ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“বুড়িগঙ্গার জলজ প্রাণীর দেহে মাত্রাতিরিক্ত প্লাস্টিকের কণা”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || বুড়িগঙ্গার জলজ প্রাণীর দেহে মাত্রাতিরিক্ত প্লাস্টিকের কণা|

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের নেতৃত্বে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার পাশ দিয়ে অতিবাহিত হওয়া বুড়িগঙ্গা নদীর মাটি, পানি ও এ নদীতে বিচরণশীল প্রাণীর শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে- এ নদীর শামুক ও কাঁকড়ার শরীরে প্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি রয়েছে। এর আগে এ নদীর মাটি পানি ও নানা প্রজাতির মাছের ওপর গবেষণা করলেও তাতে প্লাস্টিক কণার সন্ধান পাওয়া যায়।

গবেষক দলের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বুড়িগঙ্গা নিয়ে কয়েক ধাপে গবেষণা করেছি। তাতে দেখা না গেছে দিন দিন প্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি বেড়েই চলেছে। যদিও প্লাস্টিক কণা মানব দেহের ভিতর কিভাবে ক্ষতি সাধন করে তা এখনো গবেষণার বাহিরে রয়েছে। অচিরেই সে তথ্যও হয়তো প্রকাশ্যে আসবে। তবে প্লাস্টিকের কণা মানব দেহের জন্য যে ক্ষতিকর এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই দূষণের এখনই লাগাম না টানা গেলে পরে আমরা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ব।

এ গবেষণায় আরও কাজ করেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাশেদুল হক ও ওয়াহিদা আহমেদ। গবেষণায় তারা বুড়িগঙ্গা নদীর মাটি, পানি, ১১ প্রজাতির মাছ, শামুক এবং কাঁকড়ার ওপর পরীক্ষা চালান। গবেষক দলটি গবেষণা পরিচালনা করার জন্য বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ৫টি কাঁকড়া, ৪টি শামুক ও ৭০টা মাছ সংগ্রহ করে। সংগ্রহ করা মাছের মধ্যে ছিলো পুঁটি, পাবদা, সাকার, শিং, কাকিলা, মলা, টাটকিনি, বাছা, বাইম, কালবাউশ এবং কৈ।

গবেষক দল বলছেন, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য পানিতে ফেলে দিলে সেসব ফটোকেমিক্যালি ও বায়োলজিক্যালি ভেঙে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়। এই ক্ষুদ্র কণাগুলো এক সময় মানবদেহসহ প্রকৃতির আরও নানা অংশে মিশে যায়। প্লাস্টিকের এই ক্ষুদ্র কণা আমাদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। আমরা তাৎক্ষণিক এ ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করতে না পারলেও তার সুদূরপ্রসারি প্রভাব রয়েছে।

এর আগে গবেষক মুস্তাফিজুর রহমানের গবেষণায় দেখা গেছে- চা, চিনির মতো নিত্য ব্যবহার্য পণ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ প্লাস্টিকের কণা রয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“বুড়িগঙ্গার জলজ প্রাণীর দেহে মাত্রাতিরিক্ত প্লাস্টিকের কণা”

প্রকাশের সময় : ০৪:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || বুড়িগঙ্গার জলজ প্রাণীর দেহে মাত্রাতিরিক্ত প্লাস্টিকের কণা|

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের নেতৃত্বে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার পাশ দিয়ে অতিবাহিত হওয়া বুড়িগঙ্গা নদীর মাটি, পানি ও এ নদীতে বিচরণশীল প্রাণীর শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে- এ নদীর শামুক ও কাঁকড়ার শরীরে প্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি রয়েছে। এর আগে এ নদীর মাটি পানি ও নানা প্রজাতির মাছের ওপর গবেষণা করলেও তাতে প্লাস্টিক কণার সন্ধান পাওয়া যায়।

গবেষক দলের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বুড়িগঙ্গা নিয়ে কয়েক ধাপে গবেষণা করেছি। তাতে দেখা না গেছে দিন দিন প্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি বেড়েই চলেছে। যদিও প্লাস্টিক কণা মানব দেহের ভিতর কিভাবে ক্ষতি সাধন করে তা এখনো গবেষণার বাহিরে রয়েছে। অচিরেই সে তথ্যও হয়তো প্রকাশ্যে আসবে। তবে প্লাস্টিকের কণা মানব দেহের জন্য যে ক্ষতিকর এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই দূষণের এখনই লাগাম না টানা গেলে পরে আমরা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ব।

এ গবেষণায় আরও কাজ করেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাশেদুল হক ও ওয়াহিদা আহমেদ। গবেষণায় তারা বুড়িগঙ্গা নদীর মাটি, পানি, ১১ প্রজাতির মাছ, শামুক এবং কাঁকড়ার ওপর পরীক্ষা চালান। গবেষক দলটি গবেষণা পরিচালনা করার জন্য বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ৫টি কাঁকড়া, ৪টি শামুক ও ৭০টা মাছ সংগ্রহ করে। সংগ্রহ করা মাছের মধ্যে ছিলো পুঁটি, পাবদা, সাকার, শিং, কাকিলা, মলা, টাটকিনি, বাছা, বাইম, কালবাউশ এবং কৈ।

গবেষক দল বলছেন, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য পানিতে ফেলে দিলে সেসব ফটোকেমিক্যালি ও বায়োলজিক্যালি ভেঙে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়। এই ক্ষুদ্র কণাগুলো এক সময় মানবদেহসহ প্রকৃতির আরও নানা অংশে মিশে যায়। প্লাস্টিকের এই ক্ষুদ্র কণা আমাদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। আমরা তাৎক্ষণিক এ ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করতে না পারলেও তার সুদূরপ্রসারি প্রভাব রয়েছে।

এর আগে গবেষক মুস্তাফিজুর রহমানের গবেষণায় দেখা গেছে- চা, চিনির মতো নিত্য ব্যবহার্য পণ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ প্লাস্টিকের কণা রয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট