ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাটগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রেজওয়ানা পারভীন (সুমি) ৬০ বছরের বৃদ্ধের দ্বারা ৭ বছরের শিশুর ধর্ষণ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ এস আই সুব্রত দাস ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী বহরমপুর কেন্দ্রের মনোনয়ন দাখিল তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা : ইউনিসেফ নরসিংদীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দুহাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছে হাজারো মুসল্লি শায়েস্তাগঞ্জে ১৫শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আলফাডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

ধুনটে মন্দিরের কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার উধাও

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি প্রতিদিনের পোস্ট

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি. প্রতিদিনের পোস্ট || বগুড়ার ধুনটে কেন্দ্রীয় বারোদুয়ারী রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের নির্মান কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার উধাও, প্রায় দেড় বছর ধরে মন্দিরের কাজ বন্ধ রাখায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা ও প্রার্থনাসহ ধর্মীয় নানা কাজ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। স্থানীয় মন্দির কমিটির পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি।

মন্দির কমিটি জানান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে সারাদেশে হিন্দু (সনাতন ) ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে ধুনট কেন্দ্রীয় বারোদুয়ারী রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের আট তালা নির্মান কাজের জন্য ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্দির নির্মান কাজ শেষ করার জন্য বগুড়ার জনৈক ঠিকাদার শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ।

মন্দির কমিটির সভাপতি পলান চন্দ্র দাস প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাজটি শুরু করেন। তিনি নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে গ্রেডবিম পর্যন্ত কাজ করে । কাজের গুনগত মান নিয়ে মন্দির কমিটির লোকজন প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার ২০২১ সালেই নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রকল্প এলাকা ত্যাগ করেছেন।

ধুনট উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক গোবিন্দ কুমার ঘোষ বলেন, ঠিকাদার প্রায় দেড় বছর আগে মন্দির নির্মান কাজ বন্ধ করে উধাও হয়েছেন। আমরা মন্দিরের নির্মান কাজটি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একাধিক অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাইনি। তিনি আরো বলেন, মন্দির নির্মান সম্পন্ন না হওয়ায় আমাদের পূজা প্রার্থনা সহ ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এবিষয়ে ঠিকাদার শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের অসৎ আচরনের কারনে আমি মন্দিরের নির্মান কাজ বন্ধ করে রেখেছি।

যোগাযোগ করা হলে হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্টের উপ সহকারী প্রকৌশলী আহাদ খান মন্দির নির্মান কাজ বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে কাজটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

ধুনটে মন্দিরের কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার উধাও

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি. প্রতিদিনের পোস্ট || বগুড়ার ধুনটে কেন্দ্রীয় বারোদুয়ারী রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের নির্মান কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার উধাও, প্রায় দেড় বছর ধরে মন্দিরের কাজ বন্ধ রাখায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা ও প্রার্থনাসহ ধর্মীয় নানা কাজ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। স্থানীয় মন্দির কমিটির পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি।

মন্দির কমিটি জানান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে সারাদেশে হিন্দু (সনাতন ) ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে ধুনট কেন্দ্রীয় বারোদুয়ারী রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের আট তালা নির্মান কাজের জন্য ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্দির নির্মান কাজ শেষ করার জন্য বগুড়ার জনৈক ঠিকাদার শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ।

মন্দির কমিটির সভাপতি পলান চন্দ্র দাস প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাজটি শুরু করেন। তিনি নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে গ্রেডবিম পর্যন্ত কাজ করে । কাজের গুনগত মান নিয়ে মন্দির কমিটির লোকজন প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার ২০২১ সালেই নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রকল্প এলাকা ত্যাগ করেছেন।

ধুনট উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক গোবিন্দ কুমার ঘোষ বলেন, ঠিকাদার প্রায় দেড় বছর আগে মন্দির নির্মান কাজ বন্ধ করে উধাও হয়েছেন। আমরা মন্দিরের নির্মান কাজটি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একাধিক অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাইনি। তিনি আরো বলেন, মন্দির নির্মান সম্পন্ন না হওয়ায় আমাদের পূজা প্রার্থনা সহ ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এবিষয়ে ঠিকাদার শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের অসৎ আচরনের কারনে আমি মন্দিরের নির্মান কাজ বন্ধ করে রেখেছি।

যোগাযোগ করা হলে হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্টের উপ সহকারী প্রকৌশলী আহাদ খান মন্দির নির্মান কাজ বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে কাজটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট