ঢাকা , বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘অনৈতিক মেলামেশার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন আপন ভাই-বোন’ পাঁচ বছরের সাজার অভিযোগে চেয়ারম্যানের প্রার্থীতা বাতিল নরসিংদীতে হিটস্ট্রোকে মসজিদের সামনে মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ গেল পাটগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রেজওয়ানা পারভীন (সুমি) ৬০ বছরের বৃদ্ধের দ্বারা ৭ বছরের শিশুর ধর্ষণ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ এস আই সুব্রত দাস ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী বহরমপুর কেন্দ্রের মনোনয়ন দাখিল তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা : ইউনিসেফ নরসিংদীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দুহাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছে হাজারো মুসল্লি শায়েস্তাগঞ্জে ১৫শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত

নবীনগরে প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার পৌর এলাকার করিমশাহ্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বৃহসপতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থী অভিভাবক মায়েদের এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির ফি ২৫০ টাকা ও ৫ম শ্রেনীর প্রশংসাপত্র বাবদ ২০০টাকা করে উত্তোলনসহ একাধিক দূর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে প্রত্যাহারের দাবী করা হয়। এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিভাবক রাবিয়া খাতুন ও নিপা আক্তার আলাদাভাবে লিখিত দুইটি অভিযোগও দায়ের করেন।

অভিযোগসুত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই ছাত্র ভর্তির সময় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থদের কাছ থেকে প্রশংসপত্র বাবদ ২০০টাকা করে নেয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে স্কুলে ভর্তি করানো হয় না। অভিভাবকরা প্রতিবাদ করলে স্কুলের শিক্ষকরা ‘টাকা ছাড়া যে স্কুলে ভর্তি করায় সে স্কুলে গিয়ে ভর্তি করান’ এ কথা বলে তাদের তারিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারিসহ মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী ভুক্তভোগী লোকমা বেগম, মোমেনা বেগম, ময়না বেগম, শিরিন আক্তার, জেসমিন আক্তার, হালিমা আক্তারসহ যারা অংশগ্রহন করেছেন তারা সবাই উপরোক্ত নানাহ অনিয়ম ও দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমরা গরিব মানুষ কারোর স্বামী রিস্কা চালক, ভ্যান চালক, কারোর স্বার্মী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সরকার আমাদের ফ্রি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে সেখানে আমাদের কেন টাকা দিতে হবে?। প্রতিবাদ করলে বলে, টাকা দিতে হবে সরকার নতুন আইন করেছে, আমরা এ প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারি রাবিয়া খাতুন ও নিপা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমানসহ এ অভিযোগ দায়ের করি। আমরা তাকে এ স্কুল থেকে প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারের ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক খাইরুন নাহার লিপা বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই টাকা তুলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া তার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে আমি সম্পৃক্ত না। আমার বিরুদ্ধে এটা একটা ষড়যন্ত্র।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সাত কর্মদিবসের মধ্য রির্পোট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রির্পোট এর উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামিম বলেন, তাদের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশা দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

নবীনগরে প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার পৌর এলাকার করিমশাহ্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বৃহসপতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থী অভিভাবক মায়েদের এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির ফি ২৫০ টাকা ও ৫ম শ্রেনীর প্রশংসাপত্র বাবদ ২০০টাকা করে উত্তোলনসহ একাধিক দূর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে প্রত্যাহারের দাবী করা হয়। এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিভাবক রাবিয়া খাতুন ও নিপা আক্তার আলাদাভাবে লিখিত দুইটি অভিযোগও দায়ের করেন।

অভিযোগসুত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই ছাত্র ভর্তির সময় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থদের কাছ থেকে প্রশংসপত্র বাবদ ২০০টাকা করে নেয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে স্কুলে ভর্তি করানো হয় না। অভিভাবকরা প্রতিবাদ করলে স্কুলের শিক্ষকরা ‘টাকা ছাড়া যে স্কুলে ভর্তি করায় সে স্কুলে গিয়ে ভর্তি করান’ এ কথা বলে তাদের তারিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারিসহ মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী ভুক্তভোগী লোকমা বেগম, মোমেনা বেগম, ময়না বেগম, শিরিন আক্তার, জেসমিন আক্তার, হালিমা আক্তারসহ যারা অংশগ্রহন করেছেন তারা সবাই উপরোক্ত নানাহ অনিয়ম ও দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমরা গরিব মানুষ কারোর স্বামী রিস্কা চালক, ভ্যান চালক, কারোর স্বার্মী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সরকার আমাদের ফ্রি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে সেখানে আমাদের কেন টাকা দিতে হবে?। প্রতিবাদ করলে বলে, টাকা দিতে হবে সরকার নতুন আইন করেছে, আমরা এ প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারি রাবিয়া খাতুন ও নিপা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমানসহ এ অভিযোগ দায়ের করি। আমরা তাকে এ স্কুল থেকে প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারের ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক খাইরুন নাহার লিপা বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই টাকা তুলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া তার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে আমি সম্পৃক্ত না। আমার বিরুদ্ধে এটা একটা ষড়যন্ত্র।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সাত কর্মদিবসের মধ্য রির্পোট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রির্পোট এর উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামিম বলেন, তাদের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশা দেওয়া হয়েছে।