ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঝিকরগাছায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত চন্দনবাড়ী ইউনিয়নে ৮ শতাদিক শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ স্প্রে মেরে সাংবাদিক সত্যজিৎ এর সর্বস্ব লোট বিছানায় আর সুখ নেই! ৬ অলরাউন্ডার নিয়ে বিশ্বকাপের দল দিলো আফগানিস্তান ‘যৌ’ন কর্মীরা চাই শ্রমিকের অধিকার, সাথে সামাজিক নিরাপত্তা’ ‘অনৈতিক মেলামেশার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন আপন ভাই-বোন’ পাঁচ বছরের সাজার অভিযোগে চেয়ারম্যানের প্রার্থীতা বাতিল নরসিংদীতে হিটস্ট্রোকে মসজিদের সামনে মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ গেল পাটগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রেজওয়ানা পারভীন (সুমি)

নরসিংদীর রাবানে আনারস চাষে লাভবান কৃষকরা!

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট: নরসিংদীর পলাশ উপজেলার রাবানে আনারস চাষ ঝুঁকছেন চাষিরা। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া এর চাষের বেশ উপযোগী। স্থানীয় চাষিরা আবাদি, অনাবাদি জমি এমনকি বাড়িতেও আনারসের চাষ করে থাকেন। এছাড়াও সারাদেশে এখানকার উৎপাদিত আনারসের ব্যাপক সুনাম ও চাহিদা রয়েছে।

জানা যায়, আনারস নরসিংদীর চাষিদের প্রধান অর্থকরী ফসল। প্রায় ১৫০ বছর আগে ঘোড়াশালে দেশীয় জাতের আনারসের চাষ হতো। যার এরইমধ্যে বিলুপ্তি ঘটেছে। তারপর প্রায় ৫০ বছর আগে সিলেট থেকে পলাশের রাবানে আনারস আনা হয়। তখন থেকেই এখানে আনারসের চাষ করা হয়। বর্তমানে সফলতার সাথে এর ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। জলডুগি আনারস নামে পরিচিত হলেও এর বৈজ্ঞানীক না ‘হ্যানিকুইন’। এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। জৈষ্ঠ্য মাসের শুরুতেই এর ভরা মৌসুম। তখনই বাজারে পাকা আনরস পাওয়া যায়। আর যারা দেড়ি করে বাগান করেন তাদের আনারস পাকতে আরো বেশি সময় লাগে।

উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাবান, কুড়াইতলী, বিলপাড়, কাটাবের, বরিবাড়ি সহ ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী, রাজাব, খাওগাইর, চামড়াবসহ অনেক স্থানেই আনারসের চাষ করা হয়। এবছর ১৪৫ হেক্টর জমিতে আনারসের আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে প্রায় ১৫০০ মেট্রিক টন আনারস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

রাবানের আনারস চাষী সমিরন রায় বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছি। এখন নিয়ে প্রায় ৩২ বছর যাবত এর চাষ করতেছি। এর চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভাল হলে বিঘাপ্রতি প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার আনারস বিক্রি হয়। এতে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

অন্যান্য আরো কৃষকরা জানায়, এই ফলটি পচনশীল। এর সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে ভাল হতো। এছাড়াও এখানো এখানে সনাতন পদ্ধতিতে আনারসের চাষ করা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে আরো ফলন পাওয়া যেত। আধুনিকতার যুগেও যদি আনারস সংরক্ষণ করা না যায় তাহলে আর কখন হবে। তারা একটি হিমাগার স্থাপনের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা বক্তার বলেন, চলতি বছর দাবদাহের কারণে সেচ ও বৃষ্টি হয়নি তাই আনারস বাজারজাত হতে দেড়ি হয়েছে। আমরা পোকামাকড়ের আক্রমণ ও বিভিন্ন রোগবালাই প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছি।

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

নরসিংদীর রাবানে আনারস চাষে লাভবান কৃষকরা!

প্রকাশের সময় : ০২:১৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট: নরসিংদীর পলাশ উপজেলার রাবানে আনারস চাষ ঝুঁকছেন চাষিরা। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া এর চাষের বেশ উপযোগী। স্থানীয় চাষিরা আবাদি, অনাবাদি জমি এমনকি বাড়িতেও আনারসের চাষ করে থাকেন। এছাড়াও সারাদেশে এখানকার উৎপাদিত আনারসের ব্যাপক সুনাম ও চাহিদা রয়েছে।

জানা যায়, আনারস নরসিংদীর চাষিদের প্রধান অর্থকরী ফসল। প্রায় ১৫০ বছর আগে ঘোড়াশালে দেশীয় জাতের আনারসের চাষ হতো। যার এরইমধ্যে বিলুপ্তি ঘটেছে। তারপর প্রায় ৫০ বছর আগে সিলেট থেকে পলাশের রাবানে আনারস আনা হয়। তখন থেকেই এখানে আনারসের চাষ করা হয়। বর্তমানে সফলতার সাথে এর ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। জলডুগি আনারস নামে পরিচিত হলেও এর বৈজ্ঞানীক না ‘হ্যানিকুইন’। এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। জৈষ্ঠ্য মাসের শুরুতেই এর ভরা মৌসুম। তখনই বাজারে পাকা আনরস পাওয়া যায়। আর যারা দেড়ি করে বাগান করেন তাদের আনারস পাকতে আরো বেশি সময় লাগে।

উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাবান, কুড়াইতলী, বিলপাড়, কাটাবের, বরিবাড়ি সহ ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী, রাজাব, খাওগাইর, চামড়াবসহ অনেক স্থানেই আনারসের চাষ করা হয়। এবছর ১৪৫ হেক্টর জমিতে আনারসের আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে প্রায় ১৫০০ মেট্রিক টন আনারস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

রাবানের আনারস চাষী সমিরন রায় বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছি। এখন নিয়ে প্রায় ৩২ বছর যাবত এর চাষ করতেছি। এর চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভাল হলে বিঘাপ্রতি প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার আনারস বিক্রি হয়। এতে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

অন্যান্য আরো কৃষকরা জানায়, এই ফলটি পচনশীল। এর সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে ভাল হতো। এছাড়াও এখানো এখানে সনাতন পদ্ধতিতে আনারসের চাষ করা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে আরো ফলন পাওয়া যেত। আধুনিকতার যুগেও যদি আনারস সংরক্ষণ করা না যায় তাহলে আর কখন হবে। তারা একটি হিমাগার স্থাপনের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা বক্তার বলেন, চলতি বছর দাবদাহের কারণে সেচ ও বৃষ্টি হয়নি তাই আনারস বাজারজাত হতে দেড়ি হয়েছে। আমরা পোকামাকড়ের আক্রমণ ও বিভিন্ন রোগবালাই প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছি।