‘অনৈতিক মেলামেশার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন আপন ভাই-বোন’
- প্রকাশের সময় : ১১:০২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
- / ৯০ বার পড়া হয়েছে
পর’কী’য়ায় জড়ানোর পর এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন একই বা’বার ঔর’সজাত দুই ভাই-বোন। শনিবার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এই ঘটনা ঘটেছে। পর’কী’য়ার বিস্তারিত দেখুন ভিডিও নিউজের লিংকে
জানা যায়, নিকা রেজিস্ট্রিমূলে উপজেলার তারাকুল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের প্রথম স্ত্রীর ছেলে শিজু (৩৫) এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে রাজিয়া খাতুন (২৬) আবদ্ধ হয়েছেন বিবাহ বন্ধনে।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে তাদের বিচারের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। যাতে করে আর কেউ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে পারে এজন্য তাদের শাস্তির দাবি করছেন সচেতন মহল। আর এ বিয়ে বৈধ নয় বলে জানিয়েছেন আলেম-ওলামারা।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদ প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক হরিপুর গ্রামে বসবাস করেছিলেন। তখন তাদের সংসারে ছেলে শিজু জ’ন্ম নেয়। তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের পর, আব্দুর রশিদ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার তারাকুল গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে মাহমুদা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর তাদের সংসারে জন্ম নেয় মেয়ে রাজিয়া খাতুন। ছেলে শিজু ও মেয়ে রাজিয়াকে আব্দুর রশিদ উপযুক্ত বয়সে বিয়েও দেন। তাদের ঘরে ছেলে-মেয়েও রয়েছে। এরই মধ্যে শিজু ও রাজিয়া তাদের বাবার বাড়িতে আসা-যাওয়ার মাঝে পর ্ কীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
রাজিয়ার মামা আব্দুল হান্নান বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে অ ্ নৈতিক মেলা’মেশার কারণে গ্রামবাসী তাদের আটক করে মা রপিট দিয়ে ক্ষেতলাল থানায় সোপর্দ করেছিল। সে সময় তারা দুজনেই এমন কাজে আর জড়াবেন না বলে মুচলেকা দেন। তারপরও এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে ওরা।
তাদের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, নিজের জন্ম দেয়া সন্তানরা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে তা কোন বাবা-মা সহ্য করতে পারবেনা। এমন ঘটনা জানার পর থেকেই আমি আর বাইরে বের হতে পারছি না। এমন ঘটনা শোনার আগে আমার মৃ্ত্যু কেন হলো না।
শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের কাজী মাসুম বিল্ল্যার অফিসে এই বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। তবে এ ঘটনায় তিনিও বিব্রত। বললেন, এ বিয়ের রেজিস্ট্রি নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছি। বিভিন্ন মহল থেকে ফোন আসছেই।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত হোসেন বলেন, এমন ঘটনা কখনও শুনিনি। তবে এ বিয়ে সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ার কথা নয়।