প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ২৯, ২০২৪, ৪:০৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৩০, ২০২৩, ১:০০ পি.এম
বাড়ি ছাড়া নবদম্পতি পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় বাড়িতে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
সমাজপতিদের বাঁধায় ঘর ছাড়া সেই নবদম্পতি অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন।মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের চেষ্টায় ওই নবদম্পতিকে অবশেষে মেনে নিয়েছেন সমাজপতিরা।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের একটি দল তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়। এর আগে ওই নবদম্পতি মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। পুলিশ সুপার সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ছেলে মৎসজীবী পরিবারের হওয়ায় তাদেরকে ঘরে তুলতে পারছিলেন না। সেই বিয়েকে অস্বীকার করেন স্থানীয় সমাজপতি ও গ্রামের মোড়লরা।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের উত্তর কাগাবলা গ্রামের ইমন মিয়ার সাথে গত ১৯ মার্চ সাতবাক গ্রামের পলি আক্তারের বিয়ে হয়।ধর্মীয় বিধান মেনে চার লাখ টাকা কাবিন নির্ধারণ করে নিকাহনামা রেজিস্টারের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের কথা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় মুরব্বিরা। তাদের দাবি, প্রথা অনুযায়ী মৎস্যজীবী পরিবারের সঙ্গে বাইরের কারো বিয়ে হয় না। গত ২৫ মার্চ পলি আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর আলোচনায় আসে বিষয়টি।
বাড়ি ফিরে নবদম্পতি পলি আক্তার ও ইমন মিয়া বলেন, সমাজপতিদের ভয়ে আমরা আত্মগোপনে ছিলাম। আমরা বাড়ি ফিরেছি। সমাজ আমাদেরকে মেনে নিয়েছে। আমি পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাদের কারণে আমরা নতুন জীবন ফিরে পেলাম।
আপার কাগাবলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা বলেন, নবদম্পতি তাদের বাড়ি ফিরেছেন। গ্রামের সব পক্ষকে নিয়ে মডেল থানায় বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়। সেখানে সবাই একমত হয়েছে, তাদের সংসারে কেউ বাঁধা দেবেন না। আমরা তাদের মেনে নিয়েছি।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, সমাজের সবাই তাদের মেনে নিয়েছেন। বিষয়টির একটি সুন্দর সমাধান হয়েছে। যার কারণে নবদম্পতি বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। পুলিশের একটি টিম তাদেরকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
ইমেইল : protidinerpost@gmail.com, মোবাইল : ০১৭১১-৮৭২৩৩৫
প্রতিদিনের পোস্ট ডটকম || প্রযুক্তি সহায়তায় খন্দকার আইটি