১২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুহু মুহু ঘ্রানে চারিদিকে আম্র মুকুল

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

আম্র মুকুল এসেছে,আর মাত্র কয়েক মাস। এরইমধ্যে গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। গাছে-গাছে ছড়িয়ে এই মুকুলে হবে আম। গ্রামবাংলার আনাচেকানাচে রয়েছে ছোট বড় অনেক আম গাছ। কিছু বাড়ি ব্যতীত জুড়ীর প্রায় সব বাড়িতে রয়েছে আম গাছ। এসব গাছে ফুটেছে মুকুল। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। তবে এসব মুকুল থেকে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে অনেক মুকুল টিকে না।উপজেলার বাহাদুরপুর, ফুলতলা, পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের অনেক স্থানে রয়েছে ছোট বড় অনেকগুলো বাগান। মুকুলে ভরে গেছে এসব বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। শরিফুল রহমান নামের আম গাছের এক মালিক জানান, প্রায় ১৫-২০ দিন আগে থেকে তাদের বাড়ির আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে অনেক গাছের মুকুল টিকে না। এলাকা ভিত্তিক এসবের মধ্যে বেশির ভাগ দেশীয় প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা ফজলি, আম রুপালিসহ বিভিন্ন আম গাছ রোপণ করেছেন। এসবেও মুকুল ধরেছে।তিনি বলেন, আবার আম বড় হওয়ার ফলে পোকা ধরে। অনেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এক ধরনের স্প্রে ব্যবহার করেন। বাড়িগুলোতে গাছ কম থাকায় সাধারণত লোকজন স্প্রে ব্যবহার করেন না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বেশিরভাগ গাছের গুড়িতে পানি দেন, গোবর দেন, যাতে উর্বরতা শক্তি বাড়ে।জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, এবছর আম গাছে ভালো মুকুল এসেছে। সাধারণত এ সময়ে মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হয়। এতে মুকুলের পরিপক্বতা পায়। তিনি আরও জানান, তারা গাছের মালিকদেরকে সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। প্রয়োজন বোধে যে কোন পরামর্শ দিতে সব সময় তৈরি।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :
জনপ্রিয়

পিছিয়ে পড়া দেশ আমাদের অনুসরণ করছে; পরিবেশমন্ত্রী

মুহু মুহু ঘ্রানে চারিদিকে আম্র মুকুল

প্রকাশ : ১০:৩২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

আম্র মুকুল এসেছে,আর মাত্র কয়েক মাস। এরইমধ্যে গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। গাছে-গাছে ছড়িয়ে এই মুকুলে হবে আম। গ্রামবাংলার আনাচেকানাচে রয়েছে ছোট বড় অনেক আম গাছ। কিছু বাড়ি ব্যতীত জুড়ীর প্রায় সব বাড়িতে রয়েছে আম গাছ। এসব গাছে ফুটেছে মুকুল। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। তবে এসব মুকুল থেকে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে অনেক মুকুল টিকে না।উপজেলার বাহাদুরপুর, ফুলতলা, পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের অনেক স্থানে রয়েছে ছোট বড় অনেকগুলো বাগান। মুকুলে ভরে গেছে এসব বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। শরিফুল রহমান নামের আম গাছের এক মালিক জানান, প্রায় ১৫-২০ দিন আগে থেকে তাদের বাড়ির আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে অনেক গাছের মুকুল টিকে না। এলাকা ভিত্তিক এসবের মধ্যে বেশির ভাগ দেশীয় প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা ফজলি, আম রুপালিসহ বিভিন্ন আম গাছ রোপণ করেছেন। এসবেও মুকুল ধরেছে।তিনি বলেন, আবার আম বড় হওয়ার ফলে পোকা ধরে। অনেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এক ধরনের স্প্রে ব্যবহার করেন। বাড়িগুলোতে গাছ কম থাকায় সাধারণত লোকজন স্প্রে ব্যবহার করেন না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বেশিরভাগ গাছের গুড়িতে পানি দেন, গোবর দেন, যাতে উর্বরতা শক্তি বাড়ে।জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, এবছর আম গাছে ভালো মুকুল এসেছে। সাধারণত এ সময়ে মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হয়। এতে মুকুলের পরিপক্বতা পায়। তিনি আরও জানান, তারা গাছের মালিকদেরকে সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। প্রয়োজন বোধে যে কোন পরামর্শ দিতে সব সময় তৈরি।

Facebook Comments Box