ঢাকা , শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে শেভরনে আগুনের লেলিহান শিখা

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে
print news

শ্রীমঙ্গলে শেভরনে আগুনের লেলিহান শিখা

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের ইসলাম পাড়ার জৈন্তা ছড়া এলাকায় শেভরন বাংলাদেশের কনডেনসেট পাইপলাইনে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত এতে পিতা–পুত্র দু’জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

শেভরন বাংলাদেশ জানিয়েছে, বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে দুর্বৃত্তরা পাইপলাইনে অবৈধভাবে ট্যাপিং করে। এতে কনডেনসেট তেল ছড়িয়ে পড়লে রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে এ ঘটনায় কোম্পানির গ্যাস উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়েনি।

শেভরনের মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, কোম্পানির জরুরিভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে জনপদ ও পরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা বৈদ্য জানান, রাত সাড়ে নয়টারদিকে আগুনে দগ্ধ রেদোয়ান (২৪) ও তার বাবা বশির মিয়া (৫০)কে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক।

স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকেই পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে কনডেনসেট তেল ছড়িয়ে পড়ছিল। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ ছড়ায় আগুন ধরে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা আকাশে উঠে যায়। এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের একটি দল প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন বলেন, রাত ৯টায় ৯৯৯ থেকে ইউএনও মহোদয়ের নিকট থেকে একটি সংবাদ পাই গ্যাস ফিল্ডে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল স্টেশন বের হয়ে যায় এবং আমি কন্ট্রোলের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের দুটি ইউনিটকে সংবাদ দেই আর আমিও নিজে মুভ করি। এখানে ৪টি ইউনিট অংশ নেয়। যেহেতু মেইন লাইন ছিল অতিরিক্ত তেলের চাপের কারণে সেজন্য প্রথমে আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। প্রথমে অগ্নি নির্বাপণের চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। পরে আমি ফোম নিয়ে আসি এবং অগ্নি নির্বাপণে অংশ নিয়ে ফোম ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে অগ্নি নির্বাপণ করি। প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ ইসলাম উদ্দিন, থানার ওসি আমিনুল ইসলামসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কয়েক হাজার মানুষ আশপাশ থেকে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান।

নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। রাত ১০টা ২৪ মিনিটের দিকে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন,আগুনে পোড়া বাবা ছেলেকে সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সঠিক ভাবে নিরূপণ না করে বলা সম্ভব হবে না।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীমঙ্গলে শেভরনে আগুনের লেলিহান শিখা

প্রকাশের সময় : ০৪:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
print news

শ্রীমঙ্গলে শেভরনে আগুনের লেলিহান শিখা

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের ইসলাম পাড়ার জৈন্তা ছড়া এলাকায় শেভরন বাংলাদেশের কনডেনসেট পাইপলাইনে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত এতে পিতা–পুত্র দু’জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

শেভরন বাংলাদেশ জানিয়েছে, বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে দুর্বৃত্তরা পাইপলাইনে অবৈধভাবে ট্যাপিং করে। এতে কনডেনসেট তেল ছড়িয়ে পড়লে রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে এ ঘটনায় কোম্পানির গ্যাস উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়েনি।

শেভরনের মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, কোম্পানির জরুরিভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে জনপদ ও পরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা বৈদ্য জানান, রাত সাড়ে নয়টারদিকে আগুনে দগ্ধ রেদোয়ান (২৪) ও তার বাবা বশির মিয়া (৫০)কে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক।

স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকেই পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে কনডেনসেট তেল ছড়িয়ে পড়ছিল। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ ছড়ায় আগুন ধরে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা আকাশে উঠে যায়। এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের একটি দল প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন বলেন, রাত ৯টায় ৯৯৯ থেকে ইউএনও মহোদয়ের নিকট থেকে একটি সংবাদ পাই গ্যাস ফিল্ডে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল স্টেশন বের হয়ে যায় এবং আমি কন্ট্রোলের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের দুটি ইউনিটকে সংবাদ দেই আর আমিও নিজে মুভ করি। এখানে ৪টি ইউনিট অংশ নেয়। যেহেতু মেইন লাইন ছিল অতিরিক্ত তেলের চাপের কারণে সেজন্য প্রথমে আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। প্রথমে অগ্নি নির্বাপণের চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। পরে আমি ফোম নিয়ে আসি এবং অগ্নি নির্বাপণে অংশ নিয়ে ফোম ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে অগ্নি নির্বাপণ করি। প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ ইসলাম উদ্দিন, থানার ওসি আমিনুল ইসলামসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কয়েক হাজার মানুষ আশপাশ থেকে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান।

নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। রাত ১০টা ২৪ মিনিটের দিকে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন,আগুনে পোড়া বাবা ছেলেকে সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সঠিক ভাবে নিরূপণ না করে বলা সম্ভব হবে না।