১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে গ্যাস সংকটের কারণে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল প্রায় বন্ধ

হবিগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে নির্দিষ্ট বরাদ্দের বাইরেও গ্যাস সরবরাহ গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহনের চালকেরা।

অন্যদিকে গ্যাস-সংকটের অজুহাতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলায় আটটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করায় ২৭ জানুয়ারি থেকে ০১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস সংকট থাকবে বলে জানান অধিকাংশ পাম্প মালিকরা। ফলে স্টেশনে চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। মধ্যরাত থেকে সিএনজিচালিত যানবাহনগুলো সেখানে ভিড় করছে।

প্রতিটি স্টেশনের সড়কের দুপাশে রাত থেকে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সেই সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকছে গ্যাস সরবরাহ। এমন ভোগান্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্যাস নিতে আসা যানবাহনের চালকেরা। ভুক্তভোগী চালকদের দাবি, রাতভর লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না গ্যাস। মাঝারি গাড়িকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং ছোট গাড়িকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি গ্যাস দিচ্ছে না স্টেশনগুলো। দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়ানোর পর সামান্য পরিমাণে গ্যাস পেয়ে হতাশ হয়েছেন অনেকে।

আবার কেউ কেউ না পেয়ে ফিরছেন খালি হাতে। এদিকে জেলার প্রতিটি আঞ্চলিক সড়কে মানুষের যাতায়াতের প্রধান যানবাহনে পরিণত হয়েছে সিএনজি চালিত ইজিবাইক। তবে গ্যাস-সংকটের কারণে অনেক সিএনজি রাস্তায় না নামলেও ইজিবাইক টমটম এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে চলাচল করছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ০১ফেব্রুয়ারির পর থেকে স্বাভাবিকভাবে গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে ফিলিং স্টেশনগুলো। এরপরই এই ভোগান্তি কিছুটা কমার আশা করছেন পরিবহন চালকেরা। তবে ফিলিং স্টেশনগুলোকে অনুমোদিত গ্যাসের বেশি সরবরাহ না করার নির্দেশ দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম কর্তৃপক্ষ। এতে এই ভোগান্তি শীঘ্রই কমবে না বলে মনে করেন অনেকে। অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করায় জেলার সিএনজি ফিলিং স্টেশনের এমন অবস্থা হয়েছে। গতকাল বিভিন্ন সড়কে তেমন একটা সিএনজি অটোরিকশা চলতে দেখা যায়নি। তবে যে কয়টা দেখা গেছে তাও আবার জ্বালানি তেল,পেট্রোল দিয়ে চলছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

হবিগঞ্জে গ্যাস সংকটের কারণে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল প্রায় বন্ধ

প্রকাশ : ০১:৩২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

হবিগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে নির্দিষ্ট বরাদ্দের বাইরেও গ্যাস সরবরাহ গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহনের চালকেরা।

অন্যদিকে গ্যাস-সংকটের অজুহাতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলায় আটটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করায় ২৭ জানুয়ারি থেকে ০১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস সংকট থাকবে বলে জানান অধিকাংশ পাম্প মালিকরা। ফলে স্টেশনে চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। মধ্যরাত থেকে সিএনজিচালিত যানবাহনগুলো সেখানে ভিড় করছে।

প্রতিটি স্টেশনের সড়কের দুপাশে রাত থেকে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সেই সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকছে গ্যাস সরবরাহ। এমন ভোগান্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্যাস নিতে আসা যানবাহনের চালকেরা। ভুক্তভোগী চালকদের দাবি, রাতভর লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না গ্যাস। মাঝারি গাড়িকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং ছোট গাড়িকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি গ্যাস দিচ্ছে না স্টেশনগুলো। দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়ানোর পর সামান্য পরিমাণে গ্যাস পেয়ে হতাশ হয়েছেন অনেকে।

আবার কেউ কেউ না পেয়ে ফিরছেন খালি হাতে। এদিকে জেলার প্রতিটি আঞ্চলিক সড়কে মানুষের যাতায়াতের প্রধান যানবাহনে পরিণত হয়েছে সিএনজি চালিত ইজিবাইক। তবে গ্যাস-সংকটের কারণে অনেক সিএনজি রাস্তায় না নামলেও ইজিবাইক টমটম এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে চলাচল করছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ০১ফেব্রুয়ারির পর থেকে স্বাভাবিকভাবে গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে ফিলিং স্টেশনগুলো। এরপরই এই ভোগান্তি কিছুটা কমার আশা করছেন পরিবহন চালকেরা। তবে ফিলিং স্টেশনগুলোকে অনুমোদিত গ্যাসের বেশি সরবরাহ না করার নির্দেশ দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম কর্তৃপক্ষ। এতে এই ভোগান্তি শীঘ্রই কমবে না বলে মনে করেন অনেকে। অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করায় জেলার সিএনজি ফিলিং স্টেশনের এমন অবস্থা হয়েছে। গতকাল বিভিন্ন সড়কে তেমন একটা সিএনজি অটোরিকশা চলতে দেখা যায়নি। তবে যে কয়টা দেখা গেছে তাও আবার জ্বালানি তেল,পেট্রোল দিয়ে চলছে।

Facebook Comments Box