ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুলিয়ারচরে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ

কুলিয়ারচর প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩০৫ বার পড়া হয়েছে

কুলিয়ারচর প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট || কুলিয়ারচরে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের ইমন মাহমুদ, দেলোয়ার, মোঃ রনি,বাবুল, আব্দুস সালাম, খুর্শিদ মিয়া জাহাঙ্গীর সহ বেশ কিছু ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানান, প্রায় দেড় মাস আগে উপসহকারি প্রকৌশলী রমজান আলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহাম্মেদকে ৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিয়েছেন বিদ্যুৎ খুটি ও ট্রন্সফর্মার স্থাপন করার জন্য।

কিন্তু বিদ্যুতের খুটি এলাকায় পৌছে ৩ টি খুটি স্থাপন করে আরো দেড় লক্ষ টাকা দাবি করছেন। এবং বলছেন বাকি টাকা না দিলে খুটি স্থাপন করা হবে না এবং ট্রান্সফর্মারও দেওয়া হবে না।

বাকি টকা না দিতে পারায় অদ্যবদি বিদ্যুতের বাকি কাজ সম্পন্ন করছেন না বলে ভুক্তভোগী দের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, টাকাটা লেনদেনের সময় আমিও ছিলাম এবং এ বিষয়ে আমি জানি।

উপসহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, টাকার বিষয়টা কে বলছে? আমিতো কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি।
নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহাম্মেদ বলেন, আপনার কি মনে হয় যে উপজেলা চেয়ারম্যানের এলাকায় আমি টাকা নিয়েছি?

প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, এ বিষয়েতো আমার জানা নাই। তবে আমি এ বিষয়ে উনাদের সাথে কথা বলব।

জানা যায়, শামীম আহাম্মেদ ২৫ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে টাঙ্গাইলের বিউবো-২ এর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ে এবং ২৫ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে গ্রাহকের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে একটি মিটারে ৫৯২৯২.৯৩ ইউনিট বিদ্যুৎ সমন্বয় করে ১৪৩৬৯ ইউনিট অর্থাৎ ৫৯২২২৯ টাকা মূ্ল্যের বিদ্যুৎ বিল দেখিয়েছিলেন ১১৮২০৪ টাকা।

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

কুলিয়ারচরে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০২:০৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

কুলিয়ারচর প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট || কুলিয়ারচরে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের ইমন মাহমুদ, দেলোয়ার, মোঃ রনি,বাবুল, আব্দুস সালাম, খুর্শিদ মিয়া জাহাঙ্গীর সহ বেশ কিছু ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানান, প্রায় দেড় মাস আগে উপসহকারি প্রকৌশলী রমজান আলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহাম্মেদকে ৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিয়েছেন বিদ্যুৎ খুটি ও ট্রন্সফর্মার স্থাপন করার জন্য।

কিন্তু বিদ্যুতের খুটি এলাকায় পৌছে ৩ টি খুটি স্থাপন করে আরো দেড় লক্ষ টাকা দাবি করছেন। এবং বলছেন বাকি টাকা না দিলে খুটি স্থাপন করা হবে না এবং ট্রান্সফর্মারও দেওয়া হবে না।

বাকি টকা না দিতে পারায় অদ্যবদি বিদ্যুতের বাকি কাজ সম্পন্ন করছেন না বলে ভুক্তভোগী দের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, টাকাটা লেনদেনের সময় আমিও ছিলাম এবং এ বিষয়ে আমি জানি।

উপসহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, টাকার বিষয়টা কে বলছে? আমিতো কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি।
নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহাম্মেদ বলেন, আপনার কি মনে হয় যে উপজেলা চেয়ারম্যানের এলাকায় আমি টাকা নিয়েছি?

প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, এ বিষয়েতো আমার জানা নাই। তবে আমি এ বিষয়ে উনাদের সাথে কথা বলব।

জানা যায়, শামীম আহাম্মেদ ২৫ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে টাঙ্গাইলের বিউবো-২ এর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ে এবং ২৫ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে গ্রাহকের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে একটি মিটারে ৫৯২৯২.৯৩ ইউনিট বিদ্যুৎ সমন্বয় করে ১৪৩৬৯ ইউনিট অর্থাৎ ৫৯২২২৯ টাকা মূ্ল্যের বিদ্যুৎ বিল দেখিয়েছিলেন ১১৮২০৪ টাকা।