ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রং ফর্সাকারী ১৭ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ক্ষতিকর পারদ পাওয়া গেছে: বিএসটিআই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || রং ফর্সাকারী ১৭ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ক্ষতিকর পারদ পাওয়া গেছে: বিএসটিআই।

বাজারের রং ফর্সাকারী ১৭টি ব্র্যান্ডের ক্রিমেই বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ (মার্কারি) পাওয়া গেছে। পারদের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত হাইড্রোকুইনোন রয়েছে এসব ব্র্যান্ডের ক্রিমে জানিয়েছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রার চেয়ে বেশি পারদ ও হাইড্রোকুইনোন জানিয়েছে বিএসটিআই। বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হতে পারে এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে জানিয়েছেন সরকারের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি।

সম্প্রতি বিএসটিআই এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, খোলা বাজার থেকে তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সাকারী ক্রিমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ক্ষতিকর চিহ্নিত হওয়া ১৭টি ব্র্যান্ডের মধ্যে ১৪টি পাকিস্তানি, একটি চীন ও বাংলাদেশের এবং অপরটি নামহীন।

চামড়ায় ব্যবহার্য ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান অনুযায়ী, মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম। আর হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম। কিন্তু উল্লিখিত ১৭টি ব্র্যান্ডের অধিকাংশ ক্রিমে মার্কারির মাত্রা পাওয়া গেছে ৪০ থেকে ২২২ পিপিএম। আর দুটি ক্রিমে ৮ পিপিএম ও ৩০ পিপিএম মাত্রার হাইড্রোকুইনোন পাওয়া গেছে।

পরীক্ষায় পাকিস্তানের গৌরি কসমেটিকস (প্রাইভেট) লিমিটেডের গৌরি ব্র্যান্ডের ক্রিমে ১০২ দশমিক ৯২ পিপিএম, এসঅ্যান্ডজে মার্কেটিং ব্র্যান্ডের ক্রিমে ২০৯ পিপিএম, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের ক্রিমে ২১৬ পিপিএম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ১৩৩ পিপিএম, গোল্ডেন পার্ল কসমেটিকসের ক্রিমে ১২৪ পিপিএম ও পুনিয়া ব্রাদার্সের ক্রিমে ১৮৩ পিপিএম পারদ পাওয়া যায়।

এছাড়া পাকিস্তানের নুর গোল্ড কসমেটিকসের ক্রিমে পারদের মাত্রা ২২২ পিপিএম ও হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের ক্রিমে ২০১ পিপিএম পাওয়া গেছে। আর পাকিস্তানের আনিজা কসমেটিকসের ক্রিমে হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৩০ পিপিএম ও বাংলাদেশের গোল্ড কসমেটিকসের ক্রিমে ৮ পিপিএম পাওয়া গেছে।

এর আগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে এসব ব্র্যান্ডের অধিকাংশকে ক্ষতিকারক আখ্যায়িত করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিএসটিআই। বাজারে এসব ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযানও চালাচ্ছিল সংস্থাটি। কিন্তু তারপরও বাজারে এসব ব্র্যান্ডের রং ফরসাকারী ক্রিম নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে আবার বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিএসটিআই।

বিএসটিআই জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফরসাকারী ক্রিম বিক্রয় ও বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় আমদানিকারক, সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এছাড়া এসব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

একই সঙ্গে বিএসটিআইর অনুমোদনহীন এসব ক্রিম ক্রয় ও ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য ভোক্তা সাধারণকে সতর্ক করেছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সারা/প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

রং ফর্সাকারী ১৭ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ক্ষতিকর পারদ পাওয়া গেছে: বিএসটিআই

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || রং ফর্সাকারী ১৭ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ক্ষতিকর পারদ পাওয়া গেছে: বিএসটিআই।

বাজারের রং ফর্সাকারী ১৭টি ব্র্যান্ডের ক্রিমেই বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ (মার্কারি) পাওয়া গেছে। পারদের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত হাইড্রোকুইনোন রয়েছে এসব ব্র্যান্ডের ক্রিমে জানিয়েছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রার চেয়ে বেশি পারদ ও হাইড্রোকুইনোন জানিয়েছে বিএসটিআই। বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হতে পারে এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে জানিয়েছেন সরকারের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি।

সম্প্রতি বিএসটিআই এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, খোলা বাজার থেকে তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সাকারী ক্রিমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ক্ষতিকর চিহ্নিত হওয়া ১৭টি ব্র্যান্ডের মধ্যে ১৪টি পাকিস্তানি, একটি চীন ও বাংলাদেশের এবং অপরটি নামহীন।

চামড়ায় ব্যবহার্য ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান অনুযায়ী, মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম। আর হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম। কিন্তু উল্লিখিত ১৭টি ব্র্যান্ডের অধিকাংশ ক্রিমে মার্কারির মাত্রা পাওয়া গেছে ৪০ থেকে ২২২ পিপিএম। আর দুটি ক্রিমে ৮ পিপিএম ও ৩০ পিপিএম মাত্রার হাইড্রোকুইনোন পাওয়া গেছে।

পরীক্ষায় পাকিস্তানের গৌরি কসমেটিকস (প্রাইভেট) লিমিটেডের গৌরি ব্র্যান্ডের ক্রিমে ১০২ দশমিক ৯২ পিপিএম, এসঅ্যান্ডজে মার্কেটিং ব্র্যান্ডের ক্রিমে ২০৯ পিপিএম, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের ক্রিমে ২১৬ পিপিএম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ১৩৩ পিপিএম, গোল্ডেন পার্ল কসমেটিকসের ক্রিমে ১২৪ পিপিএম ও পুনিয়া ব্রাদার্সের ক্রিমে ১৮৩ পিপিএম পারদ পাওয়া যায়।

এছাড়া পাকিস্তানের নুর গোল্ড কসমেটিকসের ক্রিমে পারদের মাত্রা ২২২ পিপিএম ও হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের ক্রিমে ২০১ পিপিএম পাওয়া গেছে। আর পাকিস্তানের আনিজা কসমেটিকসের ক্রিমে হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৩০ পিপিএম ও বাংলাদেশের গোল্ড কসমেটিকসের ক্রিমে ৮ পিপিএম পাওয়া গেছে।

এর আগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে এসব ব্র্যান্ডের অধিকাংশকে ক্ষতিকারক আখ্যায়িত করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিএসটিআই। বাজারে এসব ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযানও চালাচ্ছিল সংস্থাটি। কিন্তু তারপরও বাজারে এসব ব্র্যান্ডের রং ফরসাকারী ক্রিম নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে আবার বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিএসটিআই।

বিএসটিআই জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফরসাকারী ক্রিম বিক্রয় ও বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় আমদানিকারক, সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এছাড়া এসব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

একই সঙ্গে বিএসটিআইর অনুমোদনহীন এসব ক্রিম ক্রয় ও ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য ভোক্তা সাধারণকে সতর্ক করেছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সারা/প্রতিদিনের পোস্ট