ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জালিয়াতি মামলায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ, গ্রেফতার ৪ আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী বেলাবতে শামছুল হুদা রহমানীয়া মাহমুদীয়া দ্বীনিয়া মাদরাসার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভয়ে ভীত প্রীতি উরাংয়ের পরিবারও নাগরিক সমাজের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার দাবি কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নির্মাণ শ্রমিকের প্রাণ গেল ব্যাংকে টাকা নাই গ্ৰাহক সেবা থেকে বঞ্চিত; হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্টকে জেতাতে কোমর বেঁধেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি শামসুল হুদা লস্কর কলেজছাত্র মামুন হত্যাকান্ডের প্রধান জুনেদ কারাগারে শ্রীমঙ্গলে অভ্যন্তরীন বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন;কৃষিমন্ত্রী

জুমার দিন ভালো পোশাক পরিধানের বিষয়ে যা বলেছেন নবীজি

ধর্ম ডেস্ক, প্রতিদিনের পোস্ট
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক, প্রতিদিনের পোস্ট || জুমার দিন ভালো পোশাক পরিধানের বিষয়ে যা বলেছেন নবীজি।

মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা রাখে যে দিনগুলো শুক্রবার হলো তার একটি। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর মধ্যে এতো বেশি যে একে বলা হয়েছে সপ্তাহের ঈদের দিন। এবং এদিনে ফজিলত রাখা হয়েছে আমলের জন্য। এই দিনে যিনি পবিত্র কোরআনের সুরায়ে কাহাফ তেলাওয়াত করবেন, তিনি শেষ জামানায় রক্ষা পাবেন দাজ্জালের ফেতনা থেকে।

দাজ্জাল যখন মানুষকে সৎপথ থেকে বিপথে নিয়ে দাঁড় করাবে আল্লাহর বিরুদ্ধে এবং বিভিন্নভাবে চেষ্টা করবে বিভ্রান্ত করার সেই কঠিন মুহুর্তে জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াতকারী আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে রক্ষা পাবে। আঁকড়ে ধরতে পারবে সিরাতুল মুস্তাকিম। দাজ্জালের ধোঁকা সরল পথ থেকে তাকে বিচ্যুত করতে পারবে না।

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন তিলাওয়াত করবে সুরা কাহাফ, সে আট দিন পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে সবধরনের ফেৎনা থেকে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে নিরাপদ থাকবে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। -(সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

জুমার আরো কিছু আমলের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তন্মধ্যে কিছু আমল ধারাবাহিক উল্লেখ করা হচ্ছে- এক. গোসল করা। দুই. উত্তম পোশাক পরিধান করা। তিন. সুগন্ধি ব্যবহার করা। চার. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

এই চারটি আমলের কথা একসঙ্গে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন—

যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার দিন উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং ব্যবহার করবে সুগন্ধি, তার নিকট যদি থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত থাকে চুপ করে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে।-(আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

জুমার দিন ভালো পোশাক পরিধানের বিষয়ে যা বলেছেন নবীজি

প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

ধর্ম ডেস্ক, প্রতিদিনের পোস্ট || জুমার দিন ভালো পোশাক পরিধানের বিষয়ে যা বলেছেন নবীজি।

মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা রাখে যে দিনগুলো শুক্রবার হলো তার একটি। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর মধ্যে এতো বেশি যে একে বলা হয়েছে সপ্তাহের ঈদের দিন। এবং এদিনে ফজিলত রাখা হয়েছে আমলের জন্য। এই দিনে যিনি পবিত্র কোরআনের সুরায়ে কাহাফ তেলাওয়াত করবেন, তিনি শেষ জামানায় রক্ষা পাবেন দাজ্জালের ফেতনা থেকে।

দাজ্জাল যখন মানুষকে সৎপথ থেকে বিপথে নিয়ে দাঁড় করাবে আল্লাহর বিরুদ্ধে এবং বিভিন্নভাবে চেষ্টা করবে বিভ্রান্ত করার সেই কঠিন মুহুর্তে জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াতকারী আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে রক্ষা পাবে। আঁকড়ে ধরতে পারবে সিরাতুল মুস্তাকিম। দাজ্জালের ধোঁকা সরল পথ থেকে তাকে বিচ্যুত করতে পারবে না।

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন তিলাওয়াত করবে সুরা কাহাফ, সে আট দিন পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে সবধরনের ফেৎনা থেকে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে নিরাপদ থাকবে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। -(সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

জুমার আরো কিছু আমলের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তন্মধ্যে কিছু আমল ধারাবাহিক উল্লেখ করা হচ্ছে- এক. গোসল করা। দুই. উত্তম পোশাক পরিধান করা। তিন. সুগন্ধি ব্যবহার করা। চার. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

এই চারটি আমলের কথা একসঙ্গে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন—

যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার দিন উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং ব্যবহার করবে সুগন্ধি, তার নিকট যদি থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত থাকে চুপ করে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে।-(আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)