ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাটগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রেজওয়ানা পারভীন (সুমি) ৬০ বছরের বৃদ্ধের দ্বারা ৭ বছরের শিশুর ধর্ষণ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ এস আই সুব্রত দাস ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী বহরমপুর কেন্দ্রের মনোনয়ন দাখিল তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা : ইউনিসেফ নরসিংদীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দুহাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছে হাজারো মুসল্লি শায়েস্তাগঞ্জে ১৫শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আলফাডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

“মাইগ্রেশন না পেলে আন্দোলনে যাবেন নাইটিংগেল মেডিকেল শিক্ষার্থীরা”

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক || “মাইগ্রেশন না পেলে আন্দোলনে যাবেন নাইটিংগেল মেডিকেল শিক্ষার্থীরা”।

রাজধানীর নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের দুর্নীতি-অনিয়ম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মাইগ্রেশন দিতে অনীহা প্রকাশ করায় কঠোর আন্দোলনের হু.মকি দিয়েছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।

নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াহিয়া শুভ বলেন, আমরা ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী। ভর্তির প্রথম বর্ষ ঠিকভাবে কাটলেও দ্বিতীয় বর্ষে গিয়ে আমরা জানতে পারি এ কলেজের বিএমডিসি কর্তৃক কোনো অনুমোদন নেই। তারা আদালত থেকে ছয় মাসের একটা স্টে অর্ডারের মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, পরে শিক্ষক, ল্যাব ইকুইপমেন্টসহ নানা সংকট থাকায় আমরা সেসব নিরসনে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে থাকি। কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করি।

ইয়াহিয়া শুভ বলেন, যাবতীয় সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কলেজ থেকে মাইগ্রেশন চেয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করলে মহাপরিচালক জানান, যেহেতু কলেজটিতে স্টে অর্ডারে চলছে, তাই আদালতের আদেশ ছাড়া মাইগ্রেশন দেওয়া সম্ভব নয়। সে মোতাবেক আমরা ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট করি। ১১ মাস পর চলতি বছরের আগস্টে রিটের আদেশ আসে। কিন্তু আদালতের আদেশ আসার দুই মাস পরও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর মাইগ্রেশন দিতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে আমাদের শিক্ষাজীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

২০১৭-১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বীথি বলেন, কোর্টের অর্ডার আসার পরও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আমিরুল মোরশেদ খশরু মাইগ্রেশন দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, মাইগ্রেশন পেতে হলে কলেজ বন্ধ করতে হবে। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালা ৯.৬ অনুযায়ী মাইগ্রেশনের জন্য কলেজ বন্ধ করার কোনো নিয়ম নেই। আমরা দ্রুত মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা চাই। নয়ত কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

সংবাদ সম্মেলনে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত বছর প্রেস ক্লাব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“মাইগ্রেশন না পেলে আন্দোলনে যাবেন নাইটিংগেল মেডিকেল শিক্ষার্থীরা”

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক || “মাইগ্রেশন না পেলে আন্দোলনে যাবেন নাইটিংগেল মেডিকেল শিক্ষার্থীরা”।

রাজধানীর নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের দুর্নীতি-অনিয়ম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মাইগ্রেশন দিতে অনীহা প্রকাশ করায় কঠোর আন্দোলনের হু.মকি দিয়েছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।

নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াহিয়া শুভ বলেন, আমরা ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী। ভর্তির প্রথম বর্ষ ঠিকভাবে কাটলেও দ্বিতীয় বর্ষে গিয়ে আমরা জানতে পারি এ কলেজের বিএমডিসি কর্তৃক কোনো অনুমোদন নেই। তারা আদালত থেকে ছয় মাসের একটা স্টে অর্ডারের মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, পরে শিক্ষক, ল্যাব ইকুইপমেন্টসহ নানা সংকট থাকায় আমরা সেসব নিরসনে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে থাকি। কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করি।

ইয়াহিয়া শুভ বলেন, যাবতীয় সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কলেজ থেকে মাইগ্রেশন চেয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করলে মহাপরিচালক জানান, যেহেতু কলেজটিতে স্টে অর্ডারে চলছে, তাই আদালতের আদেশ ছাড়া মাইগ্রেশন দেওয়া সম্ভব নয়। সে মোতাবেক আমরা ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট করি। ১১ মাস পর চলতি বছরের আগস্টে রিটের আদেশ আসে। কিন্তু আদালতের আদেশ আসার দুই মাস পরও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর মাইগ্রেশন দিতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে আমাদের শিক্ষাজীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

২০১৭-১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বীথি বলেন, কোর্টের অর্ডার আসার পরও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আমিরুল মোরশেদ খশরু মাইগ্রেশন দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, মাইগ্রেশন পেতে হলে কলেজ বন্ধ করতে হবে। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালা ৯.৬ অনুযায়ী মাইগ্রেশনের জন্য কলেজ বন্ধ করার কোনো নিয়ম নেই। আমরা দ্রুত মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা চাই। নয়ত কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

সংবাদ সম্মেলনে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত বছর প্রেস ক্লাব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।