ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী বেলাবতে শামছুল হুদা রহমানীয়া মাহমুদীয়া দ্বীনিয়া মাদরাসার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভয়ে ভীত প্রীতি উরাংয়ের পরিবারও নাগরিক সমাজের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার দাবি কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নির্মাণ শ্রমিকের প্রাণ গেল ব্যাংকে টাকা নাই গ্ৰাহক সেবা থেকে বঞ্চিত; হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্টকে জেতাতে কোমর বেঁধেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি শামসুল হুদা লস্কর কলেজছাত্র মামুন হত্যাকান্ডের প্রধান জুনেদ কারাগারে শ্রীমঙ্গলে অভ্যন্তরীন বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন;কৃষিমন্ত্রী ‘অনুমতি ছাড়া জন্ম দেয়ায়’ মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা! সুদের চক্রে ফেঁসে বিষপানে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার আত্মহত্যা

“কার্তিকের ধানে মঙ্গা জয়ের হাসি”

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৮২ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি || কার্তিকের ধানে মঙ্গা জয়ের হাসি।

লালমনিরহাটে আগাম স্বল্প মেয়াদি জাতের আমন ধান চাষ করে ঘরে তুলতে পারায় খুশি কৃষকরা। ধানের ভালো ফলন ও বাজারদর পেয়ে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী তারা। চালসহ সব দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে যখন নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে ঠিক তখনই কার্তিকের আগাম ধান কৃষকের মুখে মঙ্গা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মাসেই লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। আমন ধান ঘরে তুলতে পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে কাজ করছেন নারী শ্রমিকরাও। কেউ ধান কাটছেন। আবার কেউ ধান বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউবা জমিতে ও বাড়ির উঠোনে ধান মাড়াই করছেন।

কৃষি অফিস জানায়, চলতি আমন মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৩ টন চাল। এরমধ্যে আগাম জাতসহ হাইব্রিড চাষ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ হেক্টর জমিতে যা মোট আবাদি জমির ৪৩ শতাংশ।

ওই এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা দরে। ধানের দাম পাওয়ায় কৃষকরা খুশি।

কৃষকরা জানান, এবার সারের মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটের মধ্যেও ধান চাষ করেছি। গত বছর এক বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে এক থেকে দেড় হাজার টাকা লেগেছে। এবার প্রায় তিন গুণ বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে তবুও শ্রমিক সংকট। বর্তমানে ধানের দাম তুলনামূলক ভালো।

হাতীবান্ধা উপজেলার ফকির পাড়া ইউপির কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে। আগাম ধান পেয়ে এ কার্তিক মাসে মঙ্গা দূর হয়েছে।’

পাটগ্রামে জগতবের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন সুমন বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের দাম ভালো। ফলে কৃষকের মুখে দেখা গেছে হাসির ঝিলিক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রচুর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। ধানের ফলনও হয়েছে আশানুরূপ আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি। ফলে আগাম ধান পেয়ে খুশি কৃষক।

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“কার্তিকের ধানে মঙ্গা জয়ের হাসি”

প্রকাশের সময় : ০৯:০০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

লালমনিরহাট প্রতিনিধি || কার্তিকের ধানে মঙ্গা জয়ের হাসি।

লালমনিরহাটে আগাম স্বল্প মেয়াদি জাতের আমন ধান চাষ করে ঘরে তুলতে পারায় খুশি কৃষকরা। ধানের ভালো ফলন ও বাজারদর পেয়ে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী তারা। চালসহ সব দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে যখন নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে ঠিক তখনই কার্তিকের আগাম ধান কৃষকের মুখে মঙ্গা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মাসেই লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। আমন ধান ঘরে তুলতে পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে কাজ করছেন নারী শ্রমিকরাও। কেউ ধান কাটছেন। আবার কেউ ধান বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউবা জমিতে ও বাড়ির উঠোনে ধান মাড়াই করছেন।

কৃষি অফিস জানায়, চলতি আমন মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৩ টন চাল। এরমধ্যে আগাম জাতসহ হাইব্রিড চাষ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ হেক্টর জমিতে যা মোট আবাদি জমির ৪৩ শতাংশ।

ওই এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা দরে। ধানের দাম পাওয়ায় কৃষকরা খুশি।

কৃষকরা জানান, এবার সারের মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটের মধ্যেও ধান চাষ করেছি। গত বছর এক বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে এক থেকে দেড় হাজার টাকা লেগেছে। এবার প্রায় তিন গুণ বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে তবুও শ্রমিক সংকট। বর্তমানে ধানের দাম তুলনামূলক ভালো।

হাতীবান্ধা উপজেলার ফকির পাড়া ইউপির কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে। আগাম ধান পেয়ে এ কার্তিক মাসে মঙ্গা দূর হয়েছে।’

পাটগ্রামে জগতবের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন সুমন বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের দাম ভালো। ফলে কৃষকের মুখে দেখা গেছে হাসির ঝিলিক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রচুর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। ধানের ফলনও হয়েছে আশানুরূপ আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি। ফলে আগাম ধান পেয়ে খুশি কৃষক।