ মাঠে আসতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভিন্ন দলে স্লোগান নিয়ে মাঠে ঢুকতে দেখা যায় তাদের। সন্ধ্যার আগেই নেতাকর্মীতে পূর্ণ হয়ে যায় গোলাপবাগ মাঠ।

নেতাকর্মীদের উপস্থিতির প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী সমাবেশস্থল থেকে আমাদের সময়কে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যার ভেতরে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এখানে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন, এখনই সমাবেশের আমেজ তৈরি হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই নেতাকর্মীরা সমাবেশেস্থলে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। তাই অনুমতি পাওয়ার পরপরই তারা ছুটে আসেন।’

নিপুণ রায় চৌধুরী জানান, গোপালবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি বিএনপি চেয়েছিল, তারা সেই অনুমতি পেয়েছে। এটা বিএনপির অর্জন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক বলেন, ‘সমাবেশের জন্য আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। অনুমতি পাওয়ার পর নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিয়েছি। খবর পেয়েই তারা সমাবেশস্থলে চলে আসছে।’

বিভিন্ন দাবিতে দলের সব সাংগঠনিক বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ঢাকা ব্যতীত সারাদেশে এ সমাবেশ করেছে তারা। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর এ নিয়ে শুরু হয় জটিলতা।

ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে জানায়। এরই মধ্যে গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন, বহু আহত হন।

ওই দিন বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৫০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করে বিএনপি।

ভেন্যু জটিলতায় সরকারের পক্ষ থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ ও পূর্বাচলের বাণিজ্যমেলার মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেয় ডিএমপি। অন্যদিকে, শান্তিনগর ও আরামবাগ মাঠে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।

গতকাল ডিএমপির পক্ষ থেকে মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি চায় কমলাপুর স্টেডিয়াম। রাতে বিএনপি নেতারা মাঠ দুটি পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে মধ্যরাতে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে রাজধানীর শাহজাহাপুরেরর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাছাকাছি সময়ে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

Facebook Comments Box