রাতের আধারে বিধবা ঘরে কিশোর, ১৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে

- প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
- / ৭৩ বার পড়া হয়েছে

রাতের আধারে বিধবা নারীর ঘরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া এক কিশোরকে আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে ওই কিশোরের সঙ্গে ১৮ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা। ময়মনসিংহের নান্দাইলে রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের বেতাগৈর গ্রামে মোমিন মিয়ার ছেলের (১৭) সঙ্গে তিন মাস আগে মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার বিধবা কন্যা ও এক সন্তানের জননী সীমা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিবার সন্ধ্যায় বিধবা সীমা আক্তারের বাড়িতে গোপনে দেখা করতে আসে কিশোর মাছুম মিয়া। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েক যুবক রাত ৮টার দিকে সীমা আক্তার ও মাছুম মিয়াকে এক ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন।
পরে রাতভর ঘরে আটকে রেখে গতকাল সারা দিন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করে। গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে দুই শতাধিক এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির উপস্থিতিতে বিধবা নারীর সঙ্গে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে ওই কিশোরের বিয়ে সম্পন্ন হয়। রাতেই কিশোরের সঙ্গে বিধবা নারীকে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে কিশোরের সঙ্গে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহরের বিষয়টি কিশোরের পরিবার কোনো কিছুতেই মানতে পারছে না। তাদের অভিযোগ, ছেলেটিকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।
জানতে চাইলে কিশোরের বাবা মোমিন মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার ছেলেটিকে কৌশলে মেয়েটি তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে এক দিন আটক রেখে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে বিয়ে দিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমাকে না জানিয়ে বিয়ে দিয়েছে। আমি আদালতে মামলা করব।’
জানতে চাইলে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ছেলেটিকে বিধবা নারীর সঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিরা আপত্তিকর অবস্থায় ধরে। মেয়ের পরিবার, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ছেলেপক্ষের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের কোনো অভিযোগ ছিল না।’