ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তি বোলার নয়, মোসাদ্দেকেই সাকিবের পূর্ণ আস্থা

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক || বাড়তি বোলার নয়, মোসাদ্দেকেই সাকিবের পূর্ণ আস্থা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া চলতি বিশ্বকাপের প্রতিটিতে বাংলাদেশ চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলেছে। নেদারল্যান্ডস-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম বোলারের কাজ করেছেন সৌম্য সরকার-মোসাদ্দেক হোসেন। এক বোলার কম থাকায় ভুগতেও দেখা গেছে। তবে আরেকজন বাড়তি বোলারের অভাববোধ করছেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

মূলত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম বোলারের অভাব বেশি টের পাওয়া গেছে। ১৬ থেকে ১৮ ওভার দলের তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ করার পর ১৯তম ওভার করেন সাকিব নিজে। শেষ ওভারের জন্য ছিল না কোনও বিশেষজ্ঞ বোলার। মোসাদ্দেককে দিয়ে বল করান অধিনায়ক। ১১ রান ঠেকানোর দায়িত্ব পেয়ে দুই উইকেট নিয়ে আস্থার প্রতিদান দেন এই বোলার। এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ওভারে বোলিং করেন সৌম্য। তিনিও ১টি উইকেট পান। দুটি ম্যাচেই শেষ ওভারে জয় পায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে-নেদারল্যান্ডস অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল। বুধবার অ্যাডিলেডে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। তাদের ব্যাটিং গভীরতা কতটা শক্তিশালী কারও অজানা নয়। আছে সুর্যকুমার যাদবের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ কি এবার বাড়তি বোলার নিয়ে নামবে? কারণ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য এক দুটি খারাপ ওভারই যথেষ্ট।

সাকিব এমনটা মনে করেন না। তিনি মোসাদ্দেককে মূল বোলার হিসেবেই বিবেচনা করতে চান। সঙ্গে এটিও বলে দিয়েছেন, মোসাদ্দেককে অনিয়মিত বোলার ভেবে থাকলে ভুল হবে, ‘দেখুন ঘাটতি থাকলে আমরা ২০ ওভার করতে পারতাম না। মোসাদ্দেক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই বছর ৫ উইকেটও পেয়েছে একটা ম্যাচে। ৫ উইকেট পাওয়া টি-টোয়েন্টিতে খুবই দুর্লভ ব্যাপার। তাকে যদি আপনি অনিয়মিত বোলার হিসেবে মনে করেন, আমি বলবো যে সেটা ভুল।’

মোসাদ্দেক চলতি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে ৭ ওভার বোলিং করেছেন। ওভার প্রতি ৯.১৪ রান করে দিয়েছেন তিনি। তাকে সাকিব নিয়মিত বোলার বললেও বিশ্বকাপে একমাত্র জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ওভারের কোটা পূর্ণ করেন। এছাড়া প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১ ও ডাচদের বিপক্ষে করেন ২ ওভার। সব মিলিয়ে ৩১ টি-টোয়েন্টিতে ৭.২১ ইকোনোমিতে ১৮ উইকেটে নিয়েছেন এই অফস্পিনার।

‘ও (মোসাদ্দেক) হয়তো আরও ভালো বোলিং করতে পারে, ওকে আমরা ওভাবে বিবেচনা করেনি। আপনি যদি ঘরোয়া ক্রিকেট দেখেন ও কিন্তু টি-টোয়েটিতে চার ওভার করে।’- এভাবেই বলেছেন সাকিব।

তবে অ্যডিলেডে ভারতের বিপক্ষে কম্বিনেশন নিয়ে এখনও চিন্তা করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ বিবেচনায় সেরাটাই গড়া হবে বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘একাদশ নিয়ে আসলে চিন্তা করা হয়নি, কিন্তু কম্বিনেশন তো চাইলেই অনেক রকম বানানো যায়। এমন না যে একটা কম্বিনেশন নিয়েই আছি কিংবা থাকবো। আর কম্বিনেশন আসলে অনেক রকম বানানো যায়। তারপরেও আমাদের হাতে যতটুকু আছে, তার সদ্ব্যবহার কীভাবে করতে পারি, সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

বাড়তি বোলার নয়, মোসাদ্দেকেই সাকিবের পূর্ণ আস্থা

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক || বাড়তি বোলার নয়, মোসাদ্দেকেই সাকিবের পূর্ণ আস্থা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া চলতি বিশ্বকাপের প্রতিটিতে বাংলাদেশ চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলেছে। নেদারল্যান্ডস-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম বোলারের কাজ করেছেন সৌম্য সরকার-মোসাদ্দেক হোসেন। এক বোলার কম থাকায় ভুগতেও দেখা গেছে। তবে আরেকজন বাড়তি বোলারের অভাববোধ করছেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

মূলত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম বোলারের অভাব বেশি টের পাওয়া গেছে। ১৬ থেকে ১৮ ওভার দলের তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ করার পর ১৯তম ওভার করেন সাকিব নিজে। শেষ ওভারের জন্য ছিল না কোনও বিশেষজ্ঞ বোলার। মোসাদ্দেককে দিয়ে বল করান অধিনায়ক। ১১ রান ঠেকানোর দায়িত্ব পেয়ে দুই উইকেট নিয়ে আস্থার প্রতিদান দেন এই বোলার। এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ওভারে বোলিং করেন সৌম্য। তিনিও ১টি উইকেট পান। দুটি ম্যাচেই শেষ ওভারে জয় পায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে-নেদারল্যান্ডস অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল। বুধবার অ্যাডিলেডে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। তাদের ব্যাটিং গভীরতা কতটা শক্তিশালী কারও অজানা নয়। আছে সুর্যকুমার যাদবের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ কি এবার বাড়তি বোলার নিয়ে নামবে? কারণ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য এক দুটি খারাপ ওভারই যথেষ্ট।

সাকিব এমনটা মনে করেন না। তিনি মোসাদ্দেককে মূল বোলার হিসেবেই বিবেচনা করতে চান। সঙ্গে এটিও বলে দিয়েছেন, মোসাদ্দেককে অনিয়মিত বোলার ভেবে থাকলে ভুল হবে, ‘দেখুন ঘাটতি থাকলে আমরা ২০ ওভার করতে পারতাম না। মোসাদ্দেক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই বছর ৫ উইকেটও পেয়েছে একটা ম্যাচে। ৫ উইকেট পাওয়া টি-টোয়েন্টিতে খুবই দুর্লভ ব্যাপার। তাকে যদি আপনি অনিয়মিত বোলার হিসেবে মনে করেন, আমি বলবো যে সেটা ভুল।’

মোসাদ্দেক চলতি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে ৭ ওভার বোলিং করেছেন। ওভার প্রতি ৯.১৪ রান করে দিয়েছেন তিনি। তাকে সাকিব নিয়মিত বোলার বললেও বিশ্বকাপে একমাত্র জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ওভারের কোটা পূর্ণ করেন। এছাড়া প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১ ও ডাচদের বিপক্ষে করেন ২ ওভার। সব মিলিয়ে ৩১ টি-টোয়েন্টিতে ৭.২১ ইকোনোমিতে ১৮ উইকেটে নিয়েছেন এই অফস্পিনার।

‘ও (মোসাদ্দেক) হয়তো আরও ভালো বোলিং করতে পারে, ওকে আমরা ওভাবে বিবেচনা করেনি। আপনি যদি ঘরোয়া ক্রিকেট দেখেন ও কিন্তু টি-টোয়েটিতে চার ওভার করে।’- এভাবেই বলেছেন সাকিব।

তবে অ্যডিলেডে ভারতের বিপক্ষে কম্বিনেশন নিয়ে এখনও চিন্তা করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ বিবেচনায় সেরাটাই গড়া হবে বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘একাদশ নিয়ে আসলে চিন্তা করা হয়নি, কিন্তু কম্বিনেশন তো চাইলেই অনেক রকম বানানো যায়। এমন না যে একটা কম্বিনেশন নিয়েই আছি কিংবা থাকবো। আর কম্বিনেশন আসলে অনেক রকম বানানো যায়। তারপরেও আমাদের হাতে যতটুকু আছে, তার সদ্ব্যবহার কীভাবে করতে পারি, সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে।’