তীব্র শীতে ও বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত
- প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৮০ বার পড়া হয়েছে
মো. আলমগীর খন্দকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতের তীব্রতা ও বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। ঘন কুয়াশার সাথে টানা কয়েকদিনের হাঁড় কাপানো তীব্র শীত তারমধ্যে বৃষ্টির ফলে কাবু বয়সের মানুষ। দিনের বেশিরভাগ সময়ই কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারপাশ। ফলে সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তাছাড়া বুধবার বিকেল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া বৃষ্টি শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে তীব্র শীতে বিভিন্ন বাজার ও সড়কের পাশে জমে উঠেছে মৌসুমি কাপড় ব্যবসা। শীতার্তরা শীত নিবারণের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন দোকান গুলোর সামনে। তাছাড়া শীত বাড়তে থাকায় ইলেকট্রিক কেটলি ও হিটারের বিক্রি বেড়েছে বহুগুণ।
উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে গাউছিয়া হাট নামক সাপ্তাহিক বাজারে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে আসা দোকানদার শ্যামল প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, শীত বাড়তে থাকায় শীতে গরম কাপড় বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া এই হাটে মার্কেটের তুলনায় মূল্য অনেক কম হওয়ায় ক্রেতারাও তাদের সাধ্যের মধ্যে কাপড় পাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার জুনাইদ প্রতিদিনের পোস্টকে জানান দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দেখা মেলেনি সূর্যের। এতে করে ক্ষেত খামারে কাজ করা মানুষ গুলোর দুর্ভোগ বাড়ছে।
নবীনগর উপজেলার লাপাং গ্রামের কৃষক জান্নান মিয়া প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, এখন ইরি-বোরো ধানের চারা (জালা) বড় হয়ে যাচ্ছে, তীব্র শীতের কারণে বদলী পাচ্ছি না, আর পাইলেও চড়া মূল্যে নিতে হয়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের সিএনজি চালক জসিম মিয়া প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় ঠিকমতো দেখতে না পেয়ে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়।
টানা কয়েকদিনের হাঁড় কাপানো শীতে জনজীবনে জবুথবু অবস্থা তৈরি হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা,শ্বাসকষ্ট,এলার্জি,নিউমোনিয়া,ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা ধরনের রোগ। এতে সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশুরা