ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মৌলভীবাজারে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত দেশের নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে; নাসের রহমান বাংলাদেশ উদাচী শিল্পীগোষ্ঠী বেলাব থানা শাখার আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত ওয়েবসাইট তৈরিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে খন্দকার আইটি বেড়াতে এসে প্রবাসে ফেরা হলো না ফাহমিদার পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত বাসকপ নবীনগর শাখার উদ্যোগে আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মৃত ব্যক্তিদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রয়াত সাংবাদিকদের স্বরণে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হাল্টপ্রাইজ বোস্টন সামিটে যাবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

“বকেয়ার টাকাটা দাও, এই গরিবের দিকে তাকাও”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || বকেয়ার টাকাটা দাও, এই গরিবের দিকে তাকাও|

প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে, বাকির নাম ফাঁকি। প্রবাদটি নিয়ে বিতর্ক করা যেতেই পারে, কিন্তু এমনটাই ঘটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন মালিকের সঙ্গে। শিক্ষার্থীদের বাকিতে খেতে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই ক্যান্টিন মালিক মো. শফিকুল ইসলাম।

গত পাঁচ-ছয় মাসে শিক্ষার্থীরা ওনার ক্যান্টিনে খাবার খেয়ে এক লাখ টাকার বেশি বকেয়া করেছেন। এসব শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

শফিকুল ইসলাম ক্যাম্পাসে শফি ভাই নামে পরিচিত। গতকাল মঙ্গলবার আক্ষেপ করে তিনি বলেন, তাদের অনেকবার বলেছি, আমার অনেক ঋণ আছে। ঋণ শোধ করতে পারলে শান্তি পাব। বকেয়ার টাকাটা দাও, এই গরিবের দিকে তাকাও। আমি তোমাদের সেবক। আমার বুকে লাথি মেরো না। তোমরা যদি আমাকে ভাত না দাও, তাহলে গুলি করে মেরে ফেলো।

২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব পান শফিকুল ইসলাম। তখন থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে ২০-২৫ লাখ টাকা বাকিতে খেয়ে আর পরিশোধ করেননি বলে দাবি করেন তিনি। বাকিতে খাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী অভিযোগ করে শফিকুল ইসলাম বলেন, এখানকার ছাত্রলীগেরই ছেলেরা বাকি খেয়েছে। নন–পলিটিক্যাল ছেলে অল্প কয়েকটা হতে পারে। এখন আর পারছি না। তোমাদের কত টাকা বাকি দিতে হবে বলো। দেব আমি। কিন্তু তোমরা নিজেদের মতো করে বাকি খেয়ে টাকা পরিশোধ করছ না কেন, এটাই আমার কষ্ট।

শফিকুল ইসলাম লেখাপড়া জানেন না। তাই কে কত টাকা বাকিতে খেয়েছেন, সেটা বলতে পারেন না। তবে বাকি লিখে রাখার জন্য তার খাতা রয়েছে। তাতে কে কত টাকা বাকিতে খেয়েছেন, তা শিক্ষার্থীরাই লিখে রাখেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে তার তিনটি খাতা পড়িয়েছেন। এতে গত পাঁচ-ছয় মাসে বাকি পেয়েছেন এক লাখ টাকার বেশি।

শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরে টাকা চেয়েও পাচ্ছেন না। পরে রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে গিয়েছিলেন। তাদের পরামর্শে তিনি ক্যান্টিনের কয়েক জায়গায় বাকি পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

নোটিশে লেখা রয়েছে,‘বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। আমার চলতে কষ্ট হয়, আমাকে ক্যান্টিন চালাতে সহযোগিতা করুন। বি. দ্র. বাকির খাতা পরিশোধ করুন। অনুরোধে, শফি ভাই

শফিকুল ইসলাম কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা থেকে ১৯৭১ সালে মা–বাবার সঙ্গে রাজশাহীতে আসেন। বর্তমানে নগরের বিনোদপুর এলাকার মির্জাপুরে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন। ছোটবেলা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বড় হয়েছেন। তিন বেলা ক্যান্টিন চালাতে পাঁচ থেকে ছয়জন কর্মচারী রয়েছে। তাদের প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিতে হয়। তার স্ত্রী ও ছেলেরা ক্যান্টিনে সময় দেন। ক্যান্টিন চালিয়েই সংসার চলে তার।

বিষাদজড়িত কণ্ঠে শফিকুল ইসলাম বলেন, চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে। বর্তমানে জিনিসপত্রের প্রচুর দাম। তবু ক্যান্টিনে কোনো খাবারের দাম বাড়াইনি। সবাইকে নিয়েই বাঁচতে চাই। এমন যেন না হয় যে, আমাকে শেষ করে দিয়ে বাঁচবে। তোমরা শিক্ষিত ছেলে, তোমাদের কাছে কি আমি ভাত পাব না? আমি বাঁচতে চাই। আমার বউ ছেলেপেলে আছে।

এ বিষয়ে কথা হয় হলটির প্রাধ্যক্ষ সাইখুল ইসলাম ওরফে মামুন জিয়াদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ক্যান্টিনের বিষয়টি একান্তই তার। তিনি কীভাবে ব্যবসা করবেন, বাকি দেবেন কি দেবেন না, এটা তার দায়দায়িত্ব। এখানে হল প্রশাসন কোনো ভর্তুকি দেয় না। তাই কোনো হস্তক্ষেপও করে না।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে ওই ক্যান্টিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে কাজ করছিলেন শফিকুল ইসলাম। বাইরে বেঞ্চে বসে কয়েকজন খাচ্ছিলেন। পরে ক্যাশ টেবিলের সামনে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। অনুরোধ করে তিনি বলেন, সত্যিই ভাই, খুব বিপদে আছি। যদি কিছু টাকা তুলে দেন।

সেখানে বসে খাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, যারা এখানে দলীয় পরিচয় ভাঙিয়ে বা সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বাকি খাচ্ছেন, তারা কাজটা ঠিক করছেন না। শফি ভাইকে আমরা চিনি। তিনি অনেক ছাত্রকে বলেন, ভাই, তুমি খাও। টাকা পরে দিয়ো। কিন্তু মানুষগুলো তার সঙ্গে বেইমানি করেছে।

এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সঙ্গে। তিনি বলেন, শফি ভাই তাদের কাছে এসেছিলেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, যেসব শিক্ষার্থী তার কাছ থেকে বাকি খেয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। টাকা পরিশোধ করার ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন। তিনিই তাকে নোটিশ ঝোলানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“বকেয়ার টাকাটা দাও, এই গরিবের দিকে তাকাও”

প্রকাশের সময় : ০৫:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || বকেয়ার টাকাটা দাও, এই গরিবের দিকে তাকাও|

প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে, বাকির নাম ফাঁকি। প্রবাদটি নিয়ে বিতর্ক করা যেতেই পারে, কিন্তু এমনটাই ঘটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন মালিকের সঙ্গে। শিক্ষার্থীদের বাকিতে খেতে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই ক্যান্টিন মালিক মো. শফিকুল ইসলাম।

গত পাঁচ-ছয় মাসে শিক্ষার্থীরা ওনার ক্যান্টিনে খাবার খেয়ে এক লাখ টাকার বেশি বকেয়া করেছেন। এসব শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

শফিকুল ইসলাম ক্যাম্পাসে শফি ভাই নামে পরিচিত। গতকাল মঙ্গলবার আক্ষেপ করে তিনি বলেন, তাদের অনেকবার বলেছি, আমার অনেক ঋণ আছে। ঋণ শোধ করতে পারলে শান্তি পাব। বকেয়ার টাকাটা দাও, এই গরিবের দিকে তাকাও। আমি তোমাদের সেবক। আমার বুকে লাথি মেরো না। তোমরা যদি আমাকে ভাত না দাও, তাহলে গুলি করে মেরে ফেলো।

২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব পান শফিকুল ইসলাম। তখন থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে ২০-২৫ লাখ টাকা বাকিতে খেয়ে আর পরিশোধ করেননি বলে দাবি করেন তিনি। বাকিতে খাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী অভিযোগ করে শফিকুল ইসলাম বলেন, এখানকার ছাত্রলীগেরই ছেলেরা বাকি খেয়েছে। নন–পলিটিক্যাল ছেলে অল্প কয়েকটা হতে পারে। এখন আর পারছি না। তোমাদের কত টাকা বাকি দিতে হবে বলো। দেব আমি। কিন্তু তোমরা নিজেদের মতো করে বাকি খেয়ে টাকা পরিশোধ করছ না কেন, এটাই আমার কষ্ট।

শফিকুল ইসলাম লেখাপড়া জানেন না। তাই কে কত টাকা বাকিতে খেয়েছেন, সেটা বলতে পারেন না। তবে বাকি লিখে রাখার জন্য তার খাতা রয়েছে। তাতে কে কত টাকা বাকিতে খেয়েছেন, তা শিক্ষার্থীরাই লিখে রাখেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে তার তিনটি খাতা পড়িয়েছেন। এতে গত পাঁচ-ছয় মাসে বাকি পেয়েছেন এক লাখ টাকার বেশি।

শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরে টাকা চেয়েও পাচ্ছেন না। পরে রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে গিয়েছিলেন। তাদের পরামর্শে তিনি ক্যান্টিনের কয়েক জায়গায় বাকি পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

নোটিশে লেখা রয়েছে,‘বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। আমার চলতে কষ্ট হয়, আমাকে ক্যান্টিন চালাতে সহযোগিতা করুন। বি. দ্র. বাকির খাতা পরিশোধ করুন। অনুরোধে, শফি ভাই

শফিকুল ইসলাম কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা থেকে ১৯৭১ সালে মা–বাবার সঙ্গে রাজশাহীতে আসেন। বর্তমানে নগরের বিনোদপুর এলাকার মির্জাপুরে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন। ছোটবেলা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বড় হয়েছেন। তিন বেলা ক্যান্টিন চালাতে পাঁচ থেকে ছয়জন কর্মচারী রয়েছে। তাদের প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিতে হয়। তার স্ত্রী ও ছেলেরা ক্যান্টিনে সময় দেন। ক্যান্টিন চালিয়েই সংসার চলে তার।

বিষাদজড়িত কণ্ঠে শফিকুল ইসলাম বলেন, চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে। বর্তমানে জিনিসপত্রের প্রচুর দাম। তবু ক্যান্টিনে কোনো খাবারের দাম বাড়াইনি। সবাইকে নিয়েই বাঁচতে চাই। এমন যেন না হয় যে, আমাকে শেষ করে দিয়ে বাঁচবে। তোমরা শিক্ষিত ছেলে, তোমাদের কাছে কি আমি ভাত পাব না? আমি বাঁচতে চাই। আমার বউ ছেলেপেলে আছে।

এ বিষয়ে কথা হয় হলটির প্রাধ্যক্ষ সাইখুল ইসলাম ওরফে মামুন জিয়াদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ক্যান্টিনের বিষয়টি একান্তই তার। তিনি কীভাবে ব্যবসা করবেন, বাকি দেবেন কি দেবেন না, এটা তার দায়দায়িত্ব। এখানে হল প্রশাসন কোনো ভর্তুকি দেয় না। তাই কোনো হস্তক্ষেপও করে না।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে ওই ক্যান্টিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে কাজ করছিলেন শফিকুল ইসলাম। বাইরে বেঞ্চে বসে কয়েকজন খাচ্ছিলেন। পরে ক্যাশ টেবিলের সামনে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। অনুরোধ করে তিনি বলেন, সত্যিই ভাই, খুব বিপদে আছি। যদি কিছু টাকা তুলে দেন।

সেখানে বসে খাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, যারা এখানে দলীয় পরিচয় ভাঙিয়ে বা সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বাকি খাচ্ছেন, তারা কাজটা ঠিক করছেন না। শফি ভাইকে আমরা চিনি। তিনি অনেক ছাত্রকে বলেন, ভাই, তুমি খাও। টাকা পরে দিয়ো। কিন্তু মানুষগুলো তার সঙ্গে বেইমানি করেছে।

এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সঙ্গে। তিনি বলেন, শফি ভাই তাদের কাছে এসেছিলেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, যেসব শিক্ষার্থী তার কাছ থেকে বাকি খেয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। টাকা পরিশোধ করার ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন। তিনিই তাকে নোটিশ ঝোলানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট