
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় লাখাই থানার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মামলা তদন্তে স্বাক্ষর দেয়া স্বাক্ষীগনের পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরকারি ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত সংস্থা’ এর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার(১৭ জানুয়ারি)লাখাই থানায় লাখাই উপজেলার স্বাক্ষীদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেন লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুনু মিয়া।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন মোহাম্মদ নুনু মিয়া ও আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় পরিচয়পত্র প্রদান সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌর প্রসাদ রায়। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব কুমার কুমার রায়।
পরিচয় পত্র পান মানপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আব্দুল হান্নান, জিরুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা এমদাদুল হক চৌধুরী, মানপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, একই গ্রামের মোঃ লাফু মিয়া, মুড়িয়াউক গ্রামের বাদিন্দা মোঃ ফরিদ মিয়া, একই গ্রামের মোঃ জিতু মিয়া,একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান মিয়া।
উল্লেখ্য, আর্ন্তজাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তালিকাধীন ০৮/১৮ নম্বর ওই মামলার বাদী ছিলেন মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযুদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন লাখাই থানা কমান্ডার মরহুম মোঃ ইলিয়াস কামাল।ওই মামলায় সাক্ষী প্রমাণ গ্রহন শেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মানপুর গ্রামের বাসিন্দা পূর্ব পাকিস্তান নেজামে ইসলাম কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মোঃ সফিউদ্দিন মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হন। তিনি পলাতক অবস্থায় এ বছরের ২ জানুয়ারি কোন অজ্ঞাত স্থানে মারা যান।
এ মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ প্রাপ্ত অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু হয় জিরুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা ছালেক মিয়া ওরফে ছায়েক রাজাকারের।মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ মিয়া ওরফে জাহিদ রাজাকার ও তাজুল ইসলাম ওরফে ফোকন রাজাকার এ মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হন।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট