ঢাকা , বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা : ইউনিসেফ নরসিংদীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দুহাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছে হাজারো মুসল্লি শায়েস্তাগঞ্জে ১৫শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আলফাডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন ইউটিউব দেখে এটিএম বুথ লুটের পরিকল্পনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশির যুবকের আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ একই স্থানে পাল্টাপাল্টি ঈদ পুনর্মিলনী বেড়াতে আসা মেয়েকে উত্যক্ত করার জেরে নিহত ১, আহত ৩

মৌলভীবাজারে বিশ্ব বন্যপ্রানী দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমি কর্মসূচি পালন

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / ১০০ বার পড়া হয়েছে

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে ট্রেন চলাচলের সময় গতি সর্ব্বোচ্চ ২০ কি.মি. রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য সচেতনতা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচী পালন করে মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রীমঙ্গল ও ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
বনবিভাগ সূত্রের বরাতে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে সিলেটের সাথে ঢাকা ও চট্রগ্রাম রেলপথে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের সময় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণি কাঁটা পড়ে মারা যায়। সেজন্য জাতীয় লাউয়াছড়া বনের মাঝ দিয়ে রেলপথে বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে বনাঞ্চল এলাকায় ট্রেনের গতি ২০-৩০ কিলোমিটারের রাখার বিষয়ে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ বন সংরক্ষকের কাছে পত্র প্রেরণ করেন মৌলভীবাজারস্থ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এই পত্রের বরাত দিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দীপক কুমার চক্রবর্তী লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণীর মৃত্যুরোধে ট্রেনের গতিসীমা ২০ কি.মি. এর মধ্যে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে গত ২৫ জানুয়ারী রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন। পরে গত ২৯ জানুয়ারি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. তৌফিক ইমাম স্বাক্ষরিত মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকাকে গতিসীমা ২০ কি.মি. এর মধ্যে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রম অনুরোধ করেন।
ট্রেনের গতিনিয়ন্ত্রণ করণে বন্যপ্রাণী দিবসে শ্রীমঙ্গল ও ভানুগাছ স্টেশনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে সচেতনতা কর্মসূচী পালিত হয়। এসময় ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারস্থ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র, লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা গতবছর বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে লাউয়াছড়ার বনাঞ্চল এলাকায় সড়ক পথে গাড়ির গতিসীমা সর্বোচ্চ ২০ কিমিঃ রাখার জন্য কর্মসূচী পালন করেছিলাম। এ বছর ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ২০ কিমিঃ রাখার জন্য কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বনের প্রাণীরা নিরাপদে চলার জন্য বনবিভাগ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের এই নিয়মগুলো কেউ রক্ষা করেন, আবার অনেকেই করেননা। বনের প্রাণীদের প্রতি আমরা সবাই আরও সহানুভূতিশীল হতে হবে।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ১৯৯৬ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টরের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। এ উদ্যানে রয়েছে বিশ্বের বিরল এবং বিপন্ন অনেক বৃক্ষ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাস। উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায় বলে জানা গেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

মৌলভীবাজারে বিশ্ব বন্যপ্রানী দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমি কর্মসূচি পালন

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে ট্রেন চলাচলের সময় গতি সর্ব্বোচ্চ ২০ কি.মি. রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য সচেতনতা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচী পালন করে মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রীমঙ্গল ও ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
বনবিভাগ সূত্রের বরাতে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে সিলেটের সাথে ঢাকা ও চট্রগ্রাম রেলপথে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের সময় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণি কাঁটা পড়ে মারা যায়। সেজন্য জাতীয় লাউয়াছড়া বনের মাঝ দিয়ে রেলপথে বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে বনাঞ্চল এলাকায় ট্রেনের গতি ২০-৩০ কিলোমিটারের রাখার বিষয়ে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ বন সংরক্ষকের কাছে পত্র প্রেরণ করেন মৌলভীবাজারস্থ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এই পত্রের বরাত দিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দীপক কুমার চক্রবর্তী লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণীর মৃত্যুরোধে ট্রেনের গতিসীমা ২০ কি.মি. এর মধ্যে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে গত ২৫ জানুয়ারী রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন। পরে গত ২৯ জানুয়ারি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. তৌফিক ইমাম স্বাক্ষরিত মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকাকে গতিসীমা ২০ কি.মি. এর মধ্যে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রম অনুরোধ করেন।
ট্রেনের গতিনিয়ন্ত্রণ করণে বন্যপ্রাণী দিবসে শ্রীমঙ্গল ও ভানুগাছ স্টেশনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে সচেতনতা কর্মসূচী পালিত হয়। এসময় ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারস্থ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র, লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা গতবছর বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে লাউয়াছড়ার বনাঞ্চল এলাকায় সড়ক পথে গাড়ির গতিসীমা সর্বোচ্চ ২০ কিমিঃ রাখার জন্য কর্মসূচী পালন করেছিলাম। এ বছর ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ২০ কিমিঃ রাখার জন্য কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বনের প্রাণীরা নিরাপদে চলার জন্য বনবিভাগ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের এই নিয়মগুলো কেউ রক্ষা করেন, আবার অনেকেই করেননা। বনের প্রাণীদের প্রতি আমরা সবাই আরও সহানুভূতিশীল হতে হবে।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ১৯৯৬ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টরের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। এ উদ্যানে রয়েছে বিশ্বের বিরল এবং বিপন্ন অনেক বৃক্ষ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাস। উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায় বলে জানা গেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে।