নবীনগরে এক মঞ্চে মনোনয়ন বঞ্চিত সাত প্রার্থী
- প্রকাশের সময় : ০৩:০০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৯ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে ফুটে উঠেছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত সাত নেতা একই মঞ্চে দাড়িয়ে ঘোষিত মনোনয়ন পূর্ণবিবেচনার জোর দাবি জানান।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্যান্য আসনের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি
অ্যাডভোকেট এম এ মান্নানকে ঘোষণা করেন।
ঘোষণাটির পর থেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তারা একজোট হয়ে প্রতিবাদস্বরূপ জনসমাবেশের ডাক দেন।
বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য নাজমুল করিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা তকদির হোসেন মো. জসিম, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সাইদুল হক সাঈদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ- সাধারণ সম্পাদক কেএম মামুন অর রশিদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাজিব আহসান চৌধুরী পাপ্পুসহ তৃণমূলের বহু নেতা।
এসময় তারা বলেন, ঘোষিত প্ৰাৰ্থী অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান গত ১৭ বছর মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না, কর্মীদের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততাও নেই এবং নবীনগরের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি অজ্ঞাত। তাদের দাবি, এটি প্রাথমিক মনোনয়ন, চূড়ান্ত করতে হলে নবীনগরের কর্মী-সমর্থকদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং মনোনয়ন বঞ্চিত সাতজনের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
সমাবেশে স্পষ্টভাবে চারটি গ্রুপিং সামনে আসে-মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান গ্রুপ, জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক কাজী নাজমুল হোসেন তাপস গ্রুপ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুল হক সাঈদ গ্রুপ এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মো. জসিম গ্রুপ।
মঞ্চে থাকা সাত মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, কেন্দ্ৰীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কেএম মামুন অর রশিদ এবং ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাজিব আহসান চৌধুরী পাপ্পু।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, আনিছুর রহমান মঞ্জু, সাবেক মেয়র মাইনুদ্দিন মাইনু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য হযরত আলী ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ–সভাপতি ইকবাল হোসেন রাজু।
এদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান অভিযোগগুলোকে তুচ্ছ উল্লেখ করে বলেন, কিছুদিন আগেও দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারা আমার সঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন। এর আগেও বহুবার বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এবং আজও ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এসব বিষয় মূলত ক্ষোভ ও অভিমানের প্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। আমি বিশ্বাস করি, ভুল–বোঝাবুঝি দূর হয়ে যাবে এবং সবাই দলীয় স্বার্থে একসঙ্গে মাঠে নামবে।’

















