শিক্ষক দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ
- প্রকাশের সময় : ১২:০৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
- / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
তানভীর আহমেদ, প্রতিদিনের পোস্ট || শিক্ষক দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ।
এবারই প্রথমবারের মতো গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশে সরকারি ভাবে পালিত হলো শিক্ষক দিবস। বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকগণের আনন্দঘন উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় ভাবে দিবসটি পালিত হয়।
যদিও ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস অনেক আগে থেকেই পালিত হয় কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি ভাবে শিক্ষক দিবস এ বারই প্রথম পালিত হলো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
” শিক্ষকগণের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে পালিত হলো শিক্ষক দিবস। তারি ধারাবাহিকতায় সারা বাংলাদেশের নেয় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে দিবসটি পালন করেছে।
ঐ দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে ছিল এক অন্য রকম অনুভব, অন্য রকম ভালোবাসা। শ্রদ্ধার ডালি সাজিয়ে তারা নিয়ে এসেছিল তাদের শিক্ষকদের জন্য নিজ হাতে তৈরি করা দৃষ্টিনন্দন শুভেচ্ছা কার্ড। একে একে শিক্ষকগণকে তারা তাদের নিজ নিজ হাতে তুলে দেয় তাদেরই তৈরি করা কার্ড। এ যেন এক ব্যতিক্রমধর্মী ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।
বিপ্লব মোহন চৌধুরী প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন এ ক্ষুদ্র জীবনে অনেক উপহার পেয়েছি। সরকারি, বেসরকারি পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত উপহার, সম্মাননা শতাধিক হবে হয়তো। কিন্তু শিক্ষক দিবসে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যে উপহার আমাকে, আমাদেরকে দিয়েছে তা আমার নিকট মনে হয়েছে অসামান্য। এ প্রাপ্তির সাথে পূর্বের মহামূল্যবান প্রাপ্তিগুলোকেও ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিল।
প্রধান শিক্ষক জনাব মো: হোসেন আলী ছিলেন আবেগাপ্লুত। আজকের দিনটি তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন বলে তিনি উল্লেখ করেন। নবম শ্রেণির সজীব, আনিসুজ্জামান, মণিষা, নৌরিন, সীমা সহ সকলেই ছিল আনন্দে উদ্বেলিত। তাদের চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছিল যেন তারা বিশ্ব জয়ের আনন্দ। হ্যাঁ ওরা তো আজ নয় তো কাল বিশ্ব জয় করবেই। এসময় শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
শফিকুল, ইমদাদুল হক, আজিজুল হক , রাজ্জাক, দেলোয়ার , হুমায়ুন কবির , বাতেন, রুনা ম্যাডাম, মবিনা ম্যাডাম, আতাউল করিম সহ সকলেই ছিলেন উৎফুল্ল। বর্তমানের বিদ্যালয়টিতে ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছে। ছাত্র-ছাত্রী আছে প্রায় ছয় শতাধিক। ব্যতিক্রমী উদ্যোগের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা বলেন আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সারা/প্রতিদিনের পোস্ট