ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদী ভাঙন রোধে মোনাজাতে এলাকাবাসীর কান্না

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট || নদী ভাঙন রোধে মোনাজাতে এলাকাবাসীর কান্না।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীরভাঙন রোধে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এতে ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আল্লাহর কাছে ভাঙন থেকে মুক্তি চেয়েছেন সবাই। পূর্ব-পুরুষের ভিটে ও কবর রক্ষায় আল্লাহর রহমত কামনা করেন তারা।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকায় মোনাজাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।

দোয়া পরিচালনা করেন কমলনগর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ক্বারী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমলনগর উপজেলা পরিষদের কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সংগঠনের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন শাকিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২১ সালে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩১ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রায় ৩১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেন। সেই লক্ষ্যে কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় ৯ জানুয়ারি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক কাজের উদ্বোধন করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বালু সংকট ও বরাদ্দের টাকা ছাড় না পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ বন্ধ করে রেখেছে। টাকা ছাড় পেলে ও বালু সংকট কাটলেই তারা কাজ শুরু করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

মোনাজাতের আগে আইনজীবী সাত্তার পালোয়ান প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, ‘জোয়ারে আমার মায়ের কবরে পানি উঠে যায়। এটি দেখলে আমার কলিজা ফেটে যায়। আমার মায়ের পাশে আমাকে কবর দেওয়ার জন্য বলে রেখেছি।

কিন্তু নদী তীর রক্ষা বাঁধ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভাঙনে সব বিলীন হয়ে যাবে। এজন্য নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে হাত তুলেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নদী ভাঙন রোধে মেগা প্রকল্প দিয়েছেন। দ্রুত সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, বালু সংকট ও বরাদ্দের টাকা ছাড় পাওয়া না যাওয়ায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। বরাদ্দটি সি ক্যাটাগরি থেকে এখন বরাদ্দটি বি ক্যাটাগরিতে আনা হয়েছে। এখন টাকা পাওয়া যাবে। খুব শিগগিরই ফের কাজ শুরু হবে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সারা/প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

নদী ভাঙন রোধে মোনাজাতে এলাকাবাসীর কান্না

প্রকাশের সময় : ০৯:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট || নদী ভাঙন রোধে মোনাজাতে এলাকাবাসীর কান্না।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীরভাঙন রোধে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এতে ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আল্লাহর কাছে ভাঙন থেকে মুক্তি চেয়েছেন সবাই। পূর্ব-পুরুষের ভিটে ও কবর রক্ষায় আল্লাহর রহমত কামনা করেন তারা।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকায় মোনাজাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।

দোয়া পরিচালনা করেন কমলনগর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ক্বারী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমলনগর উপজেলা পরিষদের কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সংগঠনের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন শাকিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২১ সালে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩১ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রায় ৩১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেন। সেই লক্ষ্যে কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় ৯ জানুয়ারি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক কাজের উদ্বোধন করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বালু সংকট ও বরাদ্দের টাকা ছাড় না পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ বন্ধ করে রেখেছে। টাকা ছাড় পেলে ও বালু সংকট কাটলেই তারা কাজ শুরু করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

মোনাজাতের আগে আইনজীবী সাত্তার পালোয়ান প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, ‘জোয়ারে আমার মায়ের কবরে পানি উঠে যায়। এটি দেখলে আমার কলিজা ফেটে যায়। আমার মায়ের পাশে আমাকে কবর দেওয়ার জন্য বলে রেখেছি।

কিন্তু নদী তীর রক্ষা বাঁধ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভাঙনে সব বিলীন হয়ে যাবে। এজন্য নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে হাত তুলেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নদী ভাঙন রোধে মেগা প্রকল্প দিয়েছেন। দ্রুত সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, বালু সংকট ও বরাদ্দের টাকা ছাড় পাওয়া না যাওয়ায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। বরাদ্দটি সি ক্যাটাগরি থেকে এখন বরাদ্দটি বি ক্যাটাগরিতে আনা হয়েছে। এখন টাকা পাওয়া যাবে। খুব শিগগিরই ফের কাজ শুরু হবে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সারা/প্রতিদিনের পোস্ট