ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“রাজনীতি আমরা বুঝি না, আমাদের পেটে ভাত দরকার”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || রাজনীতি আমরা বুঝি না, আমাদের পেটে ভাত দরকার|

কুড়িগ্রামের সিঅ্যান্ডবি মোড়ে কুড়িগ্রাম-রংপুর বাসস্ট্যান্ডে ছোটাছুটি করছেন সত্তরোর্ধ্ব আলাউদ্দিন। আরও দুই স্বজনকে নিয়ে রংপুরে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীকে দেখতে যাবেন। বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারেন বাস বন্ধ। কীভাবে যাবেন এ চিন্তায় অটোরিকশার খোঁজে ছোটাছুটি করছেন তিনি।”

তিনি বলেন, ‘হামার রোগী জরুরি আমাক ডাকাইছে। যামো জন্য আসি দেখি বাস চলেনা। অটোত যাই। যাওয়ায় তো নাগবে।’

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। এর আগেই কুড়িগ্রামে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে।”

বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। জরুরি কাজে বিকল্প হিসেবে অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন তারা। এতে অতিরিক্ত খরচসহ ভোগান্তি বেড়েছে। পূর্ব ঘোষণা না থাকলেও কুড়িগ্রাম থেকে যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাস। এতে বিপাকে পড়েছেন ঢাকাসহ অন্য জেলার যাত্রীরা।”

কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থী আতাউর রহমান জানান, জরুরি কাজ থাকায় সকালের বাসে ঢাকায় যাবেন বলে এসেছেন। কিন্তু যেতে পারছেন না।”

শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে প্রশাসনের হয়রানির অভিযোগ তুলে কুড়িগ্রাম-রংপুর রুটেও ধর্মঘট ডাকে জেলা মোটর মালিক সমিতি।

তবে ধর্মঘট নিয়ে কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির দুই নেতা দুই ধরনের কথা বলছেন।

কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সভাপতি সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলার প্রতিবাদে আগেই প্রশাসনকে বলা হয়েছে। এর সুষ্ঠু ব্যবস্থা না নিলে রুটে বাস বন্ধ থাকবে।’

সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসি বলেন, ‘সমিতির পক্ষ থেকে কোনো ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়নি। কাউকে গাড়ি বন্ধ রাখতে বলা হয়নি। আবার কাউকে চালাতেও বলা হয়নি। এখান থেকে বাস গেলে রংপুরে আটকিয়ে দেয়। ভাঙচুর করে। এজন্য মালিকরা বাস বন্ধ রেখেছেন।’

এ অবস্থায় বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে আসা দূরপাল্লার কোচগুলো এখানে আটকা পড়েছে। এতে গাড়ির চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ঢাকা থেকে আসা পায়েল পরিবহনের চালক বলেন, ‘এসে আটকা পড়েছি। শুনলাম রাতে গাড়ি যেতে দেবে। এখন শুনছি যেতে দেবে না। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।’

অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করা বাসের এক চালক বলেন, ‘রাজনীতি আমরা বুঝি না। আমাদের পেটে ভাতের দরকার। গাড়ি বন্ধ থাকলে কষ্টে চলতে হয়।’

এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, শনিবার রংপুরের বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। লোকসমাগম যেন না হয় এজন্য কৌশল করে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা বলেন, ‘সমাবেশ ঘিরে বাস বন্ধ করা হয়েছে। তবে এতে সমাবেশে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমাদের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে নানাভাবে পৌঁছে গেছেন।

 

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“রাজনীতি আমরা বুঝি না, আমাদের পেটে ভাত দরকার”

প্রকাশের সময় : ১২:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || রাজনীতি আমরা বুঝি না, আমাদের পেটে ভাত দরকার|

কুড়িগ্রামের সিঅ্যান্ডবি মোড়ে কুড়িগ্রাম-রংপুর বাসস্ট্যান্ডে ছোটাছুটি করছেন সত্তরোর্ধ্ব আলাউদ্দিন। আরও দুই স্বজনকে নিয়ে রংপুরে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীকে দেখতে যাবেন। বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারেন বাস বন্ধ। কীভাবে যাবেন এ চিন্তায় অটোরিকশার খোঁজে ছোটাছুটি করছেন তিনি।”

তিনি বলেন, ‘হামার রোগী জরুরি আমাক ডাকাইছে। যামো জন্য আসি দেখি বাস চলেনা। অটোত যাই। যাওয়ায় তো নাগবে।’

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। এর আগেই কুড়িগ্রামে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে।”

বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। জরুরি কাজে বিকল্প হিসেবে অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন তারা। এতে অতিরিক্ত খরচসহ ভোগান্তি বেড়েছে। পূর্ব ঘোষণা না থাকলেও কুড়িগ্রাম থেকে যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাস। এতে বিপাকে পড়েছেন ঢাকাসহ অন্য জেলার যাত্রীরা।”

কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থী আতাউর রহমান জানান, জরুরি কাজ থাকায় সকালের বাসে ঢাকায় যাবেন বলে এসেছেন। কিন্তু যেতে পারছেন না।”

শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে প্রশাসনের হয়রানির অভিযোগ তুলে কুড়িগ্রাম-রংপুর রুটেও ধর্মঘট ডাকে জেলা মোটর মালিক সমিতি।

তবে ধর্মঘট নিয়ে কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির দুই নেতা দুই ধরনের কথা বলছেন।

কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সভাপতি সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলার প্রতিবাদে আগেই প্রশাসনকে বলা হয়েছে। এর সুষ্ঠু ব্যবস্থা না নিলে রুটে বাস বন্ধ থাকবে।’

সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসি বলেন, ‘সমিতির পক্ষ থেকে কোনো ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়নি। কাউকে গাড়ি বন্ধ রাখতে বলা হয়নি। আবার কাউকে চালাতেও বলা হয়নি। এখান থেকে বাস গেলে রংপুরে আটকিয়ে দেয়। ভাঙচুর করে। এজন্য মালিকরা বাস বন্ধ রেখেছেন।’

এ অবস্থায় বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে আসা দূরপাল্লার কোচগুলো এখানে আটকা পড়েছে। এতে গাড়ির চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ঢাকা থেকে আসা পায়েল পরিবহনের চালক বলেন, ‘এসে আটকা পড়েছি। শুনলাম রাতে গাড়ি যেতে দেবে। এখন শুনছি যেতে দেবে না। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।’

অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করা বাসের এক চালক বলেন, ‘রাজনীতি আমরা বুঝি না। আমাদের পেটে ভাতের দরকার। গাড়ি বন্ধ থাকলে কষ্টে চলতে হয়।’

এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, শনিবার রংপুরের বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। লোকসমাগম যেন না হয় এজন্য কৌশল করে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা বলেন, ‘সমাবেশ ঘিরে বাস বন্ধ করা হয়েছে। তবে এতে সমাবেশে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমাদের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে নানাভাবে পৌঁছে গেছেন।

 

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট