ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমি লিখে না দেওয়ায় দাফনে বাধা, বাবার কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে!

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৩ বার পড়া হয়েছে

জমি লিখে না দেওয়ায় বাবার দাফন আটকাতে কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে। এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মরদেহ দাফন করা হয়।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারিতে এ ঘটনা ঘটে। জমি রেজিস্ট্রির করার আগে বাবার মৃত্যু হওয়ায় মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে নওশাদ আলী।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমান (৬৯) নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের কবরস্থানে মজিবর রহমানের জন্য কবর খোঁড়া হয়। ছেলে নওশাদ আলী জমির দাবিতে দাফনের আগে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। পরে নতুন কবর খুঁড়ে মজিবর রহমানের লাশ দাফন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সদ্য প্রয়াত মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছেন। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ২ শতাংশ ও ছোট ছেলেকে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে ৩ শতাংশ জমি প্রদান করেন বাবা মজিবুর রহমান। কিন্তু মৃত্যুর আগে প্রথম পক্ষের তিন ছেলেকে দেয়া জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ। এক পর্যায়ে কবরে শুয়ে পড়েন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘জমি লিখে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ওই ছেলে কবর থেকে উঠে পালিয়ে যায়। পরে আরেক জায়গায় নতুন করে কবর খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়েছে।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

জমি লিখে না দেওয়ায় দাফনে বাধা, বাবার কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে!

প্রকাশের সময় : ০৮:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

জমি লিখে না দেওয়ায় বাবার দাফন আটকাতে কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে। এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মরদেহ দাফন করা হয়।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারিতে এ ঘটনা ঘটে। জমি রেজিস্ট্রির করার আগে বাবার মৃত্যু হওয়ায় মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে নওশাদ আলী।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমান (৬৯) নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের কবরস্থানে মজিবর রহমানের জন্য কবর খোঁড়া হয়। ছেলে নওশাদ আলী জমির দাবিতে দাফনের আগে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। পরে নতুন কবর খুঁড়ে মজিবর রহমানের লাশ দাফন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সদ্য প্রয়াত মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছেন। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ২ শতাংশ ও ছোট ছেলেকে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে ৩ শতাংশ জমি প্রদান করেন বাবা মজিবুর রহমান। কিন্তু মৃত্যুর আগে প্রথম পক্ষের তিন ছেলেকে দেয়া জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ। এক পর্যায়ে কবরে শুয়ে পড়েন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘জমি লিখে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ওই ছেলে কবর থেকে উঠে পালিয়ে যায়। পরে আরেক জায়গায় নতুন করে কবর খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়েছে।