ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঝিকরগাছায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময় নরসিংদীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারবিহীন বেশীরভাগ কেন্দ্র দীর্ঘদিন কারাবাসের পর মুক্তি পেলেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ঝিকরগাছায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত চন্দনবাড়ী ইউনিয়নে ৮ শতাদিক শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ স্প্রে মেরে সাংবাদিক সত্যজিৎ এর সর্বস্ব লোট বিছানায় আর সুখ নেই! ৬ অলরাউন্ডার নিয়ে বিশ্বকাপের দল দিলো আফগানিস্তান ‘যৌ’ন কর্মীরা চাই শ্রমিকের অধিকার, সাথে সামাজিক নিরাপত্তা’ ‘অনৈতিক মেলামেশার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন আপন ভাই-বোন’

কুলাউড়ায় স্ত্রী’কে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে রোববার ( ২৪ মার্চ) মাদকাসক্ত অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা সুজিত কুমার দে (৫৫)কে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এঘটনায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী চুনঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দেব কুলাউড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং (১৯) দায়ের করেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের চুনঘরের বাসিন্দা সুনিল চন্দ্র দে’র পুত্র অগ্রণী ব্যাংক কুলাউড়ার কর্মকর্তা সুজিত কুমার দে’র সাথে পৌরশহরের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দেবের বিয়ে হয়। তাদের ২ কন্যা সন্তানও রয়েছে। সুজিত কুমার দে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি বলেও জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগে স্কুল শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দেব উল্লেখ করেন, ৭-৮ বছর আগে থেকে বেতন ভাতার সম্পুর্ণ টাকা তুলে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। না দিলে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। ২০২০ সালের ৯ মার্চ ব্যাংকে জামানো এফডিআর থেকে ৫ লাখ টাকা তুলে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। সেই টাকা না দেয়ায় লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত জখম করে। সে সময় কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মাস শেষ হওয়ার আগে বেতনের চেক দিয়ে দিতে হয়। এরপর একাধিকবার নির্যাতন চালায় সুজিত কুমার দে। অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি ২ সন্তানসহ বাবার বাসায় চলে আসেন। সেসময় ৩ জন আইনজীবির সমন্বয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থাতায় পৃথকভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত হয়। তাদের ২ সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করার লিখিত অঙ্গিকারাবদ্ধ হয় নির্যাতনকারী সুজিত কুমার দে। কিন্তু ২ সন্তানের কথা বিবেচনা করে তিনি (স্ত্রী) ফিরে যান স্বামীর বাড়িতে।

সম্প্রতি সুজিত কুমার দে তার বড় ভাইয়ের প্ররোচনায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধের কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই টাকার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বটিদা দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় সঞ্চিতা রানী দে’র হাতে রক্তাক্ত জখম ছাড়া শারিরীকভাবে গুরুতর আহতবস্থায় ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাতের জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাগ্রহণ শেষে শনিবার ( ২৩ মার্চ) কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুলাউড়া থানার এসআই্ দেবাশীষ শহর থেকে সুজিত কুমার দে’কে আটক করেন।

কুলাউড়া থানার এসআই দেবাশীষ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

কুলাউড়ায় স্ত্রী’কে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী কারাগারে

প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে রোববার ( ২৪ মার্চ) মাদকাসক্ত অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা সুজিত কুমার দে (৫৫)কে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এঘটনায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী চুনঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দেব কুলাউড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং (১৯) দায়ের করেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের চুনঘরের বাসিন্দা সুনিল চন্দ্র দে’র পুত্র অগ্রণী ব্যাংক কুলাউড়ার কর্মকর্তা সুজিত কুমার দে’র সাথে পৌরশহরের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দেবের বিয়ে হয়। তাদের ২ কন্যা সন্তানও রয়েছে। সুজিত কুমার দে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি বলেও জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগে স্কুল শিক্ষিকা সঞ্চিতা রানী দেব উল্লেখ করেন, ৭-৮ বছর আগে থেকে বেতন ভাতার সম্পুর্ণ টাকা তুলে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। না দিলে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। ২০২০ সালের ৯ মার্চ ব্যাংকে জামানো এফডিআর থেকে ৫ লাখ টাকা তুলে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। সেই টাকা না দেয়ায় লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত জখম করে। সে সময় কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মাস শেষ হওয়ার আগে বেতনের চেক দিয়ে দিতে হয়। এরপর একাধিকবার নির্যাতন চালায় সুজিত কুমার দে। অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি ২ সন্তানসহ বাবার বাসায় চলে আসেন। সেসময় ৩ জন আইনজীবির সমন্বয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থাতায় পৃথকভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত হয়। তাদের ২ সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করার লিখিত অঙ্গিকারাবদ্ধ হয় নির্যাতনকারী সুজিত কুমার দে। কিন্তু ২ সন্তানের কথা বিবেচনা করে তিনি (স্ত্রী) ফিরে যান স্বামীর বাড়িতে।

সম্প্রতি সুজিত কুমার দে তার বড় ভাইয়ের প্ররোচনায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধের কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই টাকার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বটিদা দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় সঞ্চিতা রানী দে’র হাতে রক্তাক্ত জখম ছাড়া শারিরীকভাবে গুরুতর আহতবস্থায় ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাতের জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাগ্রহণ শেষে শনিবার ( ২৩ মার্চ) কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুলাউড়া থানার এসআই্ দেবাশীষ শহর থেকে সুজিত কুমার দে’কে আটক করেন।

কুলাউড়া থানার এসআই দেবাশীষ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।