ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মৌলভীবাজারে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত দেশের নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে; নাসের রহমান বাংলাদেশ উদাচী শিল্পীগোষ্ঠী বেলাব থানা শাখার আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত ওয়েবসাইট তৈরিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে খন্দকার আইটি বেড়াতে এসে প্রবাসে ফেরা হলো না ফাহমিদার পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত বাসকপ নবীনগর শাখার উদ্যোগে আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মৃত ব্যক্তিদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রয়াত সাংবাদিকদের স্বরণে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হাল্টপ্রাইজ বোস্টন সামিটে যাবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

৫০০ নারীর সঙ্গে সহবাসের পর ভুল স্বীকার

ডেস্ক নিউজ, প্রতিদিনের পোস্ট
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২৮০ বার পড়া হয়েছে

টাইসন লিউক ফিউরি। জন্ম ১৯৮৮ সালের ১২ আগস্ট, ম্যানচেস্টারে। বাবা-মা আয়ারল্যান্ডের হলেও টাইসনের খুব অল্প বয়সেই তারা চলে এসেছিলেন ইংল্যান্ডে। দুইবারের বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন টাইসন। সাফল্য যেমন তার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলেছে, তেমনি পিছু ছাড়েনি বিতর্কও।

এক সাক্ষাৎকারে বক্সার টাইসন দাবি করেন, অন্তত ৫০০ নারীর সঙ্গে সহবাস করেছেন তিনি। আরেকবার বক্সিং ম্যাচের আগে টুইটারে জানিয়েছিলেন, তার জয়ের রহস্য। লিখেছিলেন, বহু বার সহবাসের কারণে ফিটনেস বাড়ে। পেশির শক্তি বাড়ে।

একজীবনে বহু বার বিতর্কে জড়িয়েছেন ইংল্যান্ডের এই বক্সার। কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, কখনও করেছেন নীতিপুলিশি। তারপরেও ফিরে এসেছেন রিংয়ে।

নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগে জন্মেছিলেন টাইসন। ওজন ছিল মাত্র ৪৫০ গ্রাম। বাঁচার খুব একটা আশা ছিল না। সে সময় বক্সিং রিং কাঁপাচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক টাইসন। তার নামেই ছেলের নাম রাখেন বাবা জন ফিউরি।

টাইসনের আগে আরও দুটি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন মা অ্যাম্বার ফিউরি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানোয় দুটি মেয়েই মারা যায়
টাইসনের বাবা জন ফিউরি ছিলেন পেশাদার বক্সার। টাইসনের সৎভাই টমিও ছিলেন বক্সার। ২০০৮ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রথমবার এবিএ সুপার-হেভিওয়েট খেতাব জিতে নেন টাইসন। এর পরেই প্রবেশ করেন পেশাদার বক্সিং জগতে। ২০১১ সালে ব্রিটিশ এবং কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি।

আর এরপর থেকেই বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন টাইসন। ২০১৫ সালে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের বোন অশালীন আচরণ করলে তাকেও ফাঁসিতে ঝোলাতে পিছপা হবেন না।

নীতিপুলিশির পাশাপাশি গর্ভপাত, সমকামের বিরোধিতাও করেছেন টাইসন। প্রকাশ্যে তিনি দাবি করেছেন, এগুলোকে বৈধতা দিলে অমান্য করা হবে বাইবেল। সমকামকে শিশু ধর্ষণের সঙ্গে তুলনা করে বসেন টাইসন। তা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়। ২০১৫ সালে তাকে বছরের সেরা ক্রীড়াবিদের সম্মান দেয় বিবিসি। দাবি ওঠে সেই সম্মান বাতিলের। আর হাজার হাজার মানুষ সই করেন সেই পিটিশনে
রূপান্তরকামীদের নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন টাইসন। পরে একটি অনুষ্ঠানে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। টাইসন বলেছিলেন, ‘আমি কারও মনে আঘাত দিতে চাইনি। কারও আঘাত লাগলে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’

আবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি যা কিছু খারাপ, সবই করেছি। আমরা সকলেই তো ভুল করি। আমার আক্ষেপ একটাই, বিয়ের আগে সহবাস।‘

তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের কিছু অংশ মুছে ফেলতে পারলে খুব ভাল হত। আমি অন্তত ৫০০ জনের সঙ্গে সহবাস করেছি। তার বেশিও হতে পারে।’ এরপরেই জানান, অতীতের এসব ভুলের জন্য কতটা পুড়েছেন বিবেকের দংশনে। তার কথায়, ‘এখন ভাবলে অসহ্য লাগে। আমি ধার্মিক নই। তবে মানুষকে ভালো কাজে সাহায্য করতে চাই। সব খারাপ জিনিস আটকাতে চাই।’

ব্যক্তিজীবনে বেশ সুখী টাইসন। তার যখন ১৭ বছর বয়স, তখন ১৫ বছর বয়সী প্যারিসের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয় তার। পরবর্তী কালে তিনিই টাইসনের স্ত্রী হয়েছেন। ২০০৮ সালে বিয়ে হয় দুজনের। তিন ছেলে এবং তিন মেয়ে রয়েছে এই দম্পতির। তিন ছেলের নামেই রয়েছে প্রিন্স, যা এসেছে টাইসনের প্রিয় ফাইটার প্রিন্স নাসিম থেকে

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

৫০০ নারীর সঙ্গে সহবাসের পর ভুল স্বীকার

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

টাইসন লিউক ফিউরি। জন্ম ১৯৮৮ সালের ১২ আগস্ট, ম্যানচেস্টারে। বাবা-মা আয়ারল্যান্ডের হলেও টাইসনের খুব অল্প বয়সেই তারা চলে এসেছিলেন ইংল্যান্ডে। দুইবারের বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন টাইসন। সাফল্য যেমন তার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলেছে, তেমনি পিছু ছাড়েনি বিতর্কও।

এক সাক্ষাৎকারে বক্সার টাইসন দাবি করেন, অন্তত ৫০০ নারীর সঙ্গে সহবাস করেছেন তিনি। আরেকবার বক্সিং ম্যাচের আগে টুইটারে জানিয়েছিলেন, তার জয়ের রহস্য। লিখেছিলেন, বহু বার সহবাসের কারণে ফিটনেস বাড়ে। পেশির শক্তি বাড়ে।

একজীবনে বহু বার বিতর্কে জড়িয়েছেন ইংল্যান্ডের এই বক্সার। কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, কখনও করেছেন নীতিপুলিশি। তারপরেও ফিরে এসেছেন রিংয়ে।

নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগে জন্মেছিলেন টাইসন। ওজন ছিল মাত্র ৪৫০ গ্রাম। বাঁচার খুব একটা আশা ছিল না। সে সময় বক্সিং রিং কাঁপাচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক টাইসন। তার নামেই ছেলের নাম রাখেন বাবা জন ফিউরি।

টাইসনের আগে আরও দুটি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন মা অ্যাম্বার ফিউরি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানোয় দুটি মেয়েই মারা যায়
টাইসনের বাবা জন ফিউরি ছিলেন পেশাদার বক্সার। টাইসনের সৎভাই টমিও ছিলেন বক্সার। ২০০৮ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রথমবার এবিএ সুপার-হেভিওয়েট খেতাব জিতে নেন টাইসন। এর পরেই প্রবেশ করেন পেশাদার বক্সিং জগতে। ২০১১ সালে ব্রিটিশ এবং কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি।

আর এরপর থেকেই বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন টাইসন। ২০১৫ সালে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের বোন অশালীন আচরণ করলে তাকেও ফাঁসিতে ঝোলাতে পিছপা হবেন না।

নীতিপুলিশির পাশাপাশি গর্ভপাত, সমকামের বিরোধিতাও করেছেন টাইসন। প্রকাশ্যে তিনি দাবি করেছেন, এগুলোকে বৈধতা দিলে অমান্য করা হবে বাইবেল। সমকামকে শিশু ধর্ষণের সঙ্গে তুলনা করে বসেন টাইসন। তা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়। ২০১৫ সালে তাকে বছরের সেরা ক্রীড়াবিদের সম্মান দেয় বিবিসি। দাবি ওঠে সেই সম্মান বাতিলের। আর হাজার হাজার মানুষ সই করেন সেই পিটিশনে
রূপান্তরকামীদের নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন টাইসন। পরে একটি অনুষ্ঠানে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। টাইসন বলেছিলেন, ‘আমি কারও মনে আঘাত দিতে চাইনি। কারও আঘাত লাগলে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’

আবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি যা কিছু খারাপ, সবই করেছি। আমরা সকলেই তো ভুল করি। আমার আক্ষেপ একটাই, বিয়ের আগে সহবাস।‘

তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের কিছু অংশ মুছে ফেলতে পারলে খুব ভাল হত। আমি অন্তত ৫০০ জনের সঙ্গে সহবাস করেছি। তার বেশিও হতে পারে।’ এরপরেই জানান, অতীতের এসব ভুলের জন্য কতটা পুড়েছেন বিবেকের দংশনে। তার কথায়, ‘এখন ভাবলে অসহ্য লাগে। আমি ধার্মিক নই। তবে মানুষকে ভালো কাজে সাহায্য করতে চাই। সব খারাপ জিনিস আটকাতে চাই।’

ব্যক্তিজীবনে বেশ সুখী টাইসন। তার যখন ১৭ বছর বয়স, তখন ১৫ বছর বয়সী প্যারিসের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয় তার। পরবর্তী কালে তিনিই টাইসনের স্ত্রী হয়েছেন। ২০০৮ সালে বিয়ে হয় দুজনের। তিন ছেলে এবং তিন মেয়ে রয়েছে এই দম্পতির। তিন ছেলের নামেই রয়েছে প্রিন্স, যা এসেছে টাইসনের প্রিয় ফাইটার প্রিন্স নাসিম থেকে

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট