ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলাশে শিম চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদল

নাসিম আজাদ, প্রতিদিনের পোস্ট.কম
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি প্রতিদিনের পোস্ট

একসময় অন্যের জমিতে চাষাবাদের কাজ করে যারা অতি কষ্টে সংসার চালাতো তারা এখন লাখপতি। শুধু কৃষি কাজ করে তাদের ভাগ্য এখন বদলে গেছে। নিজের দালান ঘর ও জমি দুটোই হয়েছে।

এবারও শিম চাষে সাফল্য পেয়ে হাসি ফিরেছে পলাশের এসব কৃষকদের মুখে। শিমের ভালো ফলনের পাশাপাশি স্থানীয় হাট-বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার প্রান্তিক শিম চাষিদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে ১৬০ হেক্টর জমিতে শিম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ করা হয়েছে ১৭০ হেক্টর জমিতে

পলাশে_শিম_চাষে_কৃষকদের_ভাগ্য_বদল

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের খাসহাওলা গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, পড়াশোনা করতে পারিনি। ছিল অভাবের সংসার। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতাম। এখন নিজের জমি হয়েছে, দুই বিঘা জমিতে এবছর শিম চাষ করে এপর্যন্ত ৩লাখ টাকার উপরে বিক্রি করেছি, এখনো শেষ হয়ে যায়নি আরও বিক্রি করতে পারবো। সংসারে আগের মতো আর অভাব অনটন নেই। করতে হয়না ধারদেনা। 

সরকারচর গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া বলেন, আমি বছরের পুরো সময়টাতেই শাক-সবজির চাষ করে থাকি। ছোট সময় অন্যের বাড়িতে কাজ করলেও এখন জমি-দালান ঘর দুটোই হয়েছে। জীবনে বহু পরিশ্রম করেছি। গতবছর ১বিঘা জমিতে শিম চাষ করে ১লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে বিক্রি করেছি। এবছর দের বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি।

 

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। বিক্রিও করেছি প্রায় ২লাখ ২০হাজার টাকার মতো। কম করে হলেও আরও একমাস বিক্রি করতে পারবো। বালাই নাশক ও শ্রমিক বাবদ খরচ খুব বেশি নয়। খরচ কম লাভ বেশি।  ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা স্কুলে পড়াশোনা করাচ্ছি। সংসারও ভালো চলছে, বউ ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখেই আছি।

স্বল্প খরচে প্রতি মাসে ঐসব জমি থেকে উল্লেখিত টাকা পাওয়ায় পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে উপজেলার কৃষকদের। শিমের ফলন ভালোসহ হাটে-বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ক্লান্তিহীন হাসি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকী প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, আমরা প্রতিটি এলাকায় যেয়ে সময়মতো বালাই ও ছত্রাকনাশক ঔষধের ব্যাবহার এবং সঠিক সময়ে পরিচর্যার ব্যপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের চাষাবাদে উদ্ভুদ্ধ করি। যার কারণে ফলনও ভালো হচ্ছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

পলাশে শিম চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদল

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

একসময় অন্যের জমিতে চাষাবাদের কাজ করে যারা অতি কষ্টে সংসার চালাতো তারা এখন লাখপতি। শুধু কৃষি কাজ করে তাদের ভাগ্য এখন বদলে গেছে। নিজের দালান ঘর ও জমি দুটোই হয়েছে।

এবারও শিম চাষে সাফল্য পেয়ে হাসি ফিরেছে পলাশের এসব কৃষকদের মুখে। শিমের ভালো ফলনের পাশাপাশি স্থানীয় হাট-বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার প্রান্তিক শিম চাষিদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে ১৬০ হেক্টর জমিতে শিম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ করা হয়েছে ১৭০ হেক্টর জমিতে

পলাশে_শিম_চাষে_কৃষকদের_ভাগ্য_বদল

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের খাসহাওলা গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, পড়াশোনা করতে পারিনি। ছিল অভাবের সংসার। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতাম। এখন নিজের জমি হয়েছে, দুই বিঘা জমিতে এবছর শিম চাষ করে এপর্যন্ত ৩লাখ টাকার উপরে বিক্রি করেছি, এখনো শেষ হয়ে যায়নি আরও বিক্রি করতে পারবো। সংসারে আগের মতো আর অভাব অনটন নেই। করতে হয়না ধারদেনা। 

সরকারচর গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া বলেন, আমি বছরের পুরো সময়টাতেই শাক-সবজির চাষ করে থাকি। ছোট সময় অন্যের বাড়িতে কাজ করলেও এখন জমি-দালান ঘর দুটোই হয়েছে। জীবনে বহু পরিশ্রম করেছি। গতবছর ১বিঘা জমিতে শিম চাষ করে ১লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে বিক্রি করেছি। এবছর দের বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি।

 

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। বিক্রিও করেছি প্রায় ২লাখ ২০হাজার টাকার মতো। কম করে হলেও আরও একমাস বিক্রি করতে পারবো। বালাই নাশক ও শ্রমিক বাবদ খরচ খুব বেশি নয়। খরচ কম লাভ বেশি।  ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা স্কুলে পড়াশোনা করাচ্ছি। সংসারও ভালো চলছে, বউ ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখেই আছি।

স্বল্প খরচে প্রতি মাসে ঐসব জমি থেকে উল্লেখিত টাকা পাওয়ায় পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে উপজেলার কৃষকদের। শিমের ফলন ভালোসহ হাটে-বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ক্লান্তিহীন হাসি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকী প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, আমরা প্রতিটি এলাকায় যেয়ে সময়মতো বালাই ও ছত্রাকনাশক ঔষধের ব্যাবহার এবং সঠিক সময়ে পরিচর্যার ব্যপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের চাষাবাদে উদ্ভুদ্ধ করি। যার কারণে ফলনও ভালো হচ্ছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট