ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাটগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রেজওয়ানা পারভীন (সুমি) ৬০ বছরের বৃদ্ধের দ্বারা ৭ বছরের শিশুর ধর্ষণ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ এস আই সুব্রত দাস ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী বহরমপুর কেন্দ্রের মনোনয়ন দাখিল তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা : ইউনিসেফ নরসিংদীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দুহাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছে হাজারো মুসল্লি শায়েস্তাগঞ্জে ১৫শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আলফাডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

“কথা বলা মসজিদ”

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

ফিচার ডেস্ক || “কথা বলা মসজিদ”।

প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন মসজিদ ‘আওকরা’। এটির নাম করণের পেছনে রয়েছে অলৌকিক একটি ইতিহাস । প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন এ মসজিদটিকে ঘিরে রয়েছে নানান কথা। লোকমুখে জানা যায়, মসজিদটির মাঝামাঝি অংশে দাঁড়িয়ে কেউ কথা বললে-প্রতিধ্বনি হয়। স্থানীয়রা বলেন, কথার উত্তর ভেসে আসতো! সেই থেকে মসজিদটির নাম হয় ‘আওকরা মসজিদ’!

খানসামা উপজেলা পরিসংখ্যানের তথ্য, মসজিদটি প্রায় আড়াই শ বছর পূর্বে বাংলা ১১৭২ সালে মীর্জা লাল বেগ মুসলিম সম্প্রদায়ের নামাজ মসজিদটি উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেলান নদীর পূর্ব পাশে মীর্জার মাঠ নামক স্থানে অবস্থিত।

দীর্ঘকাল চলে যাওয়ার পর সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে মসজিদটি। তবে মীর্জা লাল বেগের ওই মসজিদকে ঘিরে র্মীজার মাঠে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠত হয়। যা পরে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এছাড়াও একই স্থানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে র্মীজার মাঠ আওকরা মসজিদ নিমণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে আরো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, মীর্জা সাহেব মসজিদটি প্রতিষ্ঠার সময় কি নাম রেখেছেন-সে বিষয়ে কোন সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেন না।

মানুষ এখনও এটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শব্দ করে কথা বলে, প্রতিধ্বনি শোনার আশায়। কিন্তু মসজিদের দেয়াল ফেটে গিয়ে নষ্ট হওয়ায় এবং এর গায়ে আগাছা জন্মেছে। এখন আর আগের মত আর আওয়াজ হয় না।

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“কথা বলা মসজিদ”

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

ফিচার ডেস্ক || “কথা বলা মসজিদ”।

প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন মসজিদ ‘আওকরা’। এটির নাম করণের পেছনে রয়েছে অলৌকিক একটি ইতিহাস । প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন এ মসজিদটিকে ঘিরে রয়েছে নানান কথা। লোকমুখে জানা যায়, মসজিদটির মাঝামাঝি অংশে দাঁড়িয়ে কেউ কথা বললে-প্রতিধ্বনি হয়। স্থানীয়রা বলেন, কথার উত্তর ভেসে আসতো! সেই থেকে মসজিদটির নাম হয় ‘আওকরা মসজিদ’!

খানসামা উপজেলা পরিসংখ্যানের তথ্য, মসজিদটি প্রায় আড়াই শ বছর পূর্বে বাংলা ১১৭২ সালে মীর্জা লাল বেগ মুসলিম সম্প্রদায়ের নামাজ মসজিদটি উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেলান নদীর পূর্ব পাশে মীর্জার মাঠ নামক স্থানে অবস্থিত।

দীর্ঘকাল চলে যাওয়ার পর সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে মসজিদটি। তবে মীর্জা লাল বেগের ওই মসজিদকে ঘিরে র্মীজার মাঠে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠত হয়। যা পরে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এছাড়াও একই স্থানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে র্মীজার মাঠ আওকরা মসজিদ নিমণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে আরো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, মীর্জা সাহেব মসজিদটি প্রতিষ্ঠার সময় কি নাম রেখেছেন-সে বিষয়ে কোন সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেন না।

মানুষ এখনও এটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শব্দ করে কথা বলে, প্রতিধ্বনি শোনার আশায়। কিন্তু মসজিদের দেয়াল ফেটে গিয়ে নষ্ট হওয়ায় এবং এর গায়ে আগাছা জন্মেছে। এখন আর আগের মত আর আওয়াজ হয় না।