ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারবিহীন বেশীরভাগ কেন্দ্র

নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি: প্রতিদিনের পোস্ট

অনুষ্ঠীত হল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪। বুধবার (০৮ মে) নরসিংদীতে দুটি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশীরভাগ কেন্দ্রই ভোটার বিহীন। সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি খুব ই কম লক্ষ করা যায়।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে বিজয়ী হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীনের প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন তিনি পেয়েছেন ৭৪,২৭২ তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল বাকি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮,৮২২। বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। এদিকে পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন।

নরসিংদী সদর উপজেলার ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৯ জন ভোটারের জন্য ভোট নেওয়া হয়েছে ১৭৫টি ভোট কেন্দ্রে এবং পলাশ উপজেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ জন ভোটারের জন্য ভোট নেওয়া হয়েছে ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে।

সকাল থেকে নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্র গুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুব ই কম। মাঝে মধ্যে দুয়েকজন ভোটার ভোট দিতে আসছেন। লক্ষ করা যায় কিছু কেন্দ্র একদম ভোটার শুন্য। পুলিং ও প্রিজাইডিং অফিসারগন বসে আছেন তাদের দায়িত্ব পালনে।

গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে। র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি,আনসার সহ সেনাবাহিনী সদস্যদের কে ও টহল দিতে দেখা গেছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে, কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে যথেষ্ট ততপর ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার প্রধান কারন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব, আর ভোটার রা ভোটদানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটার নাই মানুষ আর আগের মত ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়না। মানুষ ভয় পায় কেন্দ্রে যেতে। কেন্দ্রে কখন কি ঘটে। আর আগের মত নির্বাচনে আমেজ নাই। জমজমাট অবস্থার যে বিরাজমান পরিস্থিতি ছিল তা এখন আর নাই।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

নরসিংদীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারবিহীন বেশীরভাগ কেন্দ্র

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

অনুষ্ঠীত হল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪। বুধবার (০৮ মে) নরসিংদীতে দুটি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশীরভাগ কেন্দ্রই ভোটার বিহীন। সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি খুব ই কম লক্ষ করা যায়।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে বিজয়ী হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীনের প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন তিনি পেয়েছেন ৭৪,২৭২ তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল বাকি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮,৮২২। বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। এদিকে পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন।

নরসিংদী সদর উপজেলার ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৯ জন ভোটারের জন্য ভোট নেওয়া হয়েছে ১৭৫টি ভোট কেন্দ্রে এবং পলাশ উপজেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ জন ভোটারের জন্য ভোট নেওয়া হয়েছে ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে।

সকাল থেকে নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্র গুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুব ই কম। মাঝে মধ্যে দুয়েকজন ভোটার ভোট দিতে আসছেন। লক্ষ করা যায় কিছু কেন্দ্র একদম ভোটার শুন্য। পুলিং ও প্রিজাইডিং অফিসারগন বসে আছেন তাদের দায়িত্ব পালনে।

গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে। র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি,আনসার সহ সেনাবাহিনী সদস্যদের কে ও টহল দিতে দেখা গেছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে, কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে যথেষ্ট ততপর ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার প্রধান কারন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব, আর ভোটার রা ভোটদানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটার নাই মানুষ আর আগের মত ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়না। মানুষ ভয় পায় কেন্দ্রে যেতে। কেন্দ্রে কখন কি ঘটে। আর আগের মত নির্বাচনে আমেজ নাই। জমজমাট অবস্থার যে বিরাজমান পরিস্থিতি ছিল তা এখন আর নাই।