মনোহরদীতে জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ
- প্রকাশের সময় : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১২৯ বার পড়া হয়েছে
তানভীর আহমেদ:- নরসিংদীর মনোহরদীতে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে একপক্ষের গাছপালা কেটে ফেলা, রাস্তা বন্ধ ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দেওয়া হলেও অত্যাচারের মাত্রা কমেনি।
উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের খান বাড়ির মানিক খান এবং শামসুদ্দিন খানের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে চলছে বিরোধ। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। মামলা চলমান থাকলেও জোরপূর্বক জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে ছোট ভাই মানিক খান। কিছুদিন আগে জোরপূর্বক জমি দখলে নিতে গিয়ে ১৫-২০টি ফলদ গাছ কেটে ফেলে মানিক খান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ করেন শামসুদ্দিন খানের ছেলে মধু মিয়া খান । পরে চেয়ারম্যান ফখরুল মান্নান মুক্তুর উপস্থিতিতে স্থানীয় লোকজন নিয়ে জমি মেপে যার যার অবস্থান বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মানিক খান স্থানীয় ফায়সালা না মেনে আবারও অত্যাচার শুরু করেন।
শামসুদ্দিনের ছেলে মধু মিয়া প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, আমার বাবা ৩০ বছর আগে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওই জমি আমাদের ভোগদখলে ছিল। প্রায় ৮ মাস আগে মানিক খান বিদেশ থেকে এসে আমাদের দখলে থাকা জমি জোরপূর্বক দখল নিতে চাইছে। তিনি বাড়ি সংলগ্ন বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো নির্বিচারে কেটে ফেলেছে। তাছাড়া বাড়ির পশ্চিম পাশে আমার পোল্ট্রি খামার রয়েছে। সেখানে খাবার আনা-নেওয়ার জন্য ব্যবহ্রত গাড়ি যাতে আসতে না পারে সেজন্য খুঁটি পুতে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে খুঁটি তুলে ফেলা হলে রাস্তা থেকে মাটি কেটে গর্ত করে রাখা হয়। এসবের প্রতিবাদ জানালে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করার জন্য তেড়ে আসে মানিক খান। তাদের অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিরোধর বিষয়ে নরসিংদী আদালতে মামলা করেন শামসুদ্দিন খান। মামলার তদন্ত দেওয়া হয় মনোহরদী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলামকে। তিনি তদন্ত গিয়ে জমি না মেপে প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দেন। আমাদের দখলে ২০ শতাংশ জমি বিদ্যমান থাকলেও সার্ভেয়ারের প্রতিবেদনে ১৪ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ একই জমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে মানিক খানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
মনোহরদী উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।