ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“আরেকটি জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষা”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || আরেকটি জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষা|

গত কয়েক বছরে বহুদলীয় আসরে শ্বাসরুদ্ধকর সব লড়াই উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এবার সেমি-ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার লড়াই হওয়ায় আরেকটি জমজমাট ম্যাচের আশা জাগছে।

অ্যাডিলেইডে বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি। এই দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছায় ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১০৯ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে, ওই ম্যাচে আম্পায়ারদের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

তারপর প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে থাকে অন্যরকম উত্তেজনা। মাঠের লড়াইয়েও দেখা যায় বাড়তি ঝাঁজ। সেই বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সাফল্য আরও তাতিয়ে দেয় দুই দলের লড়াই।

এরপর অবশ্য আর কখনও ভারতের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে প্রায় সব ম্যাচেই। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে হওয়া টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারত জিতেছিল ৮ উইকেটে। ফল দেখে বোঝার উপায় নেই কতটা লড়েছিল বাংলাদেশ।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৩ বলে ৩৩ রানের ক্যামিওতে ভর করে ১২০ রানের সংগ্রহ গড়েছিল স্বাগতিকরা। জবাবে শেষ দুই ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। যেকোনো দিকে যেতে পারত ম্যাচ। তবে আল আমিন হোসেনের বোলিংয়ে দুই ছক্কা ও এক চারে পাঁচ বলেই ম্যাচ শেষ করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

এর আড়াই সপ্তাহ পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ ও ভারত। বেঙ্গালুরুতে আগে ব্যাট করে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৪৬ রান। লক্ষ্য বড় না হওয়ায় জয়ের ভালো সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের।

তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও সাকিব আল হাসানের ছোট ছোট ইনিংসে সে পথেই ছিল তারা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান। উইকেটে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়েই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান মুশফিক। সমীকরণ নেমে আসে তিন বলে ২ রানে।

এরপরই ঘটে অকল্পনীয় ঘটনা। হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাক অব লেংথের ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। পরের বল ফুলটস পেয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রবীন্দ জাদেজার হাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে ২ রানের সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি তারা। হাতছোঁয়া দূরত্বে থেকে ১ রানে কষ্টে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

পরের বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে আবার মুখোমুখি হয় তারা। সেই ম্যাচে অবশ্য লড়াই হয়নি কোনো। রোহিত শর্মার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে (১২৩) বাংলাদেশের করা ২৬৪ রান স্রেফ ৪০.১ ওভারেই টপকে যায় ভারত। পরে ফাইনালে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় তারা।

২০১৮ সালে ফের দুইটি শেষ বলের থ্রিলার দেখা যায় বাংলাদেশ-ভারত লড়াইয়ে। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতকে নিয়ে মার্চে আয়োজন করা হয়েছিল ত্রিদেশীয় নিদাহাস ট্রফি। বাংলাদেশের কাছে দুই ম্যাচ হেরে ফাইনালের আগেই বাদ পড়ে যায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সাব্বিরের ৭৭ রানে ভর করে বাংলাদেশ পায় ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁজি। জবাবে অধিনায়ক রোহিত ফিফটি (৫৬) হাঁকালেও ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের দিকে। বিশেষ করে ১৭তম ওভারে উইকেট-মেডেন নেন মুস্তাফিজ। ফলে ভারতের সমীকরণ দাঁড়ায় ২ ওভারে ৩৪ রানে।

সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন দিনেশ কার্তিক। রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভারে দুটি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে মোট ২২ রান তোলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে ১২ রান ডিফেন্ড করতে সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন সাকিব।

ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ৭ রান খরচ করে আশা বাঁচিয়ে রাখেন সৌম্য। শেষ বলটি তিনি করেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। ওয়াইড ইয়র্কারের চেষ্টায় লেংথে কিছুটা গড়বড় হয়। সেই সুযোগেই এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন কার্তিক।

একই বছর সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপের ফাইনালে মাঠে নামে এই দুই দল। লিটন দাসের দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরির (১২১) পরও বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় স্রেফ ২২২ রানে। অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। শেষ তিন ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের।

দারুণ দুটি ওভার করে ম্যাচ জমান রুবেল ও মুস্তাফিজ। ৪৮তম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন রুবেল। পরের ওভারে মুস্তাফিজ ১ উইকেট নিয়ে খরচ করেন স্রেফ ৩ রান। ফলে ৭ উইকেট হারানো ভারতের শেষ ওভারে করতে হতো ৬ রান। উইকেটে ছিলেন কেদার যাদব ও কুলদিপ যাদব।

মাহমুদউল্লাহর হাতে শেষ ওভারে বল তুলে দেন মাশরাফি। মাত্র ৬ রান বাকি থাকায় কোনো ঝুঁকি নেননি কুলদিপ ও কেদার। তৃতীয় বলে ২ রান পাওয়ায় আরও সহজ হয় তাদের কাজ। শেষ বলে লেগ বাই থেকে ১ রান নিয়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কেদার।

২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। রোহিত শর্মার ৯২ বলে ১০৪ রানের সৌজন্য ৩১৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। জবাব দিতে নেমে সাকিব আল হাসান (৬৬) ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন (৫১*) ফিফটি হাঁকালেও ২৮৬ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

সব মিলিয়ে গত ছয় বছরে বহুদলীয় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও ভারতের মুখোমুখি ছয় ম্যাচের চারটিই ছিল তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ। তবে প্রতিবার শেষ হাসি হেসেছে ভারত। অতীত পরিসংখ্যান ভারতের পক্ষে থাকলেও বিশ্বকাপে দুই দলের অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কথা নয়। এখন দেখার বিষয় আরো একটি লড়াই কতটা উত্তেজনা ছড়ায়।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“আরেকটি জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষা”

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || আরেকটি জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষা|

গত কয়েক বছরে বহুদলীয় আসরে শ্বাসরুদ্ধকর সব লড়াই উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এবার সেমি-ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার লড়াই হওয়ায় আরেকটি জমজমাট ম্যাচের আশা জাগছে।

অ্যাডিলেইডে বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি। এই দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছায় ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১০৯ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে, ওই ম্যাচে আম্পায়ারদের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

তারপর প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে থাকে অন্যরকম উত্তেজনা। মাঠের লড়াইয়েও দেখা যায় বাড়তি ঝাঁজ। সেই বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সাফল্য আরও তাতিয়ে দেয় দুই দলের লড়াই।

এরপর অবশ্য আর কখনও ভারতের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে প্রায় সব ম্যাচেই। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে হওয়া টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারত জিতেছিল ৮ উইকেটে। ফল দেখে বোঝার উপায় নেই কতটা লড়েছিল বাংলাদেশ।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৩ বলে ৩৩ রানের ক্যামিওতে ভর করে ১২০ রানের সংগ্রহ গড়েছিল স্বাগতিকরা। জবাবে শেষ দুই ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। যেকোনো দিকে যেতে পারত ম্যাচ। তবে আল আমিন হোসেনের বোলিংয়ে দুই ছক্কা ও এক চারে পাঁচ বলেই ম্যাচ শেষ করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

এর আড়াই সপ্তাহ পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ ও ভারত। বেঙ্গালুরুতে আগে ব্যাট করে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৪৬ রান। লক্ষ্য বড় না হওয়ায় জয়ের ভালো সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের।

তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও সাকিব আল হাসানের ছোট ছোট ইনিংসে সে পথেই ছিল তারা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান। উইকেটে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়েই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান মুশফিক। সমীকরণ নেমে আসে তিন বলে ২ রানে।

এরপরই ঘটে অকল্পনীয় ঘটনা। হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাক অব লেংথের ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। পরের বল ফুলটস পেয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রবীন্দ জাদেজার হাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে ২ রানের সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি তারা। হাতছোঁয়া দূরত্বে থেকে ১ রানে কষ্টে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

পরের বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে আবার মুখোমুখি হয় তারা। সেই ম্যাচে অবশ্য লড়াই হয়নি কোনো। রোহিত শর্মার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে (১২৩) বাংলাদেশের করা ২৬৪ রান স্রেফ ৪০.১ ওভারেই টপকে যায় ভারত। পরে ফাইনালে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় তারা।

২০১৮ সালে ফের দুইটি শেষ বলের থ্রিলার দেখা যায় বাংলাদেশ-ভারত লড়াইয়ে। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতকে নিয়ে মার্চে আয়োজন করা হয়েছিল ত্রিদেশীয় নিদাহাস ট্রফি। বাংলাদেশের কাছে দুই ম্যাচ হেরে ফাইনালের আগেই বাদ পড়ে যায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সাব্বিরের ৭৭ রানে ভর করে বাংলাদেশ পায় ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁজি। জবাবে অধিনায়ক রোহিত ফিফটি (৫৬) হাঁকালেও ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের দিকে। বিশেষ করে ১৭তম ওভারে উইকেট-মেডেন নেন মুস্তাফিজ। ফলে ভারতের সমীকরণ দাঁড়ায় ২ ওভারে ৩৪ রানে।

সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন দিনেশ কার্তিক। রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভারে দুটি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে মোট ২২ রান তোলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে ১২ রান ডিফেন্ড করতে সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন সাকিব।

ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ৭ রান খরচ করে আশা বাঁচিয়ে রাখেন সৌম্য। শেষ বলটি তিনি করেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। ওয়াইড ইয়র্কারের চেষ্টায় লেংথে কিছুটা গড়বড় হয়। সেই সুযোগেই এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন কার্তিক।

একই বছর সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপের ফাইনালে মাঠে নামে এই দুই দল। লিটন দাসের দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরির (১২১) পরও বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় স্রেফ ২২২ রানে। অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। শেষ তিন ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের।

দারুণ দুটি ওভার করে ম্যাচ জমান রুবেল ও মুস্তাফিজ। ৪৮তম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন রুবেল। পরের ওভারে মুস্তাফিজ ১ উইকেট নিয়ে খরচ করেন স্রেফ ৩ রান। ফলে ৭ উইকেট হারানো ভারতের শেষ ওভারে করতে হতো ৬ রান। উইকেটে ছিলেন কেদার যাদব ও কুলদিপ যাদব।

মাহমুদউল্লাহর হাতে শেষ ওভারে বল তুলে দেন মাশরাফি। মাত্র ৬ রান বাকি থাকায় কোনো ঝুঁকি নেননি কুলদিপ ও কেদার। তৃতীয় বলে ২ রান পাওয়ায় আরও সহজ হয় তাদের কাজ। শেষ বলে লেগ বাই থেকে ১ রান নিয়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কেদার।

২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। রোহিত শর্মার ৯২ বলে ১০৪ রানের সৌজন্য ৩১৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। জবাব দিতে নেমে সাকিব আল হাসান (৬৬) ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন (৫১*) ফিফটি হাঁকালেও ২৮৬ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

সব মিলিয়ে গত ছয় বছরে বহুদলীয় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও ভারতের মুখোমুখি ছয় ম্যাচের চারটিই ছিল তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ। তবে প্রতিবার শেষ হাসি হেসেছে ভারত। অতীত পরিসংখ্যান ভারতের পক্ষে থাকলেও বিশ্বকাপে দুই দলের অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কথা নয়। এখন দেখার বিষয় আরো একটি লড়াই কতটা উত্তেজনা ছড়ায়।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট