“মিসরীয় তরুণী এখন নোয়াখালীর পুত্রবধূ”
- প্রকাশের সময় : ০৩:২১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
- / ২২০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || মিসরীয় তরুণী এখন নোয়াখালীর পুত্রবধূ|
প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) বিয়ে করে সুদূর মিসর থেকে বাংলাদেশে এসেছেন মিসরীয় তরুণী ডালিয়া (২৬)। নোয়াখালী এসে সংসার শুরু করেছেন তারা।
এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত তাদের বাড়ি। গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই দম্পতি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে আসেন। ২০২০ সালে মিসরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তারা প্রথম বাংলাদেশে আসেন।
গোলাম সারোয়ার বাবু জানান, তিনি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিসর যান। সেখানে তিনি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। মিসরী তরুণী ডালিয়ার বাসার পাশেই থাকতেন তিনি। ডলিয়ার ভাইয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। এ সুবাদে মাঝেমধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল বাবুর। এক সময় বাবু ডালিয়াকে তার ভালো লাগার বিষয়টি জানান।
এতে ডালিয়া সম্মতি দিলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইন কানুন মেনে মিসরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। গত বছর তাদের একটি বাচ্চা হয়। পরে সে মারা যায়। এর পর এ প্রথম দুজনের এক সঙ্গে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন তারা। বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ^শুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত।
মিসরী তরুণী ডালিয়া বাংলা বলতে না পারলেও মিসরী ভাষায় সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মিসরী ভাষা বাংলা অনুবাদ হিসেবে বাবু সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে সে অনেক ভালোবাসে। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পছন্দ বলেও মন্তব্য করেন এ বিদেশি তরুণী। তবে কারো সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ^শুরবাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিসর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, ‘পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারা ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত। নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, ‘বিদেশি পুত্রবধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট